যখন তোমাকে ভাবি নিরালা দুপুরে শান্তির বাতাস বন্ধ হয়ে যায় স্বপ্নময় রাত্রি বিরক্ততায় কেঁদে উঠে? অস্থিরতার প্লাবন হাসে শান্ত চোখে কোমল হৃদয়টা হতাশার প্যারালাইসিসে ভোগে। যখন তোমাকে ভাবি উলঙ্গ সাগরের ঢেউ হাকে সৃষ্টির বাঁধে অসময়ের সৌজন্যতায় ব্যর্থতার ঘন্টা বাঁজে হৃদয় আরশিতে। নিষ্প্রয়োজন অস্থিরতায় নাবালক কবিতা খুঁজি নরম ঘাসে বয়সী নক্ষত্রের মতোন অসমাপ্ত ভুমিকায় মাতি সবখানে। যখন তোমাকে ভাবি আমার স্থগিত ভাষনের আক্রোশ বেড়ে যায় শত গুণ স্বার্থের বসত ভিটায় আগুন জ্বলে দাউ দাউ করে। প্রিয়জনদের সস্তা ভালবাসার দরকষাকষির সৌজন্যতা ভুলে ছুটে পালায় বিষাদ ভরা কৃষ্ণ পক্ষের রাত্রির কোলে। যখন তোমাকে ভাবি সজ্ঞান মাথাটি বিবেকের দেয়ালে আঘাত করি বার বার জয়প্রত্যাশিত জীবনের মানচিত্রটা ছিঁড়ে ফেলি অসর্তকতায়। পরাধীনতার শক্তি পায়ে হেটে যায় অঁন্ধকারের দিকে একটা পরাজিত পৃথিবীর ছবি দেখি দুচোখের সীমানায়। যখন তোমাকে ভাবি নরকের নীলদাহ্যতা জ্বলে উঠে জীবন কাননের মৌসুমী অধ্যয়ে ভাবনার সবুজ মাঠ বিবর্ণ হয়ে যায় অকৃজ্ঞতায়। নিষ্পাপ হাত দিয়ে পাপের দরজায় আঘাত করি বার বার বিগত দিনের খেসারত দিতে সিগারেটের ধুঁয়াই জীবনের স্বপ্ন সাঁজাই।