এসেছে আবার কৈফিয়তের দিন। দুই চোখে তোর কোন মান পেলো ভিখারী নিঃস্ব দীন? গদির গর্ব আয়েশে বিভোল কাটালি কীরূপে ক্ষণ? নিজেরে কতোটা বিকায়ে দিছিস লঙ্ঘিয়া কৃত পণ? তার চুলচেরা হিসাব নিতেই ডাকছেন প্রভু প্রাতে, উত্তর আছে? কী কবি গিয়ে এ ক্ষুদে হাশরের মাঠে? কোল ভরে ছিলো মণি মাণিক্য সম্পদ সমাহার, উড়ায়ে গেছিস বেখেয়ালে দিয়ে শয়তানে উপহার। দূর্বল দল এসে ফিরে গেছে নিচু ঘাড়, ভাঙা বুকে? শোষিতের পাশে না থেকে দু'হাত ছুটেছে ধনীর চাকে? সদুত্তর কি আছে তোর কাছে উচু রয় যাতে শির? না থাকে তাহলে কবি কী রে পাপী, নরাধম ধরণীর? কোন মুখে তুই ঈদগাহে যাবি খোদার অতিথ্ হয়ে? কী সাহস নিয়ে পরিচয় দিবি নিজেরে মুমিন কয়ে? জান্নাত চাস? আগে হ মানুষ, ধুয়ে নে মনের ছাই, নিজে দেখিয়ে দে আল্লা-আইনে কোনো ভেদাভেদ নাই। কুরবানি করে মনের পশুরে নে শপথ শূচিতার, নয় সাফ কথা- 'ঈদগাহে তোর নেই কোনো অধিকার।'