পূর্ণ করেই দিয়েছো আমারে অপূর্ণ রাখোনি একবিন্দু। আমি চেয়েছি যদিও একফোটা জল দিয়েছো এ ভরা সিন্ধু। তুমি সৃজন করলে আমারি তরে গগনজরা সূরজ,ইন্দু। আমি ঘুরতে চাইলাম এ ধরাধামে দিলে তুমি মহাবিশ্ব। আমি শিখতে না চাইলেও করেছো মোরে তোমারি আপন শিষ্য। আঁখি মেলি দেখি সব বিশ্বমাঝারে করোনি মোরে নিঃস্ব। তোমারি দানের সংসারে দিলে কী যে মায়াময় অটুট বন্ধন। তুমি করোনি ব্যথিত কখনো মোরে করতে দেওনি ক্রন্দন। তুমি রাখলে আমায় সুবাসিত করে সুগন্ধি আঁতর চন্দন। কত বাঁধন ছিঁড়েছি তোমার প্রতিবার, অবিরল অবিরত। তুমি ক্ষমিয়েছো মোরে না চাইতে ক্ষমা বারবার শতশত। কুসুমের মতো মোরে উশুমে রাখলে শতভাগ অনাহত। কি করে দিবো প্রতিদান তোমারি? এ হীনে দাও গো বলিয়া। নইলে আমি ছাড়খার হব পুড়িব জ্বলা আগুনে জ্বলিয়া। তুমি দিওনা আমায় কখনো সখা অতল সাগরে ফেলিয়া। (কবিতাটির প্রতি স্তবকে আছে ১৯ মাত্র)