পূর্ব প্রকাশের পর****** দুপুরের কান্না ************ ধারাবাহিক গল্প(১৬তম পর্ব) মীর আব্দুল আউয়াল রাজবাড়ী। ২৮/১১/২০খ্রিস্টাব্দ খুব সকালে ঘুম ভেঙে যায় ঈশিতার। তখন সজ্ঞানে দেখতে পায়, সে তার নিজের বিছানায় শুয়ে আছে। অবাক হয় সে। নিজেকে বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় তার।তারপর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সে কাজের বুয়া রেখাকে বাসায় খুঁজে পায়না । সায়মন তখনও মনের খুশিতে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে। ওদিকে কলিংবেল বেজে চলেছে। খুব বিরক্ত হল ঈশিতা। অবশেষে এক পা, দু পা করে এগিয়ে যায় সে দরজার দিকে। দরজা খুলতেই রেখার কান্নাভরা কষ্টের মুখখানা দেখতে পায় সে। - কী হয়েছে, কান্না করছো কেন? - রাইতে আমারে ফালাইয়া আফনি চইল্যা আইলেন কেমনে? - তোমাকে তো সাথেই নিয়ে এলাম। তারপর আর কিছুই জানি না। - আমি তো হেই বাড়িওয়ালার বাসায় ঘুমাইয়া ছিলাম। বাড়িওয়ালা বুইড়া লোক কিন্তু ভালা না আফা। - কেন কী হয়েছে? - কইতে লজ্জা লাগে আফা। ক্যামন জানি করে। তারপর নিজের ঘরে যায় রেখা। তার ঘরে সবকিছুই এলোমেলো দেখতে পায় সে। তার মনে হল, কে যেন কাঁথা মুড়ি দিয়ে তার বিছানায় শুয়ে আছে। তাড়াতাড়ি সে ঈশিতাকে ডেকে আনে। ঈশিতারও মনে ধারণা যে, সত্যি কে যেন বিছানায় কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে। তারপর রেখা একটা লাঠি দিয়ে কাঁথা সরিয়ে দেখতে পেল,একটা কালো কুচকুচে বিড়াল আরামে নিদ্রা যাচ্ছে। - ওমা! এদেখি বিড়াল আফা? - নে, এখন আর ভয় নেই। বিশ্রাম নাও গে। - আফা, আমার মন থেকে ভয় এখনো যায়নি। - মেয়েদের মন থেকে ভয় সহজে যায় না রেখা। পুরুষ মানুষ দুনিয়াতে না থাকলে মেয়েরা সামান্য তেলাপোকা দেখেই মরে যেত। - খুব সত্যি কথাটি কইছেন আফা। ইতোমধ্যে সায়মন ঘুম থেকে জেগে গেছে। ঈষিতাকে দেখে সে হা করে তাকিয়ে আছে। সায়মন কে দেখে আজ অন্যরকম লাগছে ঈশিতার কাছে। - ওভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছো কেন ঈষিতা? কিছু কী বলবে তুমি? - না থাক। - কিছু না বললে বুঝব কেমন করে? - কাল সন্ধ্যায় কোথা গিয়েছিলে? খুলে বল? - জানি না। চুপ হয়ে যায় ঈশিতা। চিন্তায় মাথাটা ঘুরতে থাকে তার। রেখা দৌড়ে কাছে এসে হাঁপাতে থাকে। কিছু একটা বলতে চায় সে। চলবে ******** চলবে **********