এই পৃষ্ঠা প্রিন্ট করুন
শনিবার, 25 ডিসেম্বর 2021 00:30

নিত্য যাত্রার রকেট সাইন্স নির্বাচিত

লিখেছেন
লেখায় ভোট দিন
(2 টি ভোট)
                আমরা যারা পৃথিবী বিখ্যাত শহর কলকাতার আশেপাশে থাকি তারা তো বটেই প্রায় সমস্ত জায়গার মানুষদেরই কর্মস্থল, পড়াশোনা আরো নানান কারনে প্রতিদিন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করতে হয় । কেউ প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে কেউবা দিনের বিভিন্ন সময়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করেন। কারো কারো এক-আধ ঘন্টা সময় লাগলেও অনেকেরই হয়তো দিনে চার-পাঁচ ঘন্টা এমনকি আট-ন ঘন্টাও লাগতে পারে এই যাতায়াত। দিনের প্রায় তিন-চার ভাগের একভাগ এই যে গুরুত্বপূর্ণ সময়, সে ব্যাপারে আমরা ঠিক মতো ভাবি কি? আপনিও যদি এমন একজন হোন, যাকে দিনের তথা জীবনের অনেকটাই সময় রাস্তায় যাতায়াতে ব্যয় করতে হয়, তবে আমার পরামর্শ আপনার এব্যাপারে অবশ্যই ভাবা উচিৎ । আপনি যদি সত্যিই জীবনকে যথাযথ ও কার্যকরীভাবে উপভোগ করতে চান অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ সময়টাকে কিভাবে কাজে লাগাবেন, কোথা থেকে শুরু করবেন বুঝে উঠতে না পারেন তবে আমার কয়েকটা সামান্য অথচ সহজ পরামর্শের দিকে খেয়াল রাখুন । যদি আপনার সত্যিই নিজেকে পরিবর্তনের ইচ্ছা থাকে, সময়ের মূল্যকে অনুধাবন করতে চান আর যদি একটু সচেতন থাকেন তবে এই কয়েকটা পরামর্শ মেনে চলার ফল মাস তিনেকের মধ্যেই পেতে শুরু করবেন আশা রাখি ।
  আপনাকে যদি খুব ভোরে অথবা গভীর রাত্রিতে বেরোতে হয় তবে আপনার রোজকার নিয়ে যাবার জিনিষপত্র যেগুলো আপনার কাজের এবং রাস্তায় লাগতে পারে সেগুলো আগেভাগেই গুছিয়ে রাখুন । যদি আপনার কাজের জিনিষপত্রের জন্য একটি ব্যাগ লাগে তবে আপনি আরো দুটি ছোটো ছোটো ব্যাগ রাখতে পারেন । একটাতে জলের বোতল, গামছা বা তোয়ালে, ছাতা, টর্চ, স্যানিটাইজার, ছোটো সাবানের কৌটো একটা ইত্যাদি রাখুন । আরএকটা পাতলা ব্যাগ খালি রাখুন । রাত্রে বেরোলে সন্ধ্যায় ব্যাগ ও বেরোনোর জামাকাপড় একজায়গায় রাখুন । আর যদি খুব ভোরে বেরোতে হয় তবে রাত্রে তাড়াতাড়ি খেয়ে নেবার পর সবকিছু গুছিয়ে রাখুন । এব্যপারে বাড়িতে আপনার প্রিয়জনদের সাহায্য নিতে পারেন । কারন তাদের সজাগ দৃষ্টি আপনার প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র ভূলে গেলে মনে করিয়ে দিতে পারে অথবা আপনি যেগুলো অবহেলা করছেন তাঁরা সেগুলোয় জোর খাটাতে পারেন । তবে একটা কথা মনে রাখবেন, আপনার জন্য যেনো অন্য কারোর ঘুমের ব্যাঘাত না ঘটে । আর যদি এটা সাধারন ভোর হয় তবে অবশ্যই বাড়ির লোকদের জাগান । তাদের  ভোরের প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হওয়ার এটা একটা বাড়তি সুযোগ হিসাবে নিন । এমনকি আপনি যদি ভোরের কোনো রকম প্রার্থনায় বিশ্বাসী হোন তবে সেটা একসঙ্গে সেরে ফেলুন । এটা আপনাকে পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় রাখতে এবং সারা দিনের ধকল সহ্য করতে বাড়তি প্রেরনা যোগাবে । আপনি নিশ্চয় লক্ষ্য করে থাকবেন, যে কোনো বিশ্বাসেই ভোরের প্রার্থনা খুব সহজ সরল সাদা-মাটা আর সংক্ষিপ্ত হয়ে থাকে ।
  বেরোনোর জন্য আপনার তৈরী হতে যে সময় লাগে সেটা একটা হিসাব করে নিন । সময়টা বিভিন্ন জনের আলাদা আলাদা হতে পারে । কেউ চটপট সেরে ফেলতে পারেন কেউবা একটু সময় নেন । স্নান করার থাকলে আরো সময় লাগতে পারে । যাইহোক আপনার অভ্যাস অনুযায়ী আপনি সময় নিয়ে রাখুন । তবে এটা দশ থেকে তিরিশ মিনিটের মধ্যেই রাখার চেষ্টা করুন । আপনার বেরোনোর এই সময়টার আগে একটা এলার্ম দিন আর তারও পাঁচ-সাত মিনিট আগে আরো একটা এলার্ম দিয়ে রাখুন । আপনার যাত্রার টাইম-টেবিলে আপনি যে সময়টা রাখেন নি তা হলো গাড়ি পরিবর্তনের সময় । একটা গাড়ি থেকে নেমে অন্য গাড়ি ধরতে যে সময় লাগে সেটা । আর যদি ট্রেনের যাত্রী হোন তবে গাড়ি থেকে নেমে ট্রেন ধরার সময়টা । মনে রাখবেন আপনার বাস সাইকেল বা বাইক পার্কিং করে প্লাটফর্মে যাওয়া এবং আবার ট্রেন থেকে নেমে গাড়ি ধরতে কিন্তু অনেকটা সময় লাগে । হাওড়া স্টেশান থেকে বেরোতেই দশ-পনেরো মিনিট লাগতে পারে । সে সময়টা যদি না ধরেন তবে আপনাকে হুড়োহুড়ি করতে হতে পারে যা আপনার যাত্রাপথে ক্ষতি করতে পারে । আরো অনেককেই আপনি রেল লাইন পার হতে দেখবেন । কিন্তু আপনি কখনোই বিচলিত হবেন না । কারন আপনার লক্ষ্য জীবনকে যথাযথভাবে উপভোগ করা , একদিনের শর্টকাট নয় । স্টেশানে ওভার ব্রীজ ব্যবহার করুন । মনে রাখবেন রেল লাইন সংরক্ষিত এলাকা, সাধারনের প্রবেশ নিষেধ । ট্রেনে বা বাসে আপনার অনেকটা সময় লাগতে পারে । এই সময়টাকে আপনি গঠনমূলক কাজে লাগাতে পারেন । মনে করলে আপনি কোনো অডিও বুক শুনতে পারেন অথবা কোনো শিক্ষামূলক এ্যাপস দেখতে পারেন, কোনো অনলাইন কোর্স করতে পারেন অথবা প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষা প্রস্তুতির কোন এ্যাপস ব্যাবহার বা কোনো নতুন ভাষা শিক্ষা করতে পারেন । বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়-স্বজনের খোঁজ নিতে পারেন ফোনে । আপনার আজকের কাজের তাৎক্ষনিক প্ল্যান করতে পারেন অথবা সাংসারিক কাজের লিস্ট বানাতে পারেন । ফেরার সময় এই সময়টায় আপনি আজকের কাজের পর্যালোচনা করতে পারেন অথবা আগামী দিনের পরিকল্পনা করতে পারেন । আর এসব যদি কিছুই না করার থাকে তবে নিজেকে নিয়ে একটু ভাবুন । ভীড়ের মধ্যে থেকেও একটু একা হয়ে নিজের দিকে নজর দিন । আপনি হয়তো নিজের মধ্যে 'না-নেই' অনেক খুঁজে পাবেন । বুদ্ধিমানের মতো সেগুলো সরিয়ে 'হ্যাঁ-আছে' গুলো খুঁজুন । নিজেকে সতেজ রাখুন আর দেখুন আপনার চারিদিকে মহাজগতের সৃষ্টিকর্তার কত ধরনের আশীর্বাদ রয়েছে ! আর সেগুলোকেই আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার, এগিয়ে চলার রসদ খুঁজতে থাকুন ।
আপনার পোষাকের দিকে নজর দিন । শীতের পোষাক আর গ্রীষ্ম বা বর্ষার পোষাকের পার্থক্য অবশ্যই থাকবে । শীতে আপনি ডীপ কালারের ভারী পোষাক ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু গ্রীষ্মে আপনার হাল্কা রঙের পাতলা পোষাক ব্যবহার করাই ভালো । বর্ষায় রেইন কোট আবশ্যই রাখুন । আপনার যাত্রায় আপনাকে আর একটা বিষয়ের দিকে খুব নজর দিতে হবে, সেটা হলো আপনার জুতো । নিত্যযাত্রার জুতোর বাইরেটার থেকে ভেতরটা বেশী গুরুত্বপূর্ণ । এগুলো খুব আরামদায়ক স্বচ্ছন্দের হওয়া চাই । কারন গতির যুগে আপনাকেও পাল্লা দিতে হবে ।
আপনার শরীর যদি একটু ভারীর দিকে হয় তাহলে তো বটেই বাকী সকলেও শহরের জ্যামে কম দূরত্বের ক্ষেত্রে অটো টোটো বা রিক্সা না ধরে নিজের ওপর ভরসা রাখুন আর হাঁটুন । অনেকক্ষেত্রেই দেখবেন আপনি যানের থেকে আগেই পৌঁছে গেছেন । হাঁটার সুবিধা হলো আপনি গলি বা ছোটো রাস্তা ব্যবহার করতে পারবেন, জ্যাম আপনার ওপর অতটা প্রভাব ফেলতে পারবে না । আপনি নতুন নতুন রাস্তা আবিষ্কারের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন । আপনার মাথার সক্রিয়তা বজায় থাকবে, আপনি সতেজ সক্ষম আর আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবেন । রাত্রে ঘুমের ক্ষেত্রেও এটা আপনাকে সাহায্য করবে ।
নিত্যযাত্রায় আপনি অনলাইনের ছোটো খাটো কাজ যেমন কিছু কেনার অর্ডার, প্রয়োজনীয় কোন তথ্য অনুসন্ধান করতে পারেন অথবা একটা কোথাও কোনো চিঠিপত্র বা আবেদনপত্র লেখার থাকলে তার একটা খসড়া বানিয়ে নিতে পারেন ।
নিত্যযাত্রায় রাস্তায় আপনি নানান সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন । জানবেন, দেশে নানান ধরনের মানুষ আছে আর তারাও আপনারই মতো যানবাহন ব্যবহার করেন । ঋতুভেদে দেখবেন শীতে জানালার হাওয়া আসা নিয়ে, গরমে হাওয়া না আসা নিয়ে, যাত্রীদের বচসা হচ্ছে । আবার ভীড়ে পায়ের উপর পা, ব্যাগের টানাটানি, কুনুইয়ের ধাক্কা, নামা ওঠার হুড়োহুড়ি, সীট ধরা নিয়ে বিতর্ক, দরজার কাছে ঠেলাঠেলি ! ফোনে জোরে জোরে কথা বলা, ফোনে পাশের জনের বিরক্তিকর আলাপের টুকরোটাকরা ভেসে আসা, সীটের উপর জুতোসুদ্ধ পা তুলে রাখা, চলন্ত গাড়ি থেকে পান-গুটকার পিক গায়ে এসে পড়া;;৬!  কোনো কিছুতেই আপনি ধৈর্য হারাবেন না, নিজেকে শান্ত রাখুন ! দরকার পড়লে সঙ্গে জল আছে এক ঢোক পান করুন । বিরক্তি কাটাতে দুটো বিস্কুটও চিবোতে পারেন । মনে রাখবেন, আপনার আসল পরীক্ষা, আসল লক্ষ্য কর্মক্ষেত্রে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করা । তাই রাস্তাতে অহেতুক এনার্জি লস্ করার কোনো মানে হয় না । যতবেশী ভীড় সমস্যা তত বেশী বহুমাত্রিক । মনে করবেন এটা আপনার প্রতিদিনকার ছোট্ট একটা অংশ , অযথা ঝামেলা থেকে বেঁচে থাকুন । তবে একান্ত অন্যায় হলে অবশ্যই প্রতিবাদ করুন । আপনার গায়ে মানুষের চামড়ার অপমান করবেন না ।
নিত্যকার যাত্রাপথে আপনি চোখ-কান খোলা রাখলে হরেক কিসিমের মজাদার উপকরন পেতে পারেন । আপনার রসবোধ থাকলে আপনাকে সেগুলো দারুনভাবে মনোরঞ্জন করতে পারে । প্রতিদিনকার এইসব অভিজ্ঞতা আপনার জীবনের অমূল্য সম্পদ সব । এগুলি ফেলে না দিয়ে কুড়িয়ে রাখুন । দেশের নানান ধরনের মানুষের সংস্পর্শে আসতে পারেন । তাদের আচার-ব্যবহার নড়াচড়া লক্ষ্য করতে থাকুন । দেশকে নতুন নতুন ভাবে জানতে পারবেন । দেশের হাসি-কান্নায় সামিল হতে পারবেন । একজন সুনাগরিক হয়ে উঠতে পারেন । আবার আপনি অনেক সময় জানালার বাইরে চলন্ত প্রকৃতি, মানুষজন, মাঠ-ঘাট, কল-কারখানা দেখতে পারেন, উপভোগ করতে পারেন । কখনোও এসবের উপর চোখ রেখে দেখেও না দেখে নতুন কোনো আইডিয়া খুঁজে পেতে পারেন । এমনটাও হতে পারে বাইরের দেখা এই দৃশ্যের কোনোটা অন্য কোনো সময় আপনার মাথায় কোনো আইডিয়া খেলিয়ে দিতে পারে ।
  আবারো বলছি আপনি অন্যদের শর্টকাট আমদানি করা থেকে বিরত থাকুন । চলতি পথে আমরা সকলেই সকলের তাৎক্ষনিক আত্মীয় ভাবুন । ছোট্ট কয়েকটা শব্দে পাশের যাত্রীর কোনো অসুবিধা হচ্ছে নাকি জেনে নিন । পারলে আপনার সীমিত সাধ্যে কিছু করতে পারেন । সহযাত্রীদের কেউ কোনো বিপদে পড়লে একটু সহমর্মী হোন । জানবেন, আপনার এই যাত্রাপথে কোনো কিছুই ফেলে দেওয়ার নয় । আপনি যদি কাউকে সাহায্য করেন তবে সেটা জলে যায় না, আপনার কাছেও ফিরে আসতে পারে কোনোদিন আশীর্বাদ হয়ে । 
এই যাত্রাকে জীবনের সহজাত হিসাবে নিন । আপনি যুদ্ধে যাচ্ছেন না, যোদ্ধারাও হাসি মুখেই থাকে । মুখ গোমরা করে থাকবেন না, মুখে হাসি রাখুন । তবে কথা শুরুর আগেই অকারন হেসে ফেলবেন না , বোকামির হাসি প্রাকটিস করবেন না ।
সুষ্ঠ যাত্রার জন্য গাড়ির টাইম-টেবিলসহ গাড়ির অনলাইন অবস্থান জানার জন্য বিভিন্ন এ্যাপস আছে সেগুলো ইনস্টল করে রাখুন । জানা না থাকলে প্রশ্ন করবেন, জানিয়ে দেবো । যানবাহন চলাচলের সঙ্গে আবহাওয়ার একটা ঘনিষ্ট সম্পর্ক আছে । সেজন্য আবহাওয়া সম্পর্কে আপডেট থাকুন, দিনের ফোরকাস্ট জেনে নিন । এতে হবে কি আপনি আগেভাগেই অবস্থা অনুযায়ী সেদিন কোনো 'প্ল্যান বি' খাটাতে পারবেন ।
আর হ্যাঁ, আপনাকে আর একটা কথা বলতে ভূলে গেছি, আমি একটা পাতলা খালি ব্যাগ সঙ্গে নিতে বলেছিলাম । বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে জেনে নিন বাড়ির জন্য ফেরার পথে কিছু আনতে হবে কিনা । সেটার একটা লিস্ট তৈরী করে রাখুন । ফেরার পথে এমনকি চলতি পথেও সেরকম সুবিধাজনক জিনিষ পেলে কিনে নিন । এতে আপনার আলাদা করে বাজার করার বা কেনাকাটা করতে বেরোনোর সময় বাঁচবে । সে সময়টা আপনি পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারবেন অথবা অন্য কোনো কাজে ।
  আমার লেখাটা যদি পুরোটা পড়ে থাকেন আর আপনার নিজের পরিস্থিতির সঙ্গে পরামর্শগুলো সাজিয়ে নিতে পারেন তবে এটুকু বলতে পারি আপনি কিছুটা হলেও উপকার পাবেন বই কি ! হয়তো দেখা যাবে আপনি ইতিমধ্যেই নিজের থেকেই কিছু কিছু মেনে চলেন । বাকীগুলোও একটু খেয়াল রাখুন তাহলেই আপনার যাত্রাপথ আনন্দময়, উপভোগ্য আর কার্যকরী হয়ে উঠেছে । আপনার সামনে আনেক পথ, অনেক দিনের পথ । আপনার নিত্যযাত্রার শুভকামনা করি !            
            
445 বার পড়া হয়েছে সর্বশেষ হালনাগাদ শুক্রবার, 14 জানুয়ারী 2022 23:45
শেয়ার করুন
সেখ কামারুল ইসলাম

পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার হাটুড়িয়া গ্রামের অধিবাসী । মূলতঃ প্রবন্ধ লিখলেও মাঝে মধ্যে ছোট গল্প-কবিতা লেখেন । টেলিকম টেকনোলজিতে স্নাতকোত্তর সেখ কামারুল ইসলাম বর্তমানে লোকো পাইলট হিসেবে ভারতীয় রেলওয়েতে কর্মরত । সমাজসেবার নানান কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে সাহিত্য সেবাও করে চলেছেন ।

সেখ কামারুল ইসলাম এর সর্বশেষ লেখা

একই ধরনের লেখা

4 মন্তব্য