বিশ্ব মানচিত্রে ছোট্ট একটি দেশ। নাম বাংলাদেশ। সুজলা, সফলা, শস্য, শ্যামলা চির সবুজের দেশ। সবুজের মাঝখানে লাল বৃত্ত স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের বুকের তাজা রক্ত খচিত পতাকা সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ। আসলেই কি সোনার বাংলাদেশ? আসলেই কি আমাদের দেশের ছেলেরা সোনার ছেলে? বলতে কোন দ্বিধা নেই, এ দেশে যে কয়টি সোনার ছেলে তৈরী হয় বর্তমানে তারা পাড়ি দেয় বিদেশে। দিনে দিনে দেশ হচ্ছে মেধা শূন্য। হায়রে মেধা শূন্য অভাগা বাঙালী। আজ আমাদের বিচার, বুদ্ধি, বিবেক, মন, মানসিকতা, মননশীলতা, হৃদয় কোথায় গিয়ে দাড়িয়েছে। হৃদয়ের মাঝখানে যদি লাল সবুজের পতাকার মর্যাদা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে বাংলার প্রতিটি মানুষ দেশ এবং জনগণের স্বার্থে কাজ করত তবে এ জাতি বুক উঁচু করে বিশ্ব মানচিত্রে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে স্থান দখল করে থাকত। কিন্তু আমাদের মনের মধ্যে বাসা বেঁধেছে আত্ম-অহমিকা, দাম্ভিকতা, চাতুরতা, হটকারিতা। মন আছে-সঠিক মানসিকতার অভাব, মুখ আছে-সৎ সাহস নেই সত্য কথা বলার। চোখ আছে-দেখেও না দেখার ভান করে এড়িয়ে যায়। অর্থ আছে-আর্থিক সহযোগিতা করার মন মানসিকতা নেই। বুদ্ধি আছে, বিবেক আছে-কিন্তু বুদ্ধি এবং বিবেক দিয়ে ভাল কোন কাজে ব্যবহার করতে চায় না। আটষট্টি হাজার গ্রাম নিয়ে বাংলাদেশ। এ দেশে দলের নেষ নেই, মত ও মতভেদের অভাব নেই। বর্তমানে আমাদের দেশটি দল সর্বস্ব দেশ। এমনও দল আছে এক নেতার এক দেশ এরই নাম বাংলাদেশ। আটষট্টি হাজার গ্রামে দল আছে সত্তর হাজার। বলতে পারবেন এ দেশে কি নেই? সব নেই কোন দলে। সবই আছে সব দলে। কোন্দলের চাপে দিন দিন দলের পাল্লা বিস্তৃতি লাভ করে গ্রাম সর্বস্ব দলে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে দেশের গণ মাধ্যম অর্থাৎ প্রচার মাধ্যম এমন এক পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে প্রতিটি ঘরে এখন প্রচার মাধ্যম কর্মী রয়েছে। আর এরই ধারাবাহিকতায় সাংবাদিক তৈরী হয়ে গেছে বাংলার ঘরে ঘরে এতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই। বলা যায় বাংলাদেশে প্রায় দশ হাজার পত্রিকা আছে। এদের মধ্যেম ছাপা পত্রিকাই আছে প্রায় চার’শর অধিক। আর ইন্টারনেট সুবিধার কারণে অন-লাইন পত্রিকার সংখ্যা অগণিত। স্বাধীনতা পরবর্তী কালে এদেশে হাতে গোনা দশ বারটি জাতীয় পত্রিকা ছিল। আর এসব নাম সর্বস্ব পত্রিকাগুলো কঠোর নিষেধাজ্ঞা ও সঠিক নিয়ম কানুন না থাকার কারণে সাংবাদিকগণ নিজেদের ফায়দা হাসিল করার জন্য চলে অপসাংবাদিকতা। একই সংবাদের ভিন্ন ভিন্ন পত্রিকায় ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে সংবাদ উপস্থাপন করে সংবাদ পরিবেশন করে থাকে। সংবাদগুলো পড়লে মনে হয় দু’টি পক্ষ বাদী এবং বিবাদী হয়ে মামলা লড়ছে। এটাই কি সংবদ এবং সাংবাদিকদের ধর্ম। প্রতিটি ক্ষেত্রেই এমনটি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ ধারাবাহিকতা চলতে থাকলে প্রচার মাধ্যমগুলোর প্রতি মানুষের আস্থা এবং বিশ্বাস দিন দিন হারিয়ে যাবে। প্রত্যেকটি পত্রিকারই এক একটি শ্লোগান আছে। সত্য, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনই আমাদের লক্ষ্য, সময়ের সাহসী বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ইত্যাদি ইত্যাদি। তাই প্রতিটি প্রত্রিকার সম্পাদক এবং প্রচার মাধ্যমগুলোর নির্বাহী সম্পাদক কর্তৃক প্রতিটি সাংবাদিকদের নির্দেশনা দেয়া উচিৎ মিথ্যা, বানোয়াট, তথ্য বিহীন সংবাদ পরিবেশন করা থেকে বিরত থাকা এবং যদি কোন মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত বা পরিবেশিত হয় তবে যে সাংবাদিক মিথ্যা সংবাদ প্রদান করবে তাকে আর্থিক দন্ডসহ সাময়িক বরখাস্ত করার বিধান রাখতে হবে। কোন সংবাদের প্রেক্ষিতে যদি প্রতিবাদ ছাপাতে হয় তবে যে সাংবাদিক সংবাদ প্রদান করবে তাকে যাবতীয় দায়ভার ও অর্থ দন্ডসহ বরখাস্তের বিধান রাখতে হবে। বর্তমানে বেশীর ভাগ সাংবাদিক অর্থের বিনিময়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে থাকে। তাই প্রচার মাধ্যমগুলোকে আরও শক্তিশালী এবং তথ্য নির্ভর সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

নাজমুল কবির
নিভৃতচারি কবি যিনি তাঁর মসির আঁচড়ে সামাজিক অবক্ষয়ের বাস্তব চিত্র অঙ্কন করে পাঠক সমাজে বেশ সমাদৃত হয়েছেন। কবি নাজমুল কবির প্রকৃত পক্ষে পহেলা জানুয়ারী উনিশশত ষাট সালে নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানার বড়াইগ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। নিষ্ঠুর দারিদ্রতাকে জয় করে তিনি দেখিয়েছেন নিজের দৃঢ় আত্ম-প্রত্যয়ের দুঃসহ যন্ত্রনা। তিনি ছোট বেলা থেকেই লেখালেখি পছন্দ করতেন এবং কাপাসিয়া পাইলট হাই স্কুলে অধ্যয়নরত থাকাকালীন সময়েই লেখায় হাতে খড়ি। কাপাসিয়া পাইলট হাই স্কুল হতে এস. এস. সি. এবং কাপাসিয়া কলেজ থেকে এইচ. এস. সি. কৃতিত্বের সহিত পাশ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। ঢাকায় চাকুরীরত থাকাকালীন অবস্থায় তাঁর লেখা কবিতা সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রকাশিত সেনাবার্তায় প্রকাশিত হয় এবং ঐ সময়েই সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা পরিদপ্তর ও আই.এস.পি. এর অনুমতিক্রমে বাংলাদেশ বেতার ও টিভির তালিকাভূক্ত গীতিকার হন। তাঁর লেখা গান রেডিও ও টিভিতে নব্বই এর দশকে প্রচারিত হয়েছে। তিনি একাধারে একজন সাহিত্যিক ও অপরদিকে গাজীপুর২৪ডমকম প্রত্রিকার সম্পাদক এবং দৈনিক অপরাধ তথ্য পত্রিকার গাজীপুর জেলার ব্যুরো প্রধান। নবীন কবিদের প্রতি অগাধ ভালোবাসা যার নিত্য দিনের সঙ্গী। প্রকাশিত গ্রন্থসমূহঃ (১) হৃদয়ের মাঝখানে দেয়াল (২) এক বিন্দুতে ভালোবাসা (৩) নির্ঝর ভালোবাসা (৪) কবিতার কারুকাজ (৫) প্রম আসেনি (৬) ভুতের বাসা (৭) মেঘ বালিকার স্বপ্ন (৮) হোমিও মতে চিকিৎসা, হোমিও চিকিৎসা বিষয়ক বই (৯) দ্রোহের অগ্নি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এ বারের বইমেলায় যৌথ কাব্যগ্রন্থ আলোর বিকাশসহ ৬ টি যৌথ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ তাঁর নিজস্ব শৈলী মাধুর্যতার পরিচয় মেলে। এবার বইমেলায় প্রকাশিত হবে 'শূন্য জীবন পুণ্যে ভরো' একক কাব্যগ্রন্থ।
নাজমুল কবির এর সর্বশেষ লেখা
2 মন্তব্য
- মন্তব্যের লিঙ্ক
শুক্রবার, 20 জানুয়ারী 2023 04:27 লিখেছেন nea coursework
coursework in area of expertise coursework writing help coursework based masters https://courseworkninja.com/
- মন্তব্যের লিঙ্ক
সোমবার, 09 জানুয়ারী 2023 05:57 লিখেছেন পিজেন ইনামুল হক ইমন
অসাধারণ লিখেছেন প্রিয় কবি।
মন্তব্য করুন
Make sure you enter all the required information, indicated by an asterisk (*). HTML code is not allowed.