মঙ্গলবার, 05 মে 2015 11:04

আত্মার প্রেম-২

লিখেছেন
লেখায় ভোট দিন
(2 টি ভোট)
                ইন্টারকাট
দৃশ্য-০২। রাত। সবুজের রুম ও করিডোর।
(সবুজের রুম থেকে ছায়ামূর্তিটা বাহির হয়ে করিডোর দিয়ে হেঁটে হেঁটে যেতে যেতে অদৃশ্য হয়ে যায়।)

ইন্টারকাট
দৃশ্য-০৩। রাত। হসপিটাল।
(ডাক্তার সবুজের মাথায় পানি দেয়, সবুজের জ্ঞান ফিরে আসে।)

ডাক্তারঃ কে এসেছিল? কে আপনার রক্ত চেয়েছিল?

সবুজঃ সাথী এসেছিল? সে আমার রক্ত চেয়েছিল?

ডাক্তারঃ সাথী কে? 

সবুজঃ আপনি সাথীকে চিনেন না? সাথীর অত্যাচারেই তো আমি এই হসপিটালে দিনের পর দিন রাতের পর রাত পড়ে আছি।

ডাক্তারঃ কি আবোল-তাবোল কথা বলছেন, আপনি চুপচাপ শুয়ে থাকুন তো-----।

সবুজঃ আমি ‘ত চুপচাপ শুয়ে থাকতেই চাই..... কিন'! কিন'! সাথী আমার রক্ত  চায় কেন?

ডাক্তারঃ সাথী আপনার রক্ত চায় মানে? এসব কি বলছেন? 

সবুজঃ কেন সাথী যে এই মাত্র সাদা পোশাক পড়ে আমার রক্ত খাওয়ার জন্য এসেছিলো, আপনি দেখেন নাই?

ডাক্তারঃ (বিরক্ত হয়ে) আমার দেখার প্রয়োজন নাই, আপনি চুপচাপ শুয়ে থাকুন। আপনার এখন ঘুমানোর সময় হয়েছে। (ডাক্তার চলে যেতে চায়।)

সবুজঃ প্লিজ আপু বাইরে যাবেন না। সাথী কিন্তু দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।

ডাক্তারঃ (উত্তেজিত হয়ে) কি? কখন থেকে শুধু সাথী সাথী করছেন? কি হয়েছে সাথীর? কে এই সাথী? 

সবুজঃ ভূত সাথী! 

ডাক্তারঃ (কৌতুহলি হয়ে) ভূত! কিসের ভূত? ভূত বলতে কিছু নেই। ওকে, আপনি চুপচাপ শুয়ে থাকুন। (ডাক্তার ঘাড় ফিরিয়ে যাওয়ার মূহুর্তেই পুনরায় আধো আলো-আধো ছায়া পরিবেশে সাদা পোশাক পরিহিত ভয়ংকর ছায়ামূর্তি প্রবেশ করে। সবুজ ভূত ভূত বলে চিৎকার করে উঠে। ছায়ামূর্তি নিজের মুখে নিজে আঙ্গুল চেপে ধরে সবুজকে শব্দ করতে নিষেধ করে, এবার ডাক্তার নিজেও ছায়ামূর্তিটিকে দেখে ভয় পায় এবং উভয়েই অবচেতন অবস'ায় পড়ে থাকে।) 

ছায়ামূর্তিঃ(ছায়ামূর্তি সবুজের আত্মার সাথে খিল খিল করে হাসতে হাসতে কথা বলে) চলো তোমাকে চাঁদে নিয়ে যাই। চাঁদে গিয়ে দু‘জনে গল্প করি। (সবুজের নিথর দেহ হসপিটালের বেডে পড়ে থাকে। ছায়ামূর্তি সবুজের কার্বন কপির হাত ধরে খিল খিল করে হাসতে হাসতে হসপিটাল ত্যাগ করে। এ সময় এক আনন্দঘন মিউজিক সৃষ্টি হয়)।

ফ্ল্যাশ ফরোয়ার্ড
দৃশ্য-০৪। দিন। পার্ক।
(ছায়ামূর্তি অপূর্ব রূপবতী সাথীর রূপ ধারণ করে} সবুজ ও সাথী পার্কে বসে রোমান্টিক কথা বার্তা বলে। দু‘জনেই সুস্থ্য ও স্বাভাবিক আচরণ করে।)

ছায়ামূর্তিঃ (সবুজের উরুর উপর ছায়ামূর্তির মাথা রেখে) তুমি আমার কাছে আসতে চাওনা কেন? আমি তোমাকে কত ভালবাসি জান? আমার নিজের জীবনের চাইতেও তোমাকে বেশী ভালবাসি। 

সবুজঃ অবশ্যই আমি তোমার কাছে আসতে চাই। এই যে দেখ না আমি তোমার কাছে চলে এসেছি। 

ছায়ামূর্তিঃ তুমি ‘ত আসতে চাও না। আমাকে গিয়ে তোমাকে নিয়ে আসতে হয়।

সবুজঃ (মাথায় হাত দিয়ে) আচ্ছা আমি জানি কোথায় থাকি? কোথায় থেকে যেন তুমি আমাকে নিয়ে আস?

ছায়ামূর্তিঃ তুমি আকাশে থাক। আকাশ থেকে আমি তোমাকে নিয়ে আসি।
সবুজঃ তুমি কোথায় থাক?

ছায়ামূর্তিঃ আমি চাঁদে থাকি।

সবুজঃ আচ্ছা আমরা এখন কোথায় যাব?

ছায়ামূর্তিঃ কেন? চাঁদে চলে যাব। 
(আনলিমিটেড রোমান্টিক কথাবার্তা চলে)।            
            
831 বার পড়া হয়েছে
শেয়ার করুন
 নাজমুল কবির

নিভৃতচারি কবি যিনি তাঁর মসির আঁচড়ে সামাজিক অবক্ষয়ের বাস্তব চিত্র অঙ্কন করে পাঠক সমাজে বেশ সমাদৃত হয়েছেন। কবি নাজমুল কবির প্রকৃত পক্ষে পহেলা জানুয়ারী উনিশশত ষাট সালে নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানার বড়াইগ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। নিষ্ঠুর দারিদ্রতাকে জয় করে তিনি দেখিয়েছেন নিজের দৃঢ় আত্ম-প্রত্যয়ের দুঃসহ যন্ত্রনা। তিনি ছোট বেলা থেকেই লেখালেখি পছন্দ করতেন এবং কাপাসিয়া পাইলট হাই স্কুলে অধ্যয়নরত থাকাকালীন সময়েই লেখায় হাতে খড়ি। কাপাসিয়া পাইলট হাই স্কুল হতে এস. এস. সি. এবং কাপাসিয়া কলেজ থেকে এইচ. এস. সি. কৃতিত্বের সহিত পাশ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। ঢাকায় চাকুরীরত থাকাকালীন অবস্থায় তাঁর লেখা কবিতা সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রকাশিত সেনাবার্তায় প্রকাশিত হয় এবং ঐ সময়েই সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা পরিদপ্তর ও আই.এস.পি. এর অনুমতিক্রমে বাংলাদেশ বেতার ও টিভির তালিকাভূক্ত গীতিকার হন। তাঁর লেখা গান রেডিও ও টিভিতে নব্বই এর দশকে প্রচারিত হয়েছে। তিনি একাধারে একজন সাহিত্যিক ও অপরদিকে গাজীপুর২৪ডমকম প্রত্রিকার সম্পাদক এবং দৈনিক অপরাধ তথ্য পত্রিকার গাজীপুর জেলার ব্যুরো প্রধান। নবীন কবিদের প্রতি অগাধ ভালোবাসা যার নিত্য দিনের সঙ্গী। প্রকাশিত গ্রন্থসমূহঃ (১) হৃদয়ের মাঝখানে দেয়াল (২) এক বিন্দুতে ভালোবাসা (৩) নির্ঝর ভালোবাসা (৪) কবিতার কারুকাজ (৫) প্রম আসেনি (৬) ভুতের বাসা (৭) মেঘ বালিকার স্বপ্ন (৮) হোমিও মতে চিকিৎসা, হোমিও চিকিৎসা বিষয়ক বই (৯) দ্রোহের অগ্নি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এ বারের বইমেলায় যৌথ কাব্যগ্রন্থ আলোর বিকাশসহ ৬ টি যৌথ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ তাঁর নিজস্ব শৈলী মাধুর্যতার পরিচয় মেলে। এবার বইমেলায় প্রকাশিত হবে 'শূন্য জীবন পুণ্যে ভরো' একক কাব্যগ্রন্থ।

6 মন্তব্য

মন্তব্য করুন

Make sure you enter all the required information, indicated by an asterisk (*). HTML code is not allowed.