এই পৃষ্ঠা প্রিন্ট করুন
শনিবার, 04 জুলাই 2015 02:57

অপরাধ

লিখেছেন
লেখায় ভোট দিন
(2 টি ভোট)
                অপরাধ
অপরাধ শব্দটি ইংরেজি ক্রাইম থেকে এসেছে। অপরাধ কি? এ নিয়ে অনেকের মধ্যে মত বিরোধ থাকলেও এটি যে সামাজিক ভাবে গর্হিত কাজ এতে কারো দ্বন্ধ নেই।
অপরাধের সংজ্ঞঃ অপরাধ এমন একটি কাজ যা কোন ব্যক্তি কর্তৃক আইন এবং নৈতিকতা বিরুদ্ধ কাজ। ব্যক্তি, সমাজ, দেশ বা অঞ্চলের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রণীত আইনের পরিপন্থী কার্যকলাপই অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে।
অপরাধের প্রকারভেদঃ মূলতঃ বিশেষজ্ঞগণ অপরাধকে দু’টি ভাগে ভাগ করেছেন। এর মধ্যে প্রথমতঃ গুরুতর দ্বিতীয়তঃ লঘু উভয় ধরনেরই হতে পারে। অন্য দিক থেকে চিন্তা করলে অপরাধ নানা বিষয়ের উপর হতে পারে। বিশেষ করে অপরাধকে কি ভাবে চিহ্নিত করা হবে এটা নির্ভর করে অপরাধের ধরণ ও প্রকৃতির উপর। সমাজে কেনো অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে এর অর্ন্তনিহিত কারণগুলো দেখা দরকার। মত বিরোধ না থাকলে অপরাধ হচ্ছে ঐ সমস্ত কাজ যা আইনের ক্ষেত্রে এবং সমাজের কাছে গর্হিত কাজ। এর ব্যপ্তি ও পরিধি নিয়ে বর্তমানে নতুন রূপে সংজ্ঞায়িত করা প্রয়োজন।
অপরাধকে মূল দু’টি ভাগে ভাগ করা যায়। একটি হচ্ছে মানুষ নিজের বাঁচার তাগিদে যে অপরাধটি করে থাকে সেটি হচ্ছে (১) মৌলিক অপরাধ, আর যে অপরাধটি মৌলিক চাহিদা পূরুনের ক্ষেত্র ভিন্ন করে থাকে সেটি হচ্ছে (২) জৈবিক অপরাধ এর বাইরে যে সমস্ত অপরাধ সংগঠিত হয়ে থাকে (১) গুরুতর অপরাধ।
মৌলিক অপরাধের মধ্যে যে গুলো পরে সেগুলো হচ্ছেঃ ভিক্ষাবৃত্তির নামে স্বাভাবিক চুরি, ছিনতাই, নেশাগ্রহণ ইত্যাদি।
জৈবিক অপরাধের মধ্যে যে গুলো পরে সেগুলো হচ্ছেঃ প্রেমের ছলনায় ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা বা খুন, বৈবাহিক জীবনে অমিলের কারণে হত্যা করা ইত্যাদি।
গুরুতর অপরাধের মধ্যে যে গুলো পরে সেগুলো হচ্ছেঃ ইচ্ছাকৃত ভাবে খুন, ডাকাতি, অপহরণ, গুম পরে হত্যা ইত্যাদি।
এছাড়াও কিছু অপরাধ আছে ওগুলোকে সংজ্ঞায়িত করা বড়ই কষ্টসাধ্য। এ অপরাধগুলোর মধ্যে পরে মিথ্যা অজুহাতে সাধারণ জনগণকে হত্যা, আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও অনেক অপরাধ সংগঠিত হয়ে থাকে, ওগুলো থাকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। বিশেষ করে এক দেশ অন্য দেশের স্বাধীনতা ও সার্ভৌমত্ব নিয়ে ছিনিমিনি খেলা। আন্তর্জাতিক আদালত থাকলেও আন্তর্জাতিক আইনগুলো থাকে কিছু দেশ নির্ভর। তাই এ বিষয়ে চোখ থাকলেও দেখে না, বিবেক বুদ্ধি থাকলেও বোঝে না।
সন্ত্রাসী কর্মকান্ডেও আছে অপরাধের এক সমান্তরাল রেখা। এ থেকে সাধারণ মানুষের মুক্তি আজ আশাহত, বিবেক বর্জিত। ঘুনে ধরা সমাজ ব্যবস্থা, রাষ্টীয় বিধান এবং আন্তর্জাতিক আইনগুলোর সঠিক প্রয়োগ করা একান্ত প্রয়োজন।            
            
889 বার পড়া হয়েছে
শেয়ার করুন
 নাজমুল কবির

নিভৃতচারি কবি যিনি তাঁর মসির আঁচড়ে সামাজিক অবক্ষয়ের বাস্তব চিত্র অঙ্কন করে পাঠক সমাজে বেশ সমাদৃত হয়েছেন। কবি নাজমুল কবির প্রকৃত পক্ষে পহেলা জানুয়ারী উনিশশত ষাট সালে নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানার বড়াইগ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। নিষ্ঠুর দারিদ্রতাকে জয় করে তিনি দেখিয়েছেন নিজের দৃঢ় আত্ম-প্রত্যয়ের দুঃসহ যন্ত্রনা। তিনি ছোট বেলা থেকেই লেখালেখি পছন্দ করতেন এবং কাপাসিয়া পাইলট হাই স্কুলে অধ্যয়নরত থাকাকালীন সময়েই লেখায় হাতে খড়ি। কাপাসিয়া পাইলট হাই স্কুল হতে এস. এস. সি. এবং কাপাসিয়া কলেজ থেকে এইচ. এস. সি. কৃতিত্বের সহিত পাশ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। ঢাকায় চাকুরীরত থাকাকালীন অবস্থায় তাঁর লেখা কবিতা সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রকাশিত সেনাবার্তায় প্রকাশিত হয় এবং ঐ সময়েই সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা পরিদপ্তর ও আই.এস.পি. এর অনুমতিক্রমে বাংলাদেশ বেতার ও টিভির তালিকাভূক্ত গীতিকার হন। তাঁর লেখা গান রেডিও ও টিভিতে নব্বই এর দশকে প্রচারিত হয়েছে। তিনি একাধারে একজন সাহিত্যিক ও অপরদিকে গাজীপুর২৪ডমকম প্রত্রিকার সম্পাদক এবং দৈনিক অপরাধ তথ্য পত্রিকার গাজীপুর জেলার ব্যুরো প্রধান। নবীন কবিদের প্রতি অগাধ ভালোবাসা যার নিত্য দিনের সঙ্গী। প্রকাশিত গ্রন্থসমূহঃ (১) হৃদয়ের মাঝখানে দেয়াল (২) এক বিন্দুতে ভালোবাসা (৩) নির্ঝর ভালোবাসা (৪) কবিতার কারুকাজ (৫) প্রম আসেনি (৬) ভুতের বাসা (৭) মেঘ বালিকার স্বপ্ন (৮) হোমিও মতে চিকিৎসা, হোমিও চিকিৎসা বিষয়ক বই (৯) দ্রোহের অগ্নি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এ বারের বইমেলায় যৌথ কাব্যগ্রন্থ আলোর বিকাশসহ ৬ টি যৌথ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ তাঁর নিজস্ব শৈলী মাধুর্যতার পরিচয় মেলে। এবার বইমেলায় প্রকাশিত হবে 'শূন্য জীবন পুণ্যে ভরো' একক কাব্যগ্রন্থ।

নাজমুল কবির এর সর্বশেষ লেখা

4 মন্তব্য