.......অপমান আর দুঃখ .........তাঁদের জীবন কাহিনী। গ্রামে এক ছেলে বাস করত,ছেলেটির নাম দুঃখ।তাঁর হঠাত্ ইচ্ছে হল সে মাদ্রাসায় পড়া লেখা করবে।ছোট বেলা থেকে আরবী পড়ার প্রতি দুঃখের মনুযোগ ছিল।তাই দুঃখকে তাঁর এক বড় ভাই বাড়ীর পাশের একটি সরকারি মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীতে ভর্তি করিয়ে দিল।সেই বড় ভাইটিও একেই মাদ্রাসায় পড়ত।দুঃখ প্রতি দিন ক্লাসে যেত।চতুর্থ শ্রেণীতে অপমান নামের এক পিচ্ছি মেয়ে পড়ত।মেয়েটি পড়া লেখায় খুব ভাল ছিল।দুঃখের সাথে অপমানের বন্দুত্ব হল।দুঃখ পড়া লেখায় মোটামোটি ছিল।অপমান দুঃখের সাথে মনের কথা Share করত।দুঃখ কোন দিন ক্লাসে উপস্তিত না হলে অপমান দুঃখ ফেত।দুঃখকে অপমান পরের দিন,গত দিন ক্লাসের পড়া গুলো ধরিয়ে দিত।দুঃখ আর অপমানের ভাল একটা বন্দুত্ব হয়ে ওঠল।দুঃখকে অপমান বন্দুর মতই জানত।এইভাবে চলছিল তাঁদের দু'জনের জীবন।৪র্থ শ্রেণী এবং ৫ম শ্রেণী এভাবেই শেষ হল। অন্য দিকে দুঃখ মনে মনে অপমানকে ভালবেসে ফেলল।অপমান কোন দিন কল্পনাও করেনি,যে দুঃখ তাঁকে ভালবাসবে।দুঃখ বার বার চেষ্টা করে তাঁর ভালবাসার কথা অপমানকে বলবে।কিন্তু দুঃখ অপমানের সামনে গেলে তাঁর মনের কথা গুলো প্রকাশ করতে পারত না।দুঃখ তাঁর এক বন্দুকে মনের কথা বলল।দুঃখের বন্দু দুঃখকে এক বুদ্ধি দিল,যে দুঃখ যেন অপমানকে ভালবাসার কথা প্রকাশ করে।না বললে হয়ত যদি অপমান অন্য কারো সাথে প্রেমে পড়ে যায়,তবে তুই মরবি। এবার,দুঃখ মনে সাহস নিয়ে গেল অপমানের সামনে।দুঃখ কোন রকম তার ভালবাসার কথা বলতে পারল।অপমান তার দুই কানে আঙ্গুল লাগিয়ে বলতে লাগল,হে দুঃখ_আমি তোমার কথা শুনতে পারতেছি না।দুঃখ তবুও মন থেকে সব বলে দিল।দুঃখ এটাও বলল,যে আমি তোমাকে বিবাহ করিব।অপমান মাদ্রাসার মাঠে দাঁড়িয়ে বলল,তোমার যদি আশা থাকে তা হলে করিও।আরো বলল, অপমানের বাবা,মাকে বুঝিয়ে বলতে।তাঁহারা যদি রাজি হয়,আমিও রাজি।তবে,যত দিন মা,বাবা রাজি হবে না,তত দিন আমি কথা বলব না তোমার সাথে।কিন্তু ঠিকেই অপমান দুঃখের সাথে কথা বলত,তবে আগের চেয়ে অনেক কম।দুঃখ মা,বাবাকে জানালো।তাঁহারা একবার বলে রাখি আরেকবার অপমানিত করেই যাচ্ছে দুঃখকে।দুঃখের জীবন দুঃখেই যাচ্ছে।অপমানের বাবা দুঃখকে বলে,আমার মেয়ের জন্য রাজ্যের রাজার রাজ পুত্রের প্রস্তাব আসিয়াছে।অমুক বিদ্যালয়ের সেই বড় মাথা ওয়ালা(বিশিষ্ট ঞ্জানী)শিক্ষাকের প্রস্তাব এসেছে।শহরের বহু তলা ভবনের মালিকের প্রস্তাবও আসিয়াছে।তোমার মত গরীব দুঃখের হাতে আমার কন্যাকে কেমনে দেব তুলে?!আমার মান ইজ্জত সবেই ডুবিয়া যাইব।দুঃখ মনে মনে চিন্তা করে,মান ইজ্জত হয়তো বাসমান নৌকার মত.একটু চিদ্র হইলেই ডুবিয়া যাবে! দুঃখ অপমান সইতে পারে অপমানের জন্য।অপমান পড়া লেখায় বেশি করে ফেলল।তাই অপমানও হিংসুক হয়ে গেছে।দুঃখকে হয়তো অপমান আর চাই না,ভালবাসে না।দুঃখকে শান্তনাও দেয় না।দুঃখ অপমানকে এখনও চাই। দুঃখ ভালবাসতে জানে।দুঃখকে অপমানের মা,বাবা অপমানিত করলে হয়তো অপমানের ভাল লাগে।অপমান নিষ্টুর হয়ে গেছে।অপমান সব বুঝেও না বুঝার মত করে থাকে।দুঃখের একটাই দোষ,সে অপমানকে ভালবাসে।দুঃখ অপমানের ক্ষতি করতে চাই না।অপমান দুঃখের ক্ষতি করতে চাই।দুঃখ সব নিরবে হজম করে।দুঃখের একটাই প্রশ্ন,অপমান কি কারো জীবনে জড়িয়ে গেছ?যদি তাই হয়,অপমানকে দুঃখ যেমনি ভাল ভাবত সবেই ছিল ভুল।দুঃখের বিশ্বাসের উপযোগী কি অপমান নয়? দুঃখকে কেউ মানুষ বলে মনে করে না।এটাই দুঃখের দুঃখ।কেউ বুঝে না,দুঃখের মনের কথা।সমাজে দুঃখকে সবাই 3rd ক্লাস মনে করে।শুধু অপমানের জন্য।অপমানের বাবা তা সবাইকে বলে।তাতে দুঃখ কষ্ট পাই তাঁর মনে।দুঃখের একটাই দোষ,দুঃখের চোখে অপমান মেয়েটি বিষণ সুন্দরী ও গুণবতী।আর কেউ নয়।তাই দুঃখ অপমানকে বিষণ ভালবাসে। দুঃখ সব সময় মহান আল্লাহর উপর ভর্সা রাখে।আল্লাহ যা করে,তা মানুষের ভাল_এর জন্য করে।সে কথা দুঃখ ১০০% বিশ্বাস করে,মনে প্রাণে।দুঃখের কথা কেউ না শুনলেও আল্লাহ হয়তো শুনতে পারে,দুঃখের মনের আশা পূরণ করতেও পারে।
নুরুন্নবী জামশেদ
আমি মুসলিম।মুসলিম ঘরে আমার জন্ম। নাম:-মোহাম্মদ নুরুন্নবী বিন হাছান (জামশেদ), পিতার নাম:-মোহাম্মদ হাছান আলী, মায়ের নাম:-রাশেদা খানম। জন্ম তারিখ:-০২/০৪/১৯৯২ ইং, গ্রাম:-ছনুয়া পাড়া, ডাক+ইউনিয়ন:-বদর খালী(৪৭৪২), উপজেলা:-চকরিয়া।, জেলা:-কক্সবাজার। শিক্ষাঙ্গণ:-বদরখালী এম,এস ফাজিল (ডিগ্রী)মাদ্রাসা। মোবাইল নাম্বার:০০৯৬৮-৯৩৩২১৬১০ ২০১১ সালে বাংলাদেশ মাদ্রাসা বোর্ড হতে দাখিল(GPA=4.56)শেষ করি। ২০১৩ সালের শেষ দিকে আলিমের টেষ্ট পরীক্ষা শেষ করি,ফাইনাল দেওয়ার পূর্বে,.. ১৩/০১/২০১৩ ইং তারিখ আমি আমার জন্ম ভুমি প্রাণে দেশ,বাংলাদেশ থেকে প্রবাসের উদ্দেশ্যে ওমান চলে আসি।মনের যত কথা কিছু লেখি।
নুরুন্নবী জামশেদ এর সর্বশেষ লেখা
2 মন্তব্য
- মন্তব্যের লিঙ্ক বুধবার, 22 নভেম্বর 2023 13:06 লিখেছেন expalay
You can learn about what data of yours we retain, how it is processed, who it is shared with and your right to have your data deleted by reading our Privacy Policy propecia sell
- মন্তব্যের লিঙ্ক রবিবার, 10 মে 2015 21:19 লিখেছেন সার্জেন্ট মোঃ নাজমুল কবির (অবঃ)
ভালো লাগলো, সুন্দর
মন্তব্য করুন
Make sure you enter all the required information, indicated by an asterisk (*). HTML code is not allowed.