বুধবার, 04 মার্চ 2015 14:06

মনে পড়ে সেই সময়ের কথা

লিখেছেন
লেখায় ভোট দিন
(1 ভোট)
                সময়কে অনেকেই সময়ে গুরুত্ব দেয় না।অসময়ে মনে পড়ে সেই সময়ের কথা বা সময়ের মুল্য বুঝে।কেউ মনে করে কাঁদে,আর কেউ হাঁসে,আবার কেউ গর্ব করে।আমার বেলায় কাঁন্নাটায় হল।কর্ম জীবন বা সমাজ জীবনে এসেছি।দেশের বাহিরে আমার অবস্তান।রাতে ঘুমাতে গেলে শেষ রাতে স্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙ্গে যায়।ভুলিনি আমি,বাংলা শিক্ষক মখসুদ আহমদ স্যাঁরের সেই হৃদয় জুড়ানো বাংলা পাঠ দান'কে।ভুলিনি আমি,জনাব আব্দুল মান্নান হুজুরের হাদিস শিক্ষা দান।মনে আছে আমার,জনাব কাঁরী সাহেব হুজুরের কোরআন তেলোয়াত শিক্ষা দান।
ভুলিনি,মখবুল হোসাইন স্যাঁরের বিজ্ঞান পাঠ দান।সুত্র গুলো মনে আছে,জনাব ইসমাঈল স্যাঁরের গণিত,জ্যামিতি,লগ,সরল করানো।এখনও মনে পড়ে,জনাব কাদের স্যাঁরের ইসলামের ইতিহাস পড়ানো'কে।চোখের পাতায় এখনও দেখতেছি,জনাব এম,এ রশিদ স্যাঁর চসমার উপর দিয়ে দেখত ছাত্র/ছাত্রীদেরকে সে কথা,কানে এখনও শব্দ শুনতে পাচ্ছি,স্যাঁর বলত,আমার পিচনেও দুইটি চোখ আছ,যা দিয়ে ওনি আমাদের দুষ্টামি দেখত।ভুলিনি আমি,জনাব মখসুদ হুজুর এবং জনাব আরিফ হুজুরের সেই মিয়াতে আ'মেল মন্জু(কিতাবটির নাম হয়তো ঠিক লিখতে পারিনি)বা নাহু সরফ ঘন্টার মারধরের কথা।মনে পড়ে,জনাব ফিরোজ হুজুরের ফিকাহ ও ওসুলে ফিকাহের পাঠ দান।স্বরণ রেখেছি আমি,জনাব ইয়াহিয়া হুজুর এবং জনাব নাজিম হুজুরের আরবী ১ম ঘন্টার আরবী কপি কোন দিন আমার বন্দুরা আর কোন দিন আমি নিজেই তুলতাম,সেই সাথে আমার সেই মন কেঁড়ে নেওয়া মানুষটির খাতাও আমার খাতার বেতর ডুকিয়ে রাখতাম,ক্লাস শেষে সে পাগলের মত হয়ে তাঁর খাতা খুজত।অবশেষে আমার হাত থেকে তাঁর খাতা নিত আর একটা মুচকি হাঁসি দিত,যে হাঁসিতে আমার মনটা ব্যাকুল হয়ে যেত।তাঁকে এখনও মনে পড়ে,যদিও তাঁকে দুঃসময়ের জন্য গালি দিয়।তবে সেই গালি মন থেকে নয়,মুখ থেকে।

স্যাঁর/হুজুর স্বীকার করতেছি,আমি বন্দুদের আড্ডায় পড়ে মাদ্রাসার পশ্চিম দিকের টিউবলটির পাশের নারিকেল গাছ তলায় কত শত বার বসে থাকছি আর অপেক্ষায় থাকতাম শিক্ষক কখন শ্রেণী কক্ষ হতে বের হবে।মনে পড়ে যায়,ক্লাস চলাকালীন সময়ে তাঁর(মনের মানুষ)দিকে থাকিয়ে থাকতাম,সেও আমার চোখের দিকে চেয়ে থাকত.চোখে চোখ সমান হলে তাঁর চোখ দু'টু নিচের দিকে নামিয়ে নিত আর লজ্জা পেত.তখন থাকে খুবেই সুন্দর লাগত।

স্যাঁর,অবহেলা আপনাদেরকে করিনি.নিজেকে নিজেই অবহেলা করে ছিলাম।আজ বুঝতেছি,স্যাঁর আজ বুঝতেছি।আজ শত হাজার টাকা খরচ করলেও সেই দিনের একটি মিনিটও ক্রয় করা সম্ভব হবে না,সেই বন্দুদের সাথে বসে আর তাঁর মিষ্টি মুখ দেখার সুযোগ পাব না,তা বুঝেছি স্যাঁর তা বুঝেছি।ক্ষমা চাই স্যাঁর/হুজুর ক্ষমা চাই।তবে,আপনাদের থেকে যতটুকু শিখেছি তা দিয়ে নিজের বর্তমান জীবন তথা সমাজ জীবন,পারিবারিক জীবন পরিচালনা করার সেষ্টা করি।দোয়া করবেন যাতে বাকি জীবনে সূখি হতে পারি।

স্যাঁর/হুজুর,আপনারা অনেকেই বলতেন.আমরা যেন পরবর্তী জীবনে অতীতকে না ভুলি।দোয়া করুন অতীতকে যেন ধরে রাখতে পারি বা স্বরণ রাখতে পারি।

দোয়া করুন,যেন আপনাদেরকে আবার দেখতে পারি।

সালাম স্যাঁর/হুজুর আপনাদের কদমে হাজার সালাম জানাই।

বিঃদ্র:-[অনেক শিক্ষকদের নাম এবং অবস্তান লিখতে না পারায় দুঃখিত]

জামশেদ(বদরী)
ওমান থেকে.
900 বার পড়া হয়েছে সর্বশেষ হালনাগাদ বুধবার, 04 মার্চ 2015 19:32
শেয়ার করুন
নুরুন্নবী জামশেদ

আমি মুসলিম।মুসলিম ঘরে আমার জন্ম। নাম:-মোহাম্মদ নুরুন্নবী বিন হাছান (জামশেদ), পিতার নাম:-মোহাম্মদ হাছান আলী, মায়ের নাম:-রাশেদা খানম। জন্ম তারিখ:-০২/০৪/১৯৯২ ইং, গ্রাম:-ছনুয়া পাড়া, ডাক+ইউনিয়ন:-বদর খালী(৪৭৪২), উপজেলা:-চকরিয়া।, জেলা:-কক্সবাজার। শিক্ষাঙ্গণ:-বদরখালী এম,এস ফাজিল (ডিগ্রী)মাদ্রাসা। মোবাইল নাম্বার:০০৯৬৮-৯৩৩২১৬১০ ২০১১ সালে বাংলাদেশ মাদ্রাসা বোর্ড হতে দাখিল(GPA=4.56)শেষ করি। ২০১৩ সালের শেষ দিকে আলিমের টেষ্ট পরীক্ষা শেষ করি,ফাইনাল দেওয়ার পূর্বে,.. ১৩/০১/২০১৩ ইং তারিখ আমি আমার জন্ম ভুমি প্রাণে দেশ,বাংলাদেশ থেকে প্রবাসের উদ্দেশ্যে ওমান চলে আসি।মনের যত কথা কিছু লেখি।

3 মন্তব্য

মন্তব্য করুন

Make sure you enter all the required information, indicated by an asterisk (*). HTML code is not allowed.