মঙ্গলবার, 23 জুন 2015 22:05

হ্যালো.....মা নির্বাচিত

লিখেছেন
লেখায় ভোট দিন
(2 টি ভোট)
                হ্যালো...... 
ক্রিং ক্রিং... (Every night in my dreams..I see U…I feel u…)
হ্যালো??? 
ও “মা” তুমি তা কেমন আছ?
ভাল আছি, “তুই কেমন আছিস বাবা”?
এই তো ভালো। 
তা কখন থেকে ফোন দিচ্ছি।শুধু waiting আর waiting ….
কি ভাত খেয়েছিস ?
হা মা খাইছি। 
কি দিয়া ?
ফুলকপি দিয়ে কই মাছ আর পালং শাক।
এখন কি করছিস?
খাবার পর একটু রেস্ট নিচ্ছিলাম।এর ভেতর তুমি ফোন দিলা।
পড়াশুনার কি অবস্থা?তোর না সামনে পরীক্ষা।
এইতো মা একটু রেস্ট নিচ্ছি একটু পরেই পড়তে বসব ইনশাআল্লাহ।
পরীক্ষার আগে বেশি রাত জাগবিনা?শরীর খারাপ হবে।
কি যে বল মা পরীক্ষার আগে কি রাত না জাগলে হয়।
আর শোন বাবা,একটু নামাজ পড়ার চেষ্টা কর।
মা,তুমি যে কিনা সবসময় নামাজ-নামাজ কর।
কত শখ করে তোকে কোরআন পড়াটা শিখিয়েছিলাম তাও ভুলে গেলি।
মা তুমি এবার থামবে। সুযোগ পেলেই বকবকানি শুরু করে দাও। 
মা আমি রাখলাম।আব্বুকে টাকা পাঠাতে বল।ভালো থাকো।
আরে শোন শোন... একটা কথা শোন...
(কোন প্রতি উত্তর এলনা)
(আচ্ছা যদি এমন হয়...)     
হ্যালো মালেক...
আসসালামু য়ালাইকুম, হা মা কেমন আছো?
অলাইকুম আসসালাম,আছি আলহামদুলিল্লাহ।তুমি কেমন আছো মা?তোমার বাতের ব্যাথাটা কি কমেছে?
হ্যা বাবা।এখন একটু ভালো অনুভব করছি।তবে কয়েকদিন ধরে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে একটু কষ্ট হচ্ছে?তাই বসেই নামাজ পড়ি। 
বাবা এশার নামাজ পড়েছিস?
হ্যা মা।নামাজ পড়ে এই মাত্র ঘরে আসলাম। 
আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এরশাদ করেছেন, “যে ব্যাক্তি এশার নামাজ জামায়াতের সাথে আদায় করল সে যেন সারাটা রাত ইবাদত করে কাঁটাল”।কেন এই সুযোগ মিস করব মা। 
তা বাবা তোমার কোরআন মুখস্ত করার পরিকল্পনা কত দূর?
“চেষ্টা করছি।তুমি আমার জন্য দুয়া করিও।তোমাদের দুয়া পেলে আমার আর কিচ্ছু দরকার নেই”। 
“মায়ের কাছে আবার দুয়া চাইতে হয় রে বাবা।তোদের জন্য সারাটাক্ষণ মন থেকে দুয়া করি”। 
আচ্ছা মা আব্বুর শরীরের কি অবস্থা?
তোর আব্বুর শরীর ভালো আছে।তোর জন্য সারাক্ষন চিন্তা করে।  
বাবা আজকে কি কোরআন হাদিস পড়েছিস?
কোরআন পড়েছি।হাদিস এখনও পড়া হয়নাই।
এখনি পড়ে নে।শয়তান পিছু লাগতে পারে।
হ্যা মা ঠিক বলছ,শয়তান তো আমাদের প্রকাশ্য শত্রু?শয়তানের ব্যাপারে আমাদের সব সময় সজাগ থাকা জরুরি।শয়তান তো বলেছে, সে আমাদের পথভ্রষ্ট করার জন্য “ সামনে,পেছনে,ডান-বাম সব দিক থেকে আক্রমন করবে”(সুরা আরাফ-১৭)
তোমার সাথে কথা বলেই পড়ে নিব ইনশাআল্লাহ।  
হাদিস না পড়ে ঘুমাব না ইনশাআল্লাহ্‌।
পড়াশুনার কি অবস্থা?
এই তো মা চেষ্টা করছি।
বাবা মনে রাখিস-
“দক্ষতা ছাড়া সততা অর্থহীন,সততা ছাড়া দক্ষতা।আর শোন মানুষকে আল্লাহর দাওয়াত  হিকমাহ আরা সুন্দর যুক্তির মাধ্যমে দেবার চেষ্টা করবি।জীবনে চলার জন্য সবসময় মধ্যমপন্থা অবলম্বন করবি।মানুষের কল্যাণ করবি সাধ্যমত। আল্লাহ্‌র দিকে ডাকতে গেলে বাঁধা আসবে,তাই বলে পিছু হটলে চলবেনা।ধৈর্য ধরে কাজ করে চলতে হবে।আর মনে রাখিস,আর কোন নবী রাসুলকে এই দুনিয়ার মানুষের হেদায়েতের জন্য আল্লাহ্‌ পাঠাবেন না,এখন আমাদেরকেই আল কুরআন আর রাসুলের আদর্শ অনুসরণ করে মানুষকে আল্লাহ্‌র দিকে ডাকার কাজ করতে হবে।আর না ডাকার পরিনতি হবে ভয়াবহ”।
হ্যা মা ঠিক বলেছো,সব মুসলমানের দায়িত্ব ইসলামকে জীবনব্যাবস্থা হিসেবে মেনে চলা,এবং সেই জীবনব্যাবস্থার দিকে মানুষকে আহবান করা।   
আচ্ছা মা,আদনানের মায়ের কি অবস্থা?উনার শরীর এখন কেমন আছে?
শরীরটা বেশ ভালো নেই।ছেলের জন্য সারাক্ষন মন খারাপ করে থাকে।আমি আজ সন্ধায় দেখা করতে গিয়েছিলাম।তুই খাবার দাবার ঠিক মত করবি ঠিক আছে।
আচ্ছা মা আজ তাহলে রাখি,তুমি আমার জন্য দুয়া করিও।আমি যেন তোমাদের চক্ষুশীতলকারী সন্তান হতে পারি।            
            
1299 বার পড়া হয়েছে
শেয়ার করুন
আল মামুন উর রশিদ

একটি সুন্দর গল্প মানুষকে হেরার পথ দেখাতে পারে...

আল মামুন উর রশিদ এর সর্বশেষ লেখা

এই বিভাগে আরো: « ডায়েরি ক্ষমা »

4 মন্তব্য

মন্তব্য করুন

Make sure you enter all the required information, indicated by an asterisk (*). HTML code is not allowed.