রবিবার, 16 আগষ্ট 2015 22:25

এ কেমন ভালোবাসা ? নির্বাচিত

লিখেছেন
লেখায় ভোট দিন
(1 ভোট)
                জয় এবং ক্লিওপেট্রা দুই ভূবনের দুই বাসিন্দা।বাংলা সিনেমার কাহিনীর মতই ক্লিওপেট্রা গরীব বাবার সুন্দরী মেয়ে।দেখতে একদম পরীর মতন।আর জয় বড়লোক বাবার একমাত্র সন্তান।দুজনের মাঝে বন্ধুত্ব অতপর ভালবাসাবাসি।আজ দুজনে ঘুরতে এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টি,এস,সি।
ক্লিওপেট্রাকে দেখেই জয় বলল,“জান সাবধান থেকো,জঙ্গিরা যেকোনো সময় তোমাকে মেরে ফেলবে”।আমাকে কেন মেরে ফেলবে আমি কি অপরাধ করলাম ?ক্লিওপেট্রা যেন কিছুটা অস্থির হয়ে গেল জয়ের কথায়। 
জয় বলল,“তোমার অপরাধ হচ্ছে তুমি আমাকে প্রানের চেয়ে ভালবাস”?ক্লিওপেট্রাঃ “এতে তো আমি কোন দোষ দেখছিনা।একজন মানুষ আরেক জন মানুষকে ভালো বাসতেই পারে”।জয়ঃ“জঙ্গিরা চায় না তুমি আমার সাথে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা কর”।                                            ক্লিওপেট্রাঃ ও আচ্ছা তাই।জঙ্গিরা চাইলেই কি আর না চাইলেই কি আমি তোমাকে ভালোবাসেই যাব। 
জয়,তুমি কি আজ ফ্রি ? ফ্রি থাকলে তোমাকে আজ কিছু কথা বলতাম”।
জয়ঃ “তোমার জন্য আমি সবসময় ফ্রি জান”?। 
ক্লিওপেট্রাঃ তুমি তো আমাক অনেক ভালোবাসো তাইনা!
কেন,কোন সন্দেহ আছে ?
না কোন সন্দেহ নেই কিন্তু।
কিন্তু মানে? 
আচ্ছা একটা প্রশ্নের জবাব দেবে,তুমি আমার বন্ধুদের হেরোইন,গাঁজা,মদ সরবরাহ কর কেন?এগুলো খেয়ে আমার বন্ধুরা দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে?জয় বলল,“একে তুমি নষ্ট হওয়া বলছ কেন জান?তরুণ বয়সে একটু-আধটু ফুর্তির দরকার আছে আমি তো সেই ফুর্তির ব্যবস্থাই করেছি।তাছাড়া এই ছোট্ট জীবনে এতটুকুন আনন্দ-ফুর্তি  না করলে চলে”।আর একটি বিষয়,তুমি  আমার কবুতরগুলোকে গুলি করে কাঁটা তারে ঝুলিয়ে রেখেছো কেন?                                                                                                                       জয়, “আরে ওরা তো সন্ত্রাসী।আমার অনুমতি না নিয়েই ওরা আমার জমিতে খাবার খেতে এসেছিল”।ওরা কিভাবে সন্ত্রাসী,এই তুচ্ছ কারণে এই নিরীহ জীবকে হত্যা করতে পারলে ?
 অনেকদিন পর তোমার সাথে কথা দেখা হল,আর তুমি এসব কি নিয়ে আলোচনা করছো  ক্লিওপেট্রা ?এসো আমরা ভালোবাসা-বাসি করি”।আমারও তো ভালোবাসার কথাই বলতে ইচ্ছে হয় জয়,কিন্তু তুমি যেন কেমন দিন দিন বদলে যাচ্ছে। 
ক্লিওপেট্রা তুমি কি আমার বিরুদ্ধে আজ এসব বলতেই এসেছ?
আমার বলা শেষ হয়নি।
ঠিক আছে আর কি বলবে বল।                                                                                                                      
ক্লিওপেট্রা বলল, “আমার চাচাতো ভাইবোনেরা সবসময় তোমার দেয়া নাটকের সিডি,ডিভিডি দেখে ?আমি একটা দেখেছি এগুলো বিচ্ছিরি,একদম রগরগে।তুমি এসব  নাটক,সিনেমা ওদের কেন দিলে?
জয় বলল, “এগুলোকে তুমি অশ্লীলতা বলছ কেন? আমি তো চাই তুমিও তোমার পরিবার-পরিজন সবাইকে নিয়ে এগুলো দেখে আর্ট কালচার শেখ।তাছাড়া বিয়ের পূর্বেই নারী যদি না পুরুষের আর পুরুষ যদি না নারীদেহের স্বাদ পায় তাহলে তো বিয়ের পর তো তারা কিছুই বুঝে উঠতে পারবেনা এজন্যতো এ ব্যবস্থা? আর এগুলোর জন্য আমাকেই বা দোষ দিচ্ছ কেন?তোমার জমির চাচাই তো আমার কাছ থেকে এগুলো নিয়ে গেল”।  
কী  বলছ,জমির চাচা এই কাজ করেছে।
হু,আর কিছু বলবে?(রাগত স্মরে)
 আর একটি কথা বলার ছিল?
 বল।
 ক্লিওপেট্রা, “আচ্ছা আমাকে কে মেরে ফেলবে এই খবরটা আমার গ্রামের বন্ধুরা তো কখনো আগে জানেনা।তুমি সবসময় আগে কিভাবে জানো ? আমার তো মনে হয়,আমার হত্যার খবরটা একদম মিথ্যা কারণ আমাকে কাছে টানার জন্য তুমি বানিয়ে বানিয়ে এসব মিথ্যা কথা বল” ?
 জয় এবার প্রচণ্ড রাগ করে ক্লিওপেট্রাকে একা ফেলে চলে গেল।যাবার সময় বলল,আমি তোমাকে ভালোবাসি বলেই তোমার জন্য এসব করি।
ক্লিওপেট্রা বুঝলনা এ আবার কেমন ভালোবাসা !!            
            
1502 বার পড়া হয়েছে সর্বশেষ হালনাগাদ বৃহষ্পতিবার, 10 সেপ্টেম্বর 2020 13:59
শেয়ার করুন
আল মামুন উর রশিদ

একটি সুন্দর গল্প মানুষকে হেরার পথ দেখাতে পারে...

আল মামুন উর রশিদ এর সর্বশেষ লেখা

এই বিভাগে আরো: « মা বিদায় পাখি। »

1 মন্তব্য

মন্তব্য করুন

Make sure you enter all the required information, indicated by an asterisk (*). HTML code is not allowed.