শুক্রবার, 04 সেপ্টেম্বর 2020 15:59

মানুষ হত্যার নেপথ্য নির্বাচিত

লিখেছেন
লেখায় ভোট দিন
(2 টি ভোট)
                প্রবন্ধ 
মানুষ হত্যার নেপথ্য 

শিরোনাম দেখে আপনি হয়তো ভাবছেন, তবে এদেশে অনেক মানুষকে নীরবে হত্যা করা হচ্ছে , আমাদের অগোচরেই! অনেকটা এমনই, রাস্তাঘাটে দূর্ঘটনা এবং ধর্ষণ নির্যাতনের নামে। এর নেপথ্য কারণ, আড়ালেই রয়ে যাচ্ছে, দিনের পর দিন।  কারণগুলো না জানে আমজনতা আর না জানে হত্যাকারী ও হত্যায় মৃতব্যক্তি! 
ড্রাইভার, হেলপার থাকে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছতে মারিয়া। যে যতো আগে পৌঁছতে পারবে ততোবেশি তারা টিপ মারতে পারবে। তাতে দৈনিক আয়ও বাড়বে অনেক গুণ! আর এজন্যই দেখা যায়, একই মালিকের দু'গাড়ি প্রতিযোগিতা করছে, আগে যাওয়ার জন্য! কখনোবা এর বেশি গাড়িও প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতে দেখা যায়। 
বড়ই আশ্চর্য ব্যাপার,তারা নিজেদের 
হীন স্বার্থের জন্য কৃত্রিম প্রতিযোগিতায় লিপ্ত! 
কিন্তু আফসোস!! 
মানুষের জীবন কেড়ে নিতে বিন্দুমাত্রও অন্তরে প্রতিক্রিয়া নেই...

একবার একজন ড্রাইভারের সাথে কথা হয়। একজন হেলপারের সাথেও কথা হয়েছিলো। তারা আশ্চর্য করে দিয়ে বলেছিলো; ড্রাইভারদের টার্গেট পূরণ  করতে এমনটি করে! 
টার্গেট কি? 
টার্গেট হচ্ছে, দৈনিক হাজিরা বেতন বাদে টাকার নির্দিষ্ট একটা পরিমাণ থাকে। সে পরিমাণ পূরণ করতে পারলে কমিশন মেলে তাদের! দারুন কৌশলই বলতে হয়,মালিক, শ্রমিকদের এ টার্গেট পূরণ! সামান্য কিছু অর্থের জন্য মানব হত্যা!? 

নারী, শিশু এবং গৃহকর্মী নির্যাতনের 
চিত্রও প্রায় একই রকম। নিজের পশুত্ব ও স্বার্থের জন্য এদের ওপর চলে অমানুষিক নীরব নির্যাতন! অন্যদের বেঁচে থাকার স্বপ্নকে গলা  
চেপে ধরে হত্যার অপ্রকাশিত নির্লজ্জ তাণ্ডব! আল্লাহ, কবে মুক্তি মিলবে এ জাতির...            
            
643 বার পড়া হয়েছে সর্বশেষ হালনাগাদ শনিবার, 05 সেপ্টেম্বর 2020 13:14
শেয়ার করুন
জামাল বিন ইউনূস

জামাল বিন ইউনূস সিরাজগঞ্জ জেলার সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যধলডোব (বালুহাটা) গ্রামে ৭ ডিসেম্বর ১৯৮২ সনে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম ইউনূস আলী, মাতা জামফুল বেগম। চার ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। তিনি দাওরাতুল হাদিস (মাস্টার্স সমমান) ও আরবি সাহিত্যের উচ্চতর ক্লাস দাওরাতুল হক আদর্শ বহুমুখী মাদরাসা, শহরদিঘী, বগুড়া। লেখালেখির চর্চা ছাত্রজীবন থেকেই। প্রকাশিত গ্রন্থ (সম্মাদনা) ওলি হওয়ার পাথেয়। প্রকাশের পথে 'শান্তি দুঃখের শেষে ও মুক্তির সহজ উপায়'। সাবেক শিক্ষক আল-মাদরসাতুল ইসলামিয়া বাহরুল উলুম (সীমাবাড়ী), সীমাবাড়ী, শেরপুর, বগুড়া।

3 মন্তব্য

মন্তব্য করুন

Make sure you enter all the required information, indicated by an asterisk (*). HTML code is not allowed.