যার যায় তারই বুক জ্বলে এটা বানর ভুমি, চল ঘুরে দেখি--- পূর্বে এরা বেশ ভালই ছিল, জটলা মিছিল-মিটিং, দল গড়া-ভাঙা খেলা, ছলা-কলা, ফষ্টিনষ্টি উকুন উকুন অর্থাৎ উকুনবাছার খেলা, ঘর-কন্যা সোহাগ-রাত, ডিগবাজি লম্প-ঝম্প নিরর্থক হই-হুল্লোর চমক-ঠমক আরো কি যে, কত রকম--- এর পর ওরা নিজস্ব নিয়মে ঘর বানালো, ক্ষেত-খামার, হাট-বাজার, রান্না-বান্না, বই- কলম, অফিস-আদালত ইত্যাকার সকল পথ, জলমহল, রাজ মহল সোপিংমল, আনন্দ কোলাহল আপন খেয়ালের ভেলায় তুলে রেখে জাবর কাটছিলো--- এক তাগড়াদেহী বানর দীর্ঘদিন পর শৃগাল মামার বাড়ি থেকে ফিরে এলো। তার মাথায় ছিল কৌশলের চকমকে চোখ ধাঁধানো বাহারি রং মাখানো হাড়ি, লেজে গোবর মেখে কোন এক শিখর চূড়া থেকে, ধীরে চুপিসারে আমাদের চোখ ধাঁধানো রঙ্গীন চশমার মোহবদ্ধ আবেগের উষ্ণতার ফাঁকে, ছোঁ মেরে নিয়ে গেল সঞ্চিত সুখের মধুর আয়োজন। শুরু হল বাদরের বাঁদরামো খেলা জমে ওঠলো মেলা অরণ্যে-বনে উঠোনে-ঘরে-ছাদে, কেউ বেশ মজাকরে হা-হা করে হাসে, দ্রোহ নেই সব যেন ঠিকঠাক চুপচাপ গড্ডালিকা প্রবাহে কেবল ভাসে, যার গেল, লন্ডভন্ড হয়ে গেল ভাঁজে ভাঁজে সাজানো বই-খাতা, টাকা-কড়ি সখের মোবাইল, চাবির গোছা, ঘর-বাড়ি, সাজানো সংসারের টুকিটাকি, ছোটখাটো ভারী ভারী আশা--- যার গেল, সে ফ্যাল-ফ্যাল করে তাকিয়ে উদাস, ভাবে--- যার যায় তারই বুক জ্বলে, ভেতরে যন্ত্রণাকাতর কে যেন কেবলই কাঁদে, চোখে-বুকে-মুখে তার তবু অশান্ত অগ্নির তাপ-দাহ---ফিরে পেতে চায় পৌষালী পিঠার উল্লাস, হারানো মানুষের মানবীয় সরল সভ্যতা, লুন্ঠিত সময়ের ক্ষণিকের মেলা। #বরিশাল, ১২/১১/১৫