শনিবার, 12 ডিসেম্বর 2015 15:31

যার যায় তারই বুক জ্বলে নির্বাচিত

লিখেছেন
লেখায় ভোট দিন
(1 ভোট)
                যার যায় তারই বুক জ্বলে

এটা বানর ভুমি, চল ঘুরে দেখি---
পূর্বে এরা বেশ ভালই ছিল, জটলা
মিছিল-মিটিং, দল গড়া-ভাঙা খেলা,
ছলা-কলা, ফষ্টিনষ্টি উকুন উকুন অর্থাৎ
উকুনবাছার খেলা, ঘর-কন্যা সোহাগ-রাত,
ডিগবাজি লম্প-ঝম্প নিরর্থক হই-হুল্লোর
চমক-ঠমক আরো কি যে, কত রকম---

এর পর ওরা নিজস্ব নিয়মে ঘর বানালো,
ক্ষেত-খামার, হাট-বাজার, রান্না-বান্না, 
বই- কলম, অফিস-আদালত ইত্যাকার
সকল পথ, জলমহল, রাজ মহল
সোপিংমল, আনন্দ কোলাহল আপন
খেয়ালের ভেলায় তুলে রেখে 
জাবর কাটছিলো---

এক তাগড়াদেহী বানর দীর্ঘদিন পর
শৃগাল মামার বাড়ি থেকে ফিরে এলো।
তার মাথায় ছিল কৌশলের চকমকে
চোখ ধাঁধানো বাহারি রং মাখানো হাড়ি,
লেজে গোবর মেখে কোন এক
শিখর চূড়া থেকে, ধীরে চুপিসারে 
আমাদের চোখ ধাঁধানো রঙ্গীন চশমার
মোহবদ্ধ আবেগের উষ্ণতার ফাঁকে,
ছোঁ মেরে নিয়ে গেল সঞ্চিত
সুখের মধুর আয়োজন।

শুরু হল বাদরের বাঁদরামো খেলা
জমে ওঠলো মেলা অরণ্যে-বনে
উঠোনে-ঘরে-ছাদে, কেউ বেশ
মজাকরে হা-হা করে হাসে, দ্রোহ নেই 
সব যেন ঠিকঠাক চুপচাপ গড্ডালিকা প্রবাহে কেবল ভাসে,  
যার গেল, লন্ডভন্ড হয়ে গেল ভাঁজে ভাঁজে
সাজানো বই-খাতা, টাকা-কড়ি
সখের মোবাইল, চাবির গোছা, ঘর-বাড়ি,
সাজানো সংসারের টুকিটাকি,
ছোটখাটো ভারী ভারী আশা---

যার গেল, সে ফ্যাল-ফ্যাল করে 
তাকিয়ে উদাস, ভাবে---
যার যায় তারই বুক জ্বলে, ভেতরে যন্ত্রণাকাতর কে যেন কেবলই কাঁদে,
চোখে-বুকে-মুখে তার তবু
অশান্ত অগ্নির তাপ-দাহ---ফিরে পেতে চায়
পৌষালী পিঠার উল্লাস, হারানো
মানুষের মানবীয় সরল সভ্যতা, লুন্ঠিত 
সময়ের ক্ষণিকের মেলা।

#বরিশাল, ১২/১১/১৫            
            
1109 বার পড়া হয়েছে সর্বশেষ হালনাগাদ বৃহষ্পতিবার, 21 জানুয়ারী 2021 21:58
শেয়ার করুন
কে এম আলাউদ্দীন

কে এম আলাউদ্দিন বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার অম্বিকাপুর গ্রামে পহেলা মে ১৯৫৩ ইং সনে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম আব্দুল হামিদ মিয়া, মাতা মরহুমা রাবেয়া খাতুন। ৩ ভাই ও ৪ বোনের মধ্যে তিনি সকলের বড় । শৈশবকাল হইতেই তিনি লেখা প্রতি ঝোঁক ছিল। তিনি বরিশাল এপেক্স হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হতে ডি.এইস.এম.এস. ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি ৫০ সহস্রতমিক পদ্ধতিতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করে আসছেন। সদা হাস্যোজ্জল ব্যক্তি তিনি। আলোর মুখোমুখি নামে তার একটি কবিতার বই ১৯৮৫ সনে প্রকাশিত হয়েছিল। বর্তমানেও তিনি নিয়মিত ভাবে লিখে চলেছেন, সাহিত্যের একজন সেবক হিসেবে এখনও তিনি সক্রিয়। তিনি বর্তমানে ৭৭৫, সদর রোড, শাকুর ম্যানসন (ক্যাপ্টেন নজিব উদ্দিন ক্লিনিক সংলগ্ন) বরিশাল শহরে বসবাস করছেন।

2 মন্তব্য

মন্তব্য করুন

Make sure you enter all the required information, indicated by an asterisk (*). HTML code is not allowed.