এই তোমরা জানো কি, আমি যে এক যাযাবর ভিক্ষুক? প্রিয়ার কাছে চেয়েছিলেম এক মুঠো প্রেম, এক চিলতে আদর, একটু অনুরাগে ঐ হিম শীতল স্পর্শটা! না মঞ্জুর হল না আমার নূন্যতম আর্তিটুকু! ব্যাথার বারিধীবুকে পেলাম এক নীল বেদনার পরশ- এখন আমি এক আত্মভোলা যাযাবর! অন্ধকারে জোনাকিদের দেখে হিংসে হয় আমার! আমার শিয়রে মঙ্গলদ্বীপ জ্বালানোর কেউ যে আর নেই! নেই আলোকবর্তিকা হাতে অপেক্ষমাণ কেউ! জানি, স্বান্তনার মশাল রূপেও কেউ কখনো আসবে না আর। অন্তত ঢেউয়ের মাঝে ইচ্ছে করে সহসাই হারিয়ে যেতে ! কিংবা নিজেকে বিলিন করে দিই কোন কষ্টের তুষার পাহাড়ে ! আনমনা আমি হঠাৎ চমকে উঠি, কেউ এলো কি? না কোথায় কেউ নেই, নির্জন বেদনার তীরে আমি যে একা! শুধুই একা! স্বপ্ন-ভঙ্গের বেদনা বুকে নিয়ে আবার স্বপ্ন দেখি- মুমূর্ষু পেন্সিলে আঁকি জীবনের নবীন রূপরেখা। সনাতনী দৃষ্টির মাঝে খুজি এক ব্যতিক্রমী আমাকে- তবুও পাই কালের কুটির দ্বারে সায়াহ্নের দীর্ঘ ছায়া! খেলেছি এক বেদনার হোলি, নীল আবীর আজ আমার দগ্ধ অঙ্গে। জমাট অভিশাপ গড়েছে সিন্ধু আমার প্রতি রন্ধ্রে রন্ধ্রে! তবুও ল্যাম্পপোষ্টের বিবর্ণ আলোতেই খুঁজে যাই নতুন ভোর। আমি কিছুতেই পারিনা বদলে যেতে, আমি যে এক যাযাবর।