তোকে আজও খুঁজি ©............সহিদুল সাবরীনা, কেমন আছিস তুই? অবশ্যই ভাল আছিস? সুখের বাসরে ভালই থাকার কথা, ভাল থাকবিই না বা কেন? তোর স্বপ্ন কুঠরি প্রিয়জনে ভরপুর, তোকে ঘিরে আছে সুখের সাদা পায়রা, তবু তোকে নিয়ে আমার চিন্তা, তুই সুখে আছিস তো? ক্ষণিকের জন্যও যদি শুনি তুই ভাল নেই, আমি যে তা সইতে পারবোনা সহার শক্তি যে বিধি আমাকে দেয়নি। জানিস এই প্রবাসেও তোকে নিয়ে অনেক ভাবি, তোকে ভেবে ভেবেই ঘুম ভাংগে, আর আমার আনাগোনাতে পাখিদের ঘুম ভাঙে। পাখির কলরবে, ভ্রমরের গুঞ্জরনে আমি তোকে খুঁজি। জানালাতে তোর প্রতিচ্ছবি দেখার জন্য মেঠো পথ খুঁজি। গন্ধরাজের ঘ্রান নেওয়ার জন্য দক্ষিণের বাগান খুঁজি। তখনো দিবাকর চক্ষু মেলে নাই, শহরের লালনীল বাতিগুলি খেলা করে। শহুরে রাস্তায় যানবাহনগুলি শাঁ করে চলে যায়। গায়ে আচমকা বাতাসের ধাক্কা লাগে, বুকের ভিতরটা কেমন যেন কেঁপে উঠে। সাবরীনা, তোর কি মনে আছে? কারণেঅকারণে পশ্চিমা ওই মেঠো পথ ধরে হাটতাম, আর তুই বাতায়ন খুলে চেয়ে দেখতি, আমি যেন বাতায়নে উকি দিয়ে চন্দ্রিমা দেখতাম, না না চন্দ্রিমা নাহ, কারণ চন্দ্রিমার গায়েও কলংক আছে, তোর তো কোন কলংক নেই, তাইলে তোকে চন্দ্রিমা বললাম কেন? না তা হতে পারে না, আমার ভুল হয়েছে, তুই চন্দ্রিমা না, তুই চাঁদের চেয়েও সুন্দর। সাবরীনা, তুইই তো বলেছিলি, "যদি আমি হারিয়ে যাই ভোরে উঠে শিশিরের উষ্ণতা নিস" আর দক্ষিণা সমীরণের নীহারতা নিস, প্রতিটা ভোরে শিশিরের মালা গেঁথে আমি যে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি, তোর হারিয়ে যাওয়ার সময় বুঝি শেষ হবেনা? শেষ হবেনা আমার অপেক্ষার প্রহর। সাবরীনা, তুই জানিস? প্রতিটি পবাসীর যান্ত্রিক জীবনেও একটি নদী প্রবাহমান, আর সেই প্রবাহিণীর অজানা স্রোতে হারিয়ে যাওয়া তোকে আজও খুঁজি। (নোট:-সাবরীনা একটি ছদ্ম নাম)