বিবেকের খণ্ডিত উত্তাপ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী একদল আদম সন্তান উদোম গায়ে ছুটছিল উদভ্রান্তের মতো নিরন্তর, যেমন পতঙ্গেরা ছুটে চলে আগুনের উত্তাপে আলো হয় আলেয়া, বিবর্ণ জীবন চোখ বুজে; অনাগত পথ পালাবার পথ খোঁজে; কোন এক ঝুমকো লতার সহমরণ কিংবা আত্মসমর্পণ, তবুও থমকে দাঁড়ায় থেমে যেতে চায়; কোন এক সোনার হরিনের খোঁজে, যার অস্তিত্ব ছিল নির্ভেজাল সুড়ঙ্গের মতো বুভুক্ষ মানুষদের শোষিত রক্তগঙ্গায় রাজা মহারাজের ঢেঁকুর তোলা স্বার্থপর ভুরিভোজে। লোকালয়ে কোলাহল হয় শুকুনীরা খুঁজে শোষিতকে যদি পায়ের তলে পিষ্ট করে বিকলাঙ্গ করা যায় মানুষের বিবেককে, চিত্ত হরণ কঙ্কাবতীর ক্রীতদাসের বাজারে; নতুবা জনগণ নিন্দিত ভণ্ডামির দরবারে; বিবেক অপেক্ষা করে বিবেকের পবিত্র মাজারে; যদি বাইরের চাকচিক্যের দেয়াল ভেঙে ফেলে ভিতরের কলংকিত বিবেকটাকে টেনে হিঁচড়ে বের করা যায়, যেত অবিরত মানবিক সভ্যতার অধিকারের দাবিতে; কোন এক গোত্রহীন ফেরারির মিছিলে যেখানে মরা লাশের শহরে, মৃতরা জীবিত হয় আর জীবিতরা হয় মৃত জীবিতদের কাফনের কাপড়ে| আর বিবেকটা পরে থাকে বিচারের কাঠগড়ায় বেরুবার পথ খুঁজে সিন্দাবাদের জাহাজের আস্তিনে; তবুও ধরে রাখে বিশ্বাস অবিশ্বাসকে যদি কখনো ফিরে আসে মৃত বিবেক জাগ্রত বিবেকের ইতিহাসে| জল্লাদের নির্মম পরিহাসের নর্দমায় শেষমেশ ঘরে ফিরে মানুষ বিবেকের বোঝা হাতে সন্ধ্যা রাতের রাঙাপরীর দেশে| নির্বিকার চিলেকোঠায় একটুকরো রোদের ঝলসিত মাংসপিন্ডের পদাঘাতে জীবন্ত যন্ত্রনায় চমকিত অসীমের সন্ধানে, কে জানে চলে যাবে মানুষ কোথায় কোন অজানায় ফিরবে নাকি ফিরবে না আর কোনোদিন।