এই পৃষ্ঠা প্রিন্ট করুন
মঙ্গলবার, 10 অক্টোবর 2017 20:01

বিবেকের খণ্ডিত উত্তাপ নির্বাচিত

লিখেছেন
লেখায় ভোট দিন
(0 টি ভোট)
                বিবেকের খণ্ডিত উত্তাপ

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী


একদল আদম সন্তান উদোম গায়ে ছুটছিল

উদভ্রান্তের মতো নিরন্তর,

যেমন পতঙ্গেরা ছুটে চলে

আগুনের উত্তাপে আলো হয় আলেয়া,

বিবর্ণ জীবন চোখ বুজে;

অনাগত পথ পালাবার পথ খোঁজে;

কোন এক ঝুমকো লতার সহমরণ কিংবা আত্মসমর্পণ,

তবুও থমকে দাঁড়ায়

থেমে যেতে চায়;

কোন এক সোনার হরিনের খোঁজে, যার অস্তিত্ব ছিল নির্ভেজাল সুড়ঙ্গের মতো

বুভুক্ষ মানুষদের শোষিত রক্তগঙ্গায় রাজা মহারাজের ঢেঁকুর তোলা স্বার্থপর ভুরিভোজে।

লোকালয়ে কোলাহল হয়

শুকুনীরা খুঁজে শোষিতকে

যদি পায়ের তলে পিষ্ট করে বিকলাঙ্গ করা যায় মানুষের বিবেককে,

চিত্ত হরণ কঙ্কাবতীর ক্রীতদাসের বাজারে;

নতুবা জনগণ নিন্দিত ভণ্ডামির দরবারে;

বিবেক অপেক্ষা করে বিবেকের পবিত্র মাজারে;

যদি বাইরের চাকচিক্যের দেয়াল ভেঙে ফেলে

ভিতরের কলংকিত বিবেকটাকে টেনে হিঁচড়ে বের করা যায়,

যেত অবিরত মানবিক সভ্যতার

অধিকারের দাবিতে;

কোন এক গোত্রহীন ফেরারির মিছিলে

যেখানে মরা লাশের শহরে, মৃতরা জীবিত হয় আর

জীবিতরা হয় মৃত জীবিতদের কাফনের কাপড়ে|

আর বিবেকটা পরে থাকে বিচারের কাঠগড়ায়

বেরুবার পথ খুঁজে সিন্দাবাদের জাহাজের আস্তিনে;

তবুও ধরে রাখে বিশ্বাস অবিশ্বাসকে

যদি কখনো ফিরে আসে মৃত বিবেক জাগ্রত বিবেকের ইতিহাসে|

জল্লাদের নির্মম পরিহাসের নর্দমায় শেষমেশ

ঘরে ফিরে মানুষ বিবেকের বোঝা হাতে

সন্ধ্যা রাতের রাঙাপরীর দেশে|

নির্বিকার চিলেকোঠায় একটুকরো রোদের ঝলসিত মাংসপিন্ডের পদাঘাতে জীবন্ত

যন্ত্রনায় চমকিত অসীমের সন্ধানে,

কে জানে চলে যাবে মানুষ কোথায় কোন অজানায়

ফিরবে নাকি ফিরবে না আর কোনোদিন।            
            
427 বার পড়া হয়েছে সর্বশেষ হালনাগাদ মঙ্গলবার, 10 অক্টোবর 2017 20:10
শেয়ার করুন
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর এ দীর্ঘদিন যাবত শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত আছেন। শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে তিনি যেমন অবদান রেখে চলেছেন তেমনি সৃষ্টিশীল লেখার ক্ষেত্রেও তাঁর পদচারণা। তিনি মনে করেন বিজ্ঞান চর্চা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি একে অন্যের পরিপূরক। তিনি একাধারে শিক্ষাবিদ, গবেষক, গল্পকার, প্রাবন্ধিক, কবি, গীতিকার, নাট্যকার, সমাজ সংস্কারক ও সাংস্কৃতিক কর্মী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শনে বিশ্বাসী এই মানুষটির ছোটবেলা থেকেই লেখায় হাতেখড়ি। কৈশোর ও তারুণ্যে তিনি বাংলা একাডেমি, খেলাঘর, কঁচিকাচার মেলা সহ বিভিন্ন সংগঠনে কাজ করেছেন। এই সময় তাঁর প্রবন্ধ, কবিতা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। প্রকৌশল বিদ্যা অধ্যায়নের সময় তিনি প্রগতিশীল কর্মী হিসেবে কাজ করে সহিত চর্চা করে গেছেন। এ সময় তাঁর লেখাগুলো বিশ্ববিদালয়ের ম্যাগাজিনে এখনও সংরক্ষিত আছে। এছাড়াও অনেকদিন ধরেই তিনি দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে লিখে চলেছেন। বাংলা ও ইংরেজি দুই সাহিত্যেই তাঁর সমান দক্ষতা রয়েছে। সমাজ, রাষ্ট্র, প্রকৃতি, বিজ্ঞান, শিক্ষা, পরিবর্তন, সম্ভাবনা ও মানুষ তাঁর লেখার মূল উপজীব্য বিষয়। তিনি একজন ভাল বক্তা। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের টক্ শো সহ বিভিন্ন সৃজনশীল অনুষ্ঠানে তাকে অতিথি হিসেবে দেখা যায়। ভারতরে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রী অজিত কুমার পাঁজা কলকাতা দূরদর্শনের একটি প্রতিযোগিতায় তাঁর প্রেরিত প্রবন্ধে মোহিত হয়ে নিজ হাতে পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সে সময় সম্প্রচারিত হয়। এই খবরটি আজকাল, সংবাদ, বাংলাবাজার সহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এছাড়া তিনি ফিলিপিন্স, চীন, বি-টিভি সহ দেশ বিদেশের বিভিন্ন পুরুস্কারে ভূষিত হন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের একজন কর্মী হিসেবে তিনি কাজ করে চলেছেন।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী এর সর্বশেষ লেখা

একই ধরনের লেখা

1 মন্তব্য