তবুও স্বাধীনতা হে স্বাধীনতা তোমায় আনবো বলে যৌবনকে দিয়েছি বিসর্জন জীবন রেখেছি বাজি, রক্ত দিয়েছি লাশ হয়েছি বিস্ফোরণের আগুনে জ্বলে তোমায় করেছি অর্জন তবু হে স্বাধীনতা আমার প্রিয়তমাকে বলেছি ফিরে আসব কিনা জানিনা, আমায় খুঁজো লাল বেনারসির ভাঁজে, কিন্তু শুনেছি তুমি হয়েছো বীরাঙ্গনা তুমি নরপশুদের সাথে লড়তে লড়তে নিঃশব্দ হয়েছো তবুও নিজের আত্মাকে করনি সমর্পন আমার কথা ভাবতে ভাবতে তোমার গর্ভে আমাদের সন্তানকে ভূমিষ্ঠ হতে দেয়নি ওরা তবু নিজের আগুনে নিজে দগ্ধ হয়েছো সারাক্ষন স্বাধীনতা তবু তোমাকে করবো বলে অর্জন আকাশের তারা হয়ে দেখছি আজ পরাজিত শক্তির আস্ফালন ওরা গণহত্যার পসরা সাজিয়েছিল একাত্তরে যেমন আজ জঙ্গিবাদের বীজ বপন করতে চায় পরাজিত শক্তি আঁকতে চায় নীল নকশার দর্পন তাই হে স্বাধীনতা নুতন প্রজন্মকে কসম দিতে চাই ওদের ক্রীতদাস হয়ে নয় ওদের সাথে লড়ার মতো গড়ার শক্তির অপেক্ষায় তোমাদের বলতে চায় ওরা নরাধম ওরা ধরাধাম কান পেতে শুনো বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী উচ্চারণের সেই চিরচেনা চিরকালের বিপ্লবী মহান "এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম |" রাজাকারের হয়েছে ফাঁসি আত্মস্বীকৃত খুনিদের হয়েছে ফাঁসি জেগেছে বাঙালি জেগেছে চাষী মায়ের ঐ প্রতীক্ষিত নিষ্পাপ মুখে শব্দহীন আমি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি আমি আমার স্বামীর বীভৎস লাশের বিচার নিয়ে এসেছি পেয়েছি বিচার মুখে ফুটেছে স্বপ্ন রাঙ্গা হাসি তবু আজও কেন বাজে পরাজিত অপশক্তির নিভৃত পদচারণা ওরা কেন পেট্রোল বোমা মেরে মানুষে রক্ত খেয়ে পোড়া মাটির খেলায় হতে চায় সর্বগ্রাসী আজ ওদের বিচার চাই স্বাধীনতা হে স্বাধীনতা তোমার মধ্যে আমার আমার মধ্যে তোমার প্রজম্ম থেকে প্রজম্ম তোমাদের বিকৃত ইতিহাস নয় সত্য ইতিহাসের মুখোমুখি করাবার গড়তে চাই এক দুর্ভেদ্য অধ্যায় জানি অপশক্তির পালাবার পথ নাই জাগ্রত বাঙালির স্বাধীনতা আছে থাকবে হয়ে অমরত্বের কাব্য গাথায় আর বাস্তবতায় |