নাড়ুগোপাল নন্দী সুবীর পাণ্ডে নাড়ুগোপাল নন্দী নন্দপুরে বাসা নামে আর চেহারায় মিলখানি খাসা। দিই তার বর্ণনা শোনো চুপ করে পাবে তার পরিচয় পরে ধীরে ধীরে। কালো রং ছাতাখানি মাথায় তুলে জব্বেশ ভুঁড়ি নিয়ে চলে হেলে দুলে। নাকে তার গোলাকার চশমাটি ঘোলাটে বিন্দু বিন্দু ঘাম ঝড়িতেছে ললাটে। চোখদুটি গোল গোল যেন রসগোল্লা গুটিকতক ছোকরা পাছে করে হল্লা। চকচকে টাকটায় হাতেগোনা কেশ বাঁক নেওয়া গোফটা লাগছে বেশ। পিছু পিছু চলেছে একটি মূর্তি চোখে মুখে ফুটেছে একরাশ ফুর্তি। দুইখানি দন্ত ঘরে কভু ঢোকেনা খুশিতে মুখটায় হাসি আর ধরে না। এই হল ভ্যাবলা নাড়ুর নন্দ সেন্টের গন্ধে নাক হল বন্ধ। হাঁ....চিঁহি, হাঁ....চিঁহি যায় না থামা হাঁচ্চির দাপটে ভিজিল জামা। এইবার বলা যাক আসল কথা নাড়ু আর ভ্যাবলা যাচ্ছে কোথা। বিয়েটা চটপট এমাসেই সারিবার বড় শখ ক্যাবলার, থুড়ি ভ্যাবলার। আট মাইল রাস্তা দিয়া হামাগুড়ি অবশেষে আসিল কন্যের বাড়ি। চা আর মিষ্টিতে সাজানো প্লেটটা টপাটপ ভ্যাবলা মারিল সবটা। দেনা আর পাওনা সারা যাক তবে লাখ চারেক ক্যাশ আগেভাগে দিবে। তৎসহ দিবে আরও দশ ভরি সোনা খাট আর আসবাব বলিতে হয় না। বাইকের কথাটি ভুলিও না ভাই এইটুকু ছাড়া আর কিচ্ছু না চাই । এইবার ভ্যাবলার ফুটেছে বুলি ঘড়িটার কথা যে গিয়াছ ভুলি। ঘড়ি বিনা হাতখান খালি খালি লাগে একথাই তোমাকে বলিয়াছি আগে। সবকিছু শুনিয়া কন্যের বাপ বলে বাপু করো হে মাপ। ওহে নাড়ু তোমার এ বলদখানা হাটে নিয়ে দ্যাখো বিকোয় কিনা? আমার তো ভাই চাষজমি নাই বলদ কিনিয়া কি করিব তাই। -------------