যাব আমি শিমুদের বাড়ি চড়ে রেল গাড়ী । তিস্তা সেতু পাড় হয়ে মির্জার কোট গাঁয়ে । পাথর ছড়ানো রাস্তার ধারে তামাক খেতের পাশে, যাব আমি শিমুদের বাড়ি গাইবান্ধা থেকে বাসে । কলেজের পিছে ঐ দিঘীর পাড়ে বসবো সন্ধ্যে বেলা, শিমু যাবে ডাঁকতে আমায় পিছে পিছে খালা । দু'চোখ ভরে দেখবো আমি, শুনবো না শিমুর ডাঁক । সন্ধ্যা বেলার সূর্য ডোবা, খালা হবেন রাগ। বাশঁ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠবে একা । লেবুর গাছের অন্ধকারে জোনাকি যাবে দেখা । ডালিম গাছে ফুল ফুটবে কোকিল গাইবে গান, দোয়েলের নাচন দেখে আমার সকালে উৎফুল্ল হবে প্রাণ । ধরলা নদীতে নেমে আমি ধোবো আমার গা, ওপাড় হতে ডাঁকবে শিমু ডাঁকবে আমায় দা । ধরলা নদীর ওপাড় থেকে আসবে কৃষাণের দল, পাথর তোলার কাজে নদীর তলায় করবে কোলাহল । দেখবো আমি বুড়িমারি আর দহগ্রাম, আঙ্গুরপোতা, শিমু যাবে সঙ্গে আমার যাব আমরা ততা । ঘুরাবো আমি পাটগ্রাম জুড়ে প্রজাতির মত উড়ে, সময় পেলে ফিরবো আমি মির্জার কোট নিড়ে।