অভিমানী খুনসুটিতে বার বার ফেলু'দার হয় হার্ট এ্যাটাক, তবুও মৃন্ময়ী'দিদির হৃদয়ে কোন কালে কাটে নাই ভালোবাসার দাক! যেই দিন ফেলু'দা মিলন মেলা এক অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখে মৃন্ময়ী রান্নায় ব্যস্ত, বুকে বাড়ে তুমুল কষ্ট, মাথা হয় ভীষণ নষ্ট ফেলু'দা তীব্র অসুস্থ। অভিমান রাগ ক্ষোভে মৃন্ময়ী'দিদিকে বলেন আমি খেয়ে এসেছি আমার ক্ষুদা নাই, আসলে সেদিন, আস্ত একটা দিন এক কণা দানা ফেলু'দার মুখে পড়ে নাই। দুর্বল শরীরে ক্ষুধার জ্বালায় পেটের ভেতর চরম হৈ হুল্লো আর তুমুল চিনচিন, বিষাদী রাগ, অভিমানী দুঃখ আর ক্ষোভে ফেলু'দার হার্ট এ্যাটাকে কাটে সেইদিন। দেখেন হটাৎ একদিন ফেলু'দা! মৃন্ময়ীর পাশে কেউ একজন বসা, বিকাল বেলায় আঁধার নামে করুণ দু'চোখে অভিমান, বুকে বাড়ে হতাশা। সেইদিন সেই ক্ষণে পথের মাঝ থেকে প্রেমিক মানুষটির যেন পরাজয়, তাই ফিরে আসা, সেই থেকে বহু পথ বহু কাল পার হয়ে যায় তবুও পায় নি মৃন্ময়ী'র কাছে সোহাগ ভালোবাসা। মধূর মধূর খুনসুটিতে যে মানুষটা মৃন্ময়ী'দিদির কাছে কাছে থাকতেন, মনোলোভা কামিনী কামনার অবিরাম স্বর্গ ছোঁয়া তীব্র চুম্বনের ছবি আঁকতেন! সেই মানুষটা বার বার হার্ট এ্যাটাকের অসহ্য যন্ত্রণায় খুব, খুবী দুর্বল; মৃন্ময়ী তাকে ফিরিয়ে দেওয়ায় তার, তাহার আত্মগোপন কালে আঁখি ভরা জল !