এই পৃষ্ঠা প্রিন্ট করুন
শনিবার, 29 আগষ্ট 2020 17:50

কবিতা এমন নির্বাচিত

লিখেছেন
লেখায় ভোট দিন
(0 টি ভোট)
                কবিতা তো কৈশোরের স্মৃতি। সে তো ভেসে ওঠা ম্লান  
 আমার মায়ের মুখ; নিম ডালে বসে থাকা হলুদ পাখিটি  
 পাতার আগুন ঘিরে রাতজাগা ভাই-বোন  
 আব্বার ফিরে আসা, সাইকেলের ঘন্টাধ্বনি–রাবেয়া রাবেয়া–  
 আমার মায়ের নামে খুলে যাওয়া দক্ষিণের ভেজানো কপাট!  
  
 কবিতা তো ফিরে যাওয়া পার হয়ে হাঁটুজল নদী  
 কুয়াশায়-ঢাকা-পথ, ভোরের আজান কিম্বা নাড়ার দহন  
 পিঠার পেটের ভাগে ফুলে ওঠা তিলের সৌরভ  
 মাছের আঁশটে গন্ধ, উঠানে ছড়ানো জাল আর  
 বাঁশঝাড়ে ঘাসে ঢাকা দাদার কবর।  
  
 কবিতা তো ছেচল্লিশে বেড়ে ওঠা অসুখী কিশোর  
 ইস্কুল পালানো সভা, স্বাধীনতা, মিছিল, নিশান  
 চতুর্দিকে হতবাক দাঙ্গার আগুনে  
 নিঃস্ব হয়ে ফিরে আসা অগ্রজের কাতর বর্ণনা।  
  
 কবিতা চরের পাখি, কুড়ানো হাঁসের ডিম, গন্ধভরা ঘাস  
 ম্লান মুখ বউটির দড়ি ছেঁড়া হারানো বাছুর  
 গোপন চিঠির প্যাডে নীল খামে সাজানো অক্ষর  
 কবিতা তো মক্তবের মেয়ে চুলখোলা আয়েশা আক্তার।            
            
471 বার পড়া হয়েছে
শেয়ার করুন
আল মাহমুদ

মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (১১ জুলাই ১৯৩৬ – ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯) যিনি আল মাহমুদ নামে অধিক পরিচিত, ছিলেন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্প লেখক, শিশুসাহিত্যিক এবং সাংবাদিক ছিলেন।[২] বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়াংশে সক্রিয় থেকে তিনি আধুনিক বাংলা কবিতাকে নতুন আঙ্গিকে, চেতনায় ও বাক্‌ভঙ্গীতে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন প্রবাসী সরকারের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে । তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে প্রতিষ্ঠিত সরকার বিরোধী সংবাদপত্র দৈনিক গণকণ্ঠ (১৯৭২-১৯৭৪) পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। ১৯৫০-এর দশকে যে কয়েকজন লেখক বাংলা ভাষা আন্দোলন, জাতীয়তাবাদ, রাজনীতি, অর্থনৈতিক নিপীড়ন এবং পশ্চিম পাকিস্তানি সরকার বিরোধী আন্দোলন নিয়ে লিখেছেন তাদের মধ্যে মাহমুদ একজন। লোক লোকান্তর (১৯৬৩), কালের কলস (১৯৬৬), সোনালী কাবিন (১৯৭৩), মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। কবি আল মাহমুদ তার অনবদ্য গল্প ও উপন্যাসের জন্যও খ্যতি অর্জন করেছিলেন। (উইকিপিডিয়া)

আল মাহমুদ এর সর্বশেষ লেখা

1 মন্তব্য