এ কেমন অন্ধকার বঙ্গদেশ উত্থান রহিত নৈশব্দের মন্ত্রে যেন ডালে আর পাখিও বসে না। নদীগুলো দুঃখময়, নির্পতগ মাটিতে জন্মায় কেবল ব্যাঙের ছাতা, অন্যকোন শ্যামলতা নেই। বুঝি না, রবীন্দ্রনাথ কী ভেবে যে বাংলাদেশে ফের বৃক্ষ হয়ে জন্মাবার অসম্ভব বাসনা রাখতেন। গাছ নেই নদী নেই অপুষ্পক সময় বইছে পুনর্জন্ম নেই আর, জন্মের বিরুদ্ধে সবাই শুনুন, রবীন্দ্রনাথ আপনার সমস্ত কবিতা আমি যদি পুঁতে রেখে দিনরাত পানি ঢালতে থাকি নিশ্চিত বিশ্বাস এই, একটিও উদ্ভিদ হবে না আপনার বাংলাদেশ এ রকম নিষ্ফলা, ঠাকুর! অবিশ্বস্ত হাওয়া আছে, নেই কোন শব্দের দ্যোতনা, দু’একটা পাখি শুধু অশত্থের ডালে বসে আজও সঙ্গীতের ধ্বনি নিয়ে ভয়ে ভয়ে বাক্যালাপ করে; বৃষ্টিহীন বোশেখের নিঃশব্দ পঁচিশ তারিখে।
আল মাহমুদ
মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (১১ জুলাই ১৯৩৬ – ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯) যিনি আল মাহমুদ নামে অধিক পরিচিত, ছিলেন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্প লেখক, শিশুসাহিত্যিক এবং সাংবাদিক ছিলেন।[২] বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়াংশে সক্রিয় থেকে তিনি আধুনিক বাংলা কবিতাকে নতুন আঙ্গিকে, চেতনায় ও বাক্ভঙ্গীতে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন প্রবাসী সরকারের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে । তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে প্রতিষ্ঠিত সরকার বিরোধী সংবাদপত্র দৈনিক গণকণ্ঠ (১৯৭২-১৯৭৪) পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। ১৯৫০-এর দশকে যে কয়েকজন লেখক বাংলা ভাষা আন্দোলন, জাতীয়তাবাদ, রাজনীতি, অর্থনৈতিক নিপীড়ন এবং পশ্চিম পাকিস্তানি সরকার বিরোধী আন্দোলন নিয়ে লিখেছেন তাদের মধ্যে মাহমুদ একজন। লোক লোকান্তর (১৯৬৩), কালের কলস (১৯৬৬), সোনালী কাবিন (১৯৭৩), মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। কবি আল মাহমুদ তার অনবদ্য গল্প ও উপন্যাসের জন্যও খ্যতি অর্জন করেছিলেন। (উইকিপিডিয়া)
আল মাহমুদ এর সর্বশেষ লেখা
1 মন্তব্য
- মন্তব্যের লিঙ্ক শনিবার, 29 আগষ্ট 2020 18:41 লিখেছেন ইদি আমিন
অনন্য,,, অসামান্য প্রকাশ কবি
মন্তব্য করুন
Make sure you enter all the required information, indicated by an asterisk (*). HTML code is not allowed.