এই পৃষ্ঠা প্রিন্ট করুন
শনিবার, 29 আগষ্ট 2020 17:52

না ঘুমানোর দল নির্বাচিত

লিখেছেন
লেখায় ভোট দিন
(1 ভোট)
                নারকেলের ঐ লম্বা মাথায়  
 হঠাৎ দেখি কাল  
 ডাবের মতো চাদঁ উঠেছে  
 ঠান্ডা ও গোলগাল।  
  
 ছিটকিনিটা আস্তে খুলে  
 পেরিয়ে এলেম ঘর  
 ঘুমন্ত এই মস্ত শহর  
 করছিলো থরথর।  
  
 মিনারটাকে দেখছি যেন  
 দাড়িয়ে আছেন কেউ,  
 পাথরঘাটার গির্জেটা কি  
 লাল পাথরের ঢেউ?  
  
 চৌকিদারের হাক শুনে যেই  
 মোড় ফিরেছি বায়–  
 কোত্থেকে এক উটকো পাহাড়  
 ডাক দিল আয় আয়।  
  
 পাহাড়টাকে হাত বুলিয়ে  
 লাল দিঘীটার পাড়  
 এগিয়ে দেখি জোনাকিদের  
 বসেছে দরবার।  
  
 আমায় দেখে কলকলিয়ে  
 দীঘির কালো জল  
 বললো, এসো, আমরা সবাই  
 না ঘুমানোর দল-  
  
 পকেট থেকে খুলো তোমার  
 পদ্য লেখার ভাজঁ  
 রক্তজবার ঝোপের কাছে  
 কাব্য হবে আজ ।  
  
 দীঘির কথায় উঠলো হেসে  
 ফুল পাখিদের সব  
 কাব্য হবে, কাব্য হবে-  
 জুড়লো কলরব।  
  
 কী আর করি পকেট থেকে  
 খুলে ছড়ার বই  
 পাখির কাছে, ফুলের কাছে  
 মনের কথা কই।            
            
933 বার পড়া হয়েছে
শেয়ার করুন
আল মাহমুদ

মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (১১ জুলাই ১৯৩৬ – ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯) যিনি আল মাহমুদ নামে অধিক পরিচিত, ছিলেন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্প লেখক, শিশুসাহিত্যিক এবং সাংবাদিক ছিলেন।[২] বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়াংশে সক্রিয় থেকে তিনি আধুনিক বাংলা কবিতাকে নতুন আঙ্গিকে, চেতনায় ও বাক্‌ভঙ্গীতে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন প্রবাসী সরকারের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে । তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে প্রতিষ্ঠিত সরকার বিরোধী সংবাদপত্র দৈনিক গণকণ্ঠ (১৯৭২-১৯৭৪) পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। ১৯৫০-এর দশকে যে কয়েকজন লেখক বাংলা ভাষা আন্দোলন, জাতীয়তাবাদ, রাজনীতি, অর্থনৈতিক নিপীড়ন এবং পশ্চিম পাকিস্তানি সরকার বিরোধী আন্দোলন নিয়ে লিখেছেন তাদের মধ্যে মাহমুদ একজন। লোক লোকান্তর (১৯৬৩), কালের কলস (১৯৬৬), সোনালী কাবিন (১৯৭৩), মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। কবি আল মাহমুদ তার অনবদ্য গল্প ও উপন্যাসের জন্যও খ্যতি অর্জন করেছিলেন। (উইকিপিডিয়া)

আল মাহমুদ এর সর্বশেষ লেখা

1 মন্তব্য