এই পৃষ্ঠা প্রিন্ট করুন
শনিবার, 29 আগষ্ট 2020 17:53

নোলক নির্বাচিত

লিখেছেন
লেখায় ভোট দিন
(0 টি ভোট)
                আমার মায়ের সোনার নোলক হারিয়ে গেল শেষে  
 হেথায় খুঁজি হোথায় খুঁজি সারা বাংলাদেশে।  
 নদীর কাছে গিয়েছিলাম, আছে তোমার কাছে?  
 -হাত দিওনা আমার শরীর ভরা বোয়াল মাছে।  
 বললো কেঁদে তিতাস নদী হরিণবেড়ের বাঁকে  
 শাদা পালক বকরা যেথায় পাখ ছড়িয়ে থাকে।  
  
 জল ছাড়িয়ে দল হারিয়ে গেলাম বনের দিক  
 সবুজ বনের হরিণ টিয়ে করে রে ঝিকমিক।  
 বনের কাছে এই মিনতি, ফিরিয়ে দেবে ভাই,  
 আমার মায়ের গয়না নিয়ে ঘরকে যেতে চাই।  
  
 কোথায় পাবো তোমার মায়ের হারিয়ে যাওয়া ধন  
 আমরা তো সব পাখপাখালি বনের সাধারণ।  
 সবুজ চুলে ফুল পিন্দেছি নোলক পরি নাতো!  
 ফুলের গন্ধ চাও যদি নাও, হাত পাতো হাত পাতো  
 বলে পাহাড় দেখায় তাহার আহার ভরা বুক  
 হাজার হরিণ পাতার ফাঁকে বাঁকিয়ে রাখে মুখ।  
 এলিয়ে খোঁপা রাত্রি এলেন, ফের বাড়ালাম পা  
 আমার মায়ের গয়না ছাড়া ঘরকে যাবো না।            
            
495 বার পড়া হয়েছে
শেয়ার করুন
আল মাহমুদ

মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (১১ জুলাই ১৯৩৬ – ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯) যিনি আল মাহমুদ নামে অধিক পরিচিত, ছিলেন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্প লেখক, শিশুসাহিত্যিক এবং সাংবাদিক ছিলেন।[২] বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়াংশে সক্রিয় থেকে তিনি আধুনিক বাংলা কবিতাকে নতুন আঙ্গিকে, চেতনায় ও বাক্‌ভঙ্গীতে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন প্রবাসী সরকারের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে । তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে প্রতিষ্ঠিত সরকার বিরোধী সংবাদপত্র দৈনিক গণকণ্ঠ (১৯৭২-১৯৭৪) পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। ১৯৫০-এর দশকে যে কয়েকজন লেখক বাংলা ভাষা আন্দোলন, জাতীয়তাবাদ, রাজনীতি, অর্থনৈতিক নিপীড়ন এবং পশ্চিম পাকিস্তানি সরকার বিরোধী আন্দোলন নিয়ে লিখেছেন তাদের মধ্যে মাহমুদ একজন। লোক লোকান্তর (১৯৬৩), কালের কলস (১৯৬৬), সোনালী কাবিন (১৯৭৩), মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। কবি আল মাহমুদ তার অনবদ্য গল্প ও উপন্যাসের জন্যও খ্যতি অর্জন করেছিলেন। (উইকিপিডিয়া)

আল মাহমুদ এর সর্বশেষ লেখা

1 মন্তব্য