এই পৃষ্ঠা প্রিন্ট করুন
শনিবার, 29 আগষ্ট 2020 17:55

এক নদী নির্বাচিত

লিখেছেন
লেখায় ভোট দিন
(0 টি ভোট)
                তোমার মুখ ভাবলে, এক নদী  
 বুকে আমার জলের ধারা তোলে;  
 সামনে দেখি ভরা ভাতের থালা  
 ঝালের বাটি উপচে পড়ে ঝোলে।  
  
 পিঠার মতো হলুদ মাখা চাঁদ  
 যেনো নরম কলাপাতায় মোড়া;  
 পোড়া মাটির টুকরো পাত্রকে  
 স্মৃতি কি ফের লাগাতে পারে জোড়া!  
 নীল বইচা মাছের মতো চোখ  
 স্বপ্নে আমায় কুশল পুছে রোজ।  
  
 ‘ভালো কি আছো?’ হায়রে ভালো থাকা!  
 নগরবাসী কে রাখে কার খোঁজ!  
  
 ফিরতে চাই, পাবো কি সেই পথ?  
 তরমুজের ক্ষেতের পাশে ঘর,  
 লজ্জাহীনা ফাজিল ছুঁড়ি এক  
 ভীষণ কালো, হাসতো থর থর!  
  
 মহাকালের কালোর চেয়ে কালো  
 রাত-বরণী রূপসী সেই পরী,  
 কাঁপিয়ে কাঁখে ঠিল্লা ভরা পানি  
 দেহের ভাঁজে ভেজা নীলাম্বরী।  
  
 উঠতো হেঁটে জলের ধার বেয়ে;  
 কালো-বাউশী যেনো কলমী বনে  
 অঙ্গ নেড়ে অস্ত গোলা জলে  
 দেখেছিলাম একদা কুক্ষণে  
  
 ফিরলে আজো পাবো কি সেই নদী  
 স্রোতের তোড়ে ভাঙা সে এক গ্রাম?  
 হায়রে নদী খেয়েছে সব কিছু  
 জলের ঢেউ ঢেকেছে নাম-ধাম।            
            
568 বার পড়া হয়েছে
শেয়ার করুন
আল মাহমুদ

মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (১১ জুলাই ১৯৩৬ – ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯) যিনি আল মাহমুদ নামে অধিক পরিচিত, ছিলেন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্প লেখক, শিশুসাহিত্যিক এবং সাংবাদিক ছিলেন।[২] বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়াংশে সক্রিয় থেকে তিনি আধুনিক বাংলা কবিতাকে নতুন আঙ্গিকে, চেতনায় ও বাক্‌ভঙ্গীতে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন প্রবাসী সরকারের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে । তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে প্রতিষ্ঠিত সরকার বিরোধী সংবাদপত্র দৈনিক গণকণ্ঠ (১৯৭২-১৯৭৪) পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। ১৯৫০-এর দশকে যে কয়েকজন লেখক বাংলা ভাষা আন্দোলন, জাতীয়তাবাদ, রাজনীতি, অর্থনৈতিক নিপীড়ন এবং পশ্চিম পাকিস্তানি সরকার বিরোধী আন্দোলন নিয়ে লিখেছেন তাদের মধ্যে মাহমুদ একজন। লোক লোকান্তর (১৯৬৩), কালের কলস (১৯৬৬), সোনালী কাবিন (১৯৭৩), মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। কবি আল মাহমুদ তার অনবদ্য গল্প ও উপন্যাসের জন্যও খ্যতি অর্জন করেছিলেন। (উইকিপিডিয়া)

আল মাহমুদ এর সর্বশেষ লেখা