~শ্রদ্ধাঞ্জলি~ যে মালা পারিনি তোমায় নিজ হাতে পড়িয়ে দিতে অনন্ত আশার সে মালা আজি তোমার চরণেতে পড়িয়ে দিলাম শ্রাবণ কোণে শব্দ বুনে, একলা বসে আপন ধ্যানে কল্প বনে। ভাসিয়ে দিলাম সখের তরী জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ি সকল আশার বিলাপ জুড়ে বাধাবিঘ্ন ছেদন করি তোমার সীমায় তেষ্টার ব্যাথা কাব্য কথা, তরীর ক্রোড়ে ভাঁটিগাঙে ব্যাকুলতা। দেখতে এলাম সোনার তরী, কত মায়া ভাসছে হেথা বিবিধ মেদিনী উতালা করে, বিশ্ব দ্বারে ছুঁইছে ব্যথা তোমার ভাষণ অমর হয়ে যাচ্ছে বয়ে, অকুল পথে দৃষ্টিহীনে আলো দিয়ে- বইছে ধরায়, বিরাম হীনায় সূর্য মেলা আলোক বাণী হাজার বছর অনন্তকাল ভূমি বৃক্ষে তোমার ধ্বনি। উড়ছে সকল দিন রজনী সপ্ত সুরে হরেক স্বাদে বহু রঙে বিশ্ব জুড়ে। রবির নয়নে রবির যোগ, তপ্ত নহে শীতল স্নেহে ছড়িয়ে দিয়েছো তোমার আলো স্বার্থহীন ভুবন গাহে অবতার তুমি দেবেশ কায়া শুদ্ধি দ্বার কীর্তন গুরু তীর্থ দূত অবতার- রুপের আকৃতি প্রভুর দানে ভৃত্য মুক্তি সাধন সন্ধে আলোকবর্তিকা কলম রন্দ্রে নিয়ে এলে অমিয় গন্ধে উজাড়ে দিয়েছ সমূল সুধা নাহি জুদা, রেখেছ কিছু গুপ্ত ঘরে আত্ন ক্ষুধা - মেটাতে আবার গোপন করে, নমোনমো ও হে ঠাকুর তোমার দানের অপার ভীতে, এই ভৃত্য সুপ্ত অঙ্কুর পড়াতে এসেছে তোমা চরণে অঞ্জলি সম ঐ শ্রী চরণে এসো কবি প্রিয়তম। ____[]____[]____[]___ ১৭-৭-২০১৫