মেয়েটি দাঁড়িয়ে থাকে মেয়েটি চুপটি করে দাঁড়িয়ে থাকে ঠিক যেন অগ্রহায়নের নীল আকাশের সাদা মেঘের স্বভাবে মাঝে মাঝে এদিক ওদিকে উড়ে যায় হালকা বাতাসে তুলতুলে তুলোর মত। ড্যাব ড্যাব করে সে তাকিয়ে থাকে শব্দহীন বোবার মত বাড়ির হাঁসমুরগী গুলি যখন ডাকাডাকি করে তখনও নিঃশব্দে তাকিয়ে থাকে চুপটি করে ভাদ্রমাসে নায়রে এসেছে সে। ঐতো সামনে দূরের অস্পষ্ট নীল গ্রাম সেখানেই এখন তার স্থায়ী বসবাস বাড়ির আঙিনায় তালগাছটি জানান দেয় তার ভিটেমাটি মাঝখানে বড়বিলের উত্তাল ঢেউ উথলে পড়ে। গ্রীষ্মের ক্লান্ত দুপুরে তালগাছের নিচে দাঁড়িয়ে সে ভাবে মায়ের করুণ মুখখানি তাকিয়ে আছে তার দিকে পৃথিবীর সব মায়ামমতা আর স্নেহ নিয়ে চোখের দু'ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ে তার বুকে। কালের আবর্তে বাবা-মা নেই এখন কেউ তাকে নিতে আসে না ভাদ্রমাসে ভালোবাসার নৌকা নিয়ে কত নৌকা যায় আসে লাল নীল পাল তুলে সে এখনো দাঁড়িয়ে থাকে মায়াময় চোখ নিয়ে। মেয়েটি এখনো কাঁদে চৈত্রের শুকনো পদ্মার মত চঞ্চলা চপলা স্বভাব আর এখন তার নেই সংসারে ব্যস্ত মনটা হঠাৎ বিদ্রোহী হয়ে উঠে বৈশাখী ঝড় ধেয়ে আসে বাহির থেকে ঘরে গভীর রাত্রে নিভৃতে তার শাড়ির আঁচলে। ================