এই পৃষ্ঠা প্রিন্ট করুন
শুক্রবার, 27 নভেম্বর 2020 05:16

মেয়েটি দাঁড়িয়ে থাকে নির্বাচিত

লিখেছেন
লেখায় ভোট দিন
(0 টি ভোট)
                মেয়েটি দাঁড়িয়ে থাকে

মেয়েটি চুপটি করে দাঁড়িয়ে থাকে
ঠিক যেন অগ্রহায়নের নীল
আকাশের সাদা মেঘের স্বভাবে
মাঝে মাঝে এদিক ওদিকে উড়ে যায়
হালকা বাতাসে তুলতুলে  তুলোর মত।

ড্যাব ড্যাব করে সে তাকিয়ে থাকে
শব্দহীন বোবার মত
বাড়ির হাঁসমুরগী গুলি যখন ডাকাডাকি করে
তখনও নিঃশব্দে তাকিয়ে থাকে চুপটি করে
ভাদ্রমাসে নায়রে এসেছে সে।

ঐতো সামনে দূরের অস্পষ্ট নীল গ্রাম
সেখানেই এখন তার স্থায়ী বসবাস
বাড়ির আঙিনায় তালগাছটি
জানান দেয় তার  ভিটেমাটি
মাঝখানে বড়বিলের উত্তাল ঢেউ উথলে পড়ে।

গ্রীষ্মের ক্লান্ত দুপুরে তালগাছের নিচে
দাঁড়িয়ে সে ভাবে মায়ের করুণ মুখখানি
তাকিয়ে আছে তার দিকে
পৃথিবীর সব মায়ামমতা আর স্নেহ নিয়ে
চোখের দু'ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ে তার বুকে।

কালের আবর্তে  বাবা-মা নেই
এখন কেউ তাকে নিতে আসে না
ভাদ্রমাসে ভালোবাসার নৌকা নিয়ে
কত নৌকা যায় আসে লাল নীল পাল তুলে
সে এখনো দাঁড়িয়ে থাকে মায়াময় চোখ নিয়ে।

মেয়েটি এখনো কাঁদে চৈত্রের শুকনো পদ্মার মত
চঞ্চলা চপলা স্বভাব আর এখন তার নেই
সংসারে ব্যস্ত মনটা হঠাৎ বিদ্রোহী হয়ে উঠে
বৈশাখী ঝড় ধেয়ে আসে বাহির থেকে ঘরে 
গভীর রাত্রে নিভৃতে তার শাড়ির আঁচলে।
================            
            
467 বার পড়া হয়েছে সর্বশেষ হালনাগাদ রবিবার, 29 নভেম্বর 2020 21:40
শেয়ার করুন
মীর আব্দুল আউয়াল

মীর আব্দুল আউয়াল, পিতা- মীর আব্দুস শুকুর, মাতা- মোছাম্মৎ করিমন নেছা ১৩ ফেব্রুয়ারী, ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দ পাবনা জেলার অন্তর্গত বেড়া উপজেলার দড়িশরিফপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেণ। তিনি রাজবাড়ী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, রাজবাড়ী সরকারী মহাবিদ্যায় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত গণিত বিষয়ে পড়াশোনা করেণ। তিনি ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দ থানা মৎস্য কর্মকর্তা পদে মৎস্য অধিদপ্তরে প্রথম সরকারী চাকুরীতে যোগদান করেণ। ২০০৯ খ্রিস্টাব্দ তিনি চাকুরী হতে অবসর গ্রহন করে সাহিত্য সেবায় আত্মনিয়োগ নিয়োগ করেণ। দেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও ম্যাগাজিনে তার ছোট গল্প ও কবিতা প্রকাশিত হয়। তিনি ফেসবুকে এপার বাংলা এবং ওপার বাংলার বিভিন্ন ব্লগে ধারাবাহিক গল্প ও কবিতা লিখে চলেছেন। এ পর্যন্ত তার ১১টি উপন্যাস ও ৩টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।

মীর আব্দুল আউয়াল এর সর্বশেষ লেখা

3 মন্তব্য