অন্ধকারের পথিক আমি অন্দকারেই হাঁটি রাতের বুকে ঘাঁটি স্বপ্নগুলো মরচেধরা ইচ্ছেরা সব মাটি এই জীবনের শেষ চাওয়াটা শুভ্র-নিখুঁত-খাঁটি সেই ইচ্ছেটা যত্নে থেকে হচ্ছে পরিপাটি; চাঁদের আশায় এখন আমি অন্ধকারেই হাঁটি। চাঁদের আলো এখন আমার লাগে না আর গা'য় চাঁদ কী নিরুপায় ; যায় না বোঝা চাঁদের আলো পড়ছে কার পাড়ায় নিত্য আসাযাওয়া চলছে কার সে আঙিনায়? তারই আলোয় গোসল করে হলাম নিরুপায় আজও শত ইচ্ছে পায়েল পরাই চাঁদের পা'য়। কোন সে ব্যথা বুকে নিয়ে অন্ধকারে চলি নির্জনতায় জ্বলি; কোন সে ভুলে আলোক প্রদীপ দিলাম জলাঞ্জলি ঘুরছি ক্যানো তার শহরের সকল অলিগলি মিডাজোলাম দেহের সাথে চলছে খেলে হলি হাজার কথা আর্তনাদে রাতের দেহে বলি। নুইয়ে পড়া ইচ্ছেগুলো মেলছে না আর ডানা বৃথাই ষোলো আনা ; স্বপ্নগুলোর রঙ পাল্টিয়ে হলো আবর্জনা রাতের বেলায় সবই দ্যাখি শুধু দিনের কানা ক্যানো আজও বৃথা দিচ্ছি তার দুয়ারে হানা? নিত্য এখন জীবন ধরি আর কিছু নেই জানা। তারে কি আর যায় উঠানো ধরলে ঘুমের ভান? তারই অবস্থান; দু'টি চোখে আঙুল দিয়ে দ্যাখায় গোরস্থান চোখ ফেরাতে গ্যালেই ক্যানো আঁতকে উঠে প্রাণ হে দয়াময় দয়ার সাগর আল্লাহ্, রহমান নাকের মাঝে আর না লাগুক তারই চুলের ঘ্রাণ। ঘুম আসে না ঘুমাইও না আমার গা'য়ে জ্বর ঘুমাও স্বার্থপর ; তোমার কী আর দায় পড়েছে নিবা যে খবর! এ্যামিবাদের গায়ের মতো পাল্টে প্রাণেশ্বর যাহ্ চলে যা সবাই গ্যাছে শূন্য থাকুক ঘর; তোর কারণেই আজ বিরাগী, মাতাল " নিশাচর " ।