এইতো এখন আজানের আহ্ববান শেষে
চেয়ে দেখি আমিসহ বন্ধুরা যে যার পথে
ছুটছে এদিক সেদিক।
আমার এ চোখ মুখ চুল-দাড়ি অবয়ব
বাহ্যিক পোশাকী বাহার, নিরব
ঐ নিঃষ্প্রাণ ছবির মত বন্ধুদের চোখে
কংক্রিট পাথরে, পথে
প্রসংসার শ্বাস প্রশ্বাসে ওঠানামা করে।
দেয়ালে ধুলোর মত জমে থাকে
অনেক ইচ্ছা-অনিচ্ছার বাসী ফুলগুলো
মন্তব্যের ঢের ঢের শব্দাবলী মরা-ঘাস-রেণু----
সময় গড়িয়ে যায় কি বা আসে যায়, পড়ে থাকে পথ----
ভেতরে সেজদার ঘ্রাণে টের-পাওয়া-সুখ
রাজ পথে মরকের ভিরে পরিহাস হয়ে
ফাঁসির দড়ির মত লটকে আছে
চোখে মুখে সর্বাঙ্গ জুড়ে।
আমি কি ভেতরে ভেতরে
কেবলই মরা নদী, চৈতের ছেঁড়া
চৌ-চিড় মাঠের ঘুড়ি
পথ ভোলা তৃষার্ত কাক?
এত যে কোলাহল, হলাহল কুঁড়ি ও মুকুলে
বিষাক্ত ভাইরাসের সর্বভুক আগ্রাসন থাবা,
অস্পষ্ট লিপি-মন্ত্রে অর্থহীন বাসরের সাজের চমক---
তবুও কি আমি প্রশস্য ছবিতে
রঙ্গিন এ চশমার ভাবের লেবেল এটে
রব শান্ত নিরব, জাগবোনা কভু!
#বরিশাল, ২৩০৩১৫