ইচ্ছে ছিল সুজয়িতাকে ভালবাসার ফুলে ফুলে সাজিয়ে
হৃদয়ের কুঠুরে রাখবো রক্ত প্রবাহের সময় পর্যন্ত
তখন ইচ্ছে, ছিল স্বপ্ন ছিল
কিন্তু সুজয়িতাকে সাজানোর মতন ফুল ছিলনা আমার পৃথিবীতে।
তাই একদিন অষ্টাদশী বয়সে
একটি গোলাপের চারা রোপন করলাম পরম মমতায়
যেন কোন দুর্ঘটনার আগেই সুজয়িতাকে ফুল দিয়ে সাজাতে পারি।
তার পর দিন গেল, মাস গেল
সময়ের সৌজনতায় গোলাপের ছোট্ট গাছটি বড় হতে লাগলো
আমার ইচ্ছে যেন বাস্তব হতে চলল
তখন আমি ইচ্ছের তরীতে স্বপ্নায়িত এক যুবক।
তার পর আরও কিছু সময় অতিবাহিত
গোলাপের ছোট্ট গাছটি তখন পরিপূর্ণতার কাছাকাছি
আমি আত্নপ্রত্যয়ের শক্তিতে অপেক্ষা করতে লাগলাম।
তারপর দিনবদলের পালাতে ছোট্ট গোলাপের গাছটি পূর্ণতা পেল
আমার অন্ধকার জীবন মাঝে যেন আলোর দীপালী জ্বলল।
কিন্তু এইকি অদৃষ্ট নিয়তির পরিহাস হায়
বিকলাংগ ভাইরাসের আক্রমনে
প্রাপ্তির ফুল আর ফুটলনা গাছে।
আমার বিশ্বাসের দেয়ালে ভাংগনের ফাটল ধরল
চলৎশক্তিহীন আশার তরী তখন মধ্যে যমুনায়।
আমি ফিরে আসতে চাইলাম স্বভুমিকায়
কিন্তু বিবেকের ন উত্তরে হেরে গেলাম।
তারপর সোনালী দিনের নব পরিচর্চায়
আবার গাছটি ফিরে পেল পূর্ণতার আলো
সবুজ পাতায় ছেয়ে গেল তার ডাল পালা।
আমি অপেক্ষায় রইলাম কবে কখন ফুল ফুটবে?
আর সুজয়িতাকে সাজাবো ভালবাসার ফুলে ফুলে। ।
হঠাৎ একদিন দেখি সবুজ গাছটির ডালে ডালে কুসম কলি
আমি আত্ন হারা হয়ে গেলাম, ভুলে গেলাম সব পরাজয়ের গ্লানি
ভাবলাম এইবার আমার ইচ্ছের স্বপ্ন তরী
দু:খ যমুনা পারি দিয়ে প্রাপ্তির তীরে পৌছবেই?
আর আমি সুজয়িতাকে সাজাবো নিজের মতন করে।
কিন্তু বাস্তবতার আরশিতে একি হেরিলাম
সুজয়িতা তখন সাধারণ ফুলের সৌরভে বিমোহিত
অন্ধ তপস্যায় আরেক বসন্তের পদদলিত মানচিত্র।
আমি থ হয়ে দাড়িয়ে রইলাম
আমার ইচ্ছের স্বপ্ন তখন মৃত প্রায়।
তার পর একদিন ক্ষোভ হল গাছটির প্রতি
উত্তেজনায় উপড়ে ফেললাম অর্ধযুগবয়সী গাছটি
আর সেদিন থেকে সেই জায়গাটি শুণ্যই রয়ে গেল