কি সুন্দর দুঃখগুলো জীবনের সঙ্গে মানিয়েছে বেশ, সব দুঃখই সুন্দর যদি গোছগাছ করে রাখা যায়। আমি তাই তাক ভরে ভরে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখি দুঃখ সামগ্রী, আমার নির্লিপ্ত চোখে,সোজা সাপ্টায়। আমার হরেক রকমের দুঃখ আছে চলতি মাসে ঋণ শোধাবার অতি কাছে, বেকারত্বের ছটফটানি আছে আমার দুঃখ নাচে। আমার একটা ক্ষুদার রাজ্য আছে- কখনো অভাবের ছিলানিপনা যায়না মুছে। আমার একটা বিরহ আছে- চন্ডিদাস আর রজকিনীর মাঝে। আমার হরেক রঙের দুঃখ আছে, লাল, নীল,মেরুন সব রঙের, রঙে রঙে আমিও হয়ে যাই বেশ ঢঙের। রংধনু হয়ে যাই সমুদ্রের পাদদেশে মন খারাপের সময়গুলো আশপাশে মানিয়েছে বেশ বেশ! বেশ! এখন শুধু দুঃখের চাষবাষ করি, লাঙল ফলা দিয়ে দু চোখ চিরি বুকের গহীনে চিরে বের করি চিরাচরিত নদী ভুলে যাই যদি। এখন দিন চলে যায় দুঃখ দুঃখ খেলে, চোখ বুজলেই নিদ্রাহীন শহরে ঘুরে বেড়াই সুযোগ পেলে, চোখের কোণে নাচে আস্তাকুঁড়ে রাত, কান্নার শহরে দাপিয়ে বেড়াই, চোখের কোণে জল প্রপাত। ঘুম থাকেনা ঘুমের ভেতর, জলের ভেতর জল থাকেনা, এত্ত সব দুঃখ- দুঃখই থাকেনা আমার নাগাল পেলে। দুঃখেরা সুঠাম দেহী হয়ে ওঠে সুযোগ পেলে, পোয়াতি হয়,বিয়োয় গোপনে গোপনে, বংশবিস্তার করে, মন্থনে মন্থনে, কারন জানো? সকল দুঃখের আশ্রয় আমার এই সিংহাসনে। লেখাঃ ২৬/৪/১৫ইং