বিরহ কান্না শুভ্র জোছনা মৃদু মূর্ছনা কপাল জোড়া লাল টিপ শুভ্রতায় অগোছালো শুভ্রকেশ নীল শাড়ির আঁচলে প্রদীপ। বেঁধে বাহুবন্ধনে অবচেতন অলক্ষ্যে রাখি হাত তারার ঝিলিমিলি নিষ্প্রভ খিড়কি বন্ধনী বেঘাত। এ কোন খিড়কি বেঁধেছো বক্ষে ত্রিকোণাকৃতির ওষ্ট যুগলে মেখে রেখেছো এ কী মুক্ত ধরিত্রীর? একাকী এসেছিলে নিরালায় বসেছিলে মোহনায় মিলনের সন্ধিক্ষণে জোসনা বাড়ায় আলো থমকে যাই উদ্যত হাত বাড়াই বুকটা করে টলোমলো। চাঁদ ঘুমায় মেঘের আড়ালে ধরো হাত চুপিসারে খানিক আলিঙ্গনে চুমোয় চলো যাই অভিসারে। দুষ্ট মেঘমালা সরে দাঁড়ায় কুহেলিকার আবর্তে ভাঙ্গা প্রেমের বিধৌত ফাঁদ বিলীন হয়ে যায় মর্তে। একা জাগে নিশিথীনি পাশে বসে থাকি আমি ওঠে মরু ঝড় ওড়ে বালুচর ঘটে নি কভু প্রেম আলিঙ্গন তবুও মাঝে মাঝে পোড়ে মন। ভাবো সখি চখাচখি তুমি দিয়েছো পাড়ি কোন সুদূরে আজো খুঁজে ফিরি শূন্য দুয়ারে; বিরহের কান্না, জীবনে আর না।