একদা হাঁটছিলাম নদীর তীরে.. তীর বোঝাই অজস্র রোদ, নদীটা বালুচরে গা ভাসিয়ে দৈনন্দিন চৌচির হচ্ছে। কি যে খটখটে তাম্রলিপির বালুকাময় অজৈবিকতার চিকচিকে দাবদাহ! নৌকোর মাস্তল আটকে অাছে ভাগ্য নিয়ে- তীরে। ছাগল ভেড়ার ছুটোছুটি দিনমান, ঘাটের ভিখিরি আস্তিন ঝেড়ে ছায়া খোঁজে অগত্যা। | মন ভালো নেই নদীর। নাব্যতা হারিয়ে মেহনতি মেজাজে ঘুমহীন নদী বেশ্যার মতন একলা পড়ে থাকে। কেউ নেই। মাঝি নেই, ইলিশ নেই, বহমান স্রোত নেই। | তৈলাক্ত কষ্টেরা নিছক পিচ্ছিল অনুভবমাত্র! উপলব্ধির পিঠে এখন ভিজে যাওয়া সুখজ শ্রাবণ। | হে ভেড়া ও ছাগলের দল! তোমরা ঘাঁস চিবিয়ে জীবন বাঁচাও, নদীর বুক মাড়িয়ে, চৌচির শরীরে ছুটোাছুটি করে তাবৎ সবুজ গিলে খাও অনায়াসে, এখন তোমাদের দিন শেষ - নদীরও আছে জল, সুখ প্রবল শ্রাবণ এসে ঢেউ নাচাবে, গভীর অতল। | লেখাঃ ১০/০৭/১৫ইং