সকল প্রাণীর স্বাধীনতা আছে। পাখিরা গাছের ডালে বাসা বাঁধে।বাঁশ গাছের উপরে একটি বকের বাসা ছিল।সেই বকের বাসায় বকের ছোট্ট চারটি বাঁচ্চা চানা ছিল।তাঁদের মা বকটি এক দিন খাবারের খুঁজে বাংলার মুক্ত আকাঁশে উড়তে উড়তে গ্রামের ধান ক্ষেতের জমে থাকা স্বল্প পানিতে নামিল মাছ ধঁরিতে। অন্য দিকে এক শিকারী বকটিকে শিকার জন্য জাল নিয়ে আসিল।পিছন থেকে শিকারী তার জাল ফেলিল বকটির উপর। তখনি বকটি কান্না জড়িত কন্ঠে বলতে লাগিল,চেড়ে দাও শিকারী আমাকে চেড়ে দাও।আমাকে থাকিতে দাও বাংলার মুক্ত স্বাধীন সবুজ আকাঁশে।যেতে দাও আমার ছোট্ট বাচ্ছা চানার কাছে,ফিরে যেতে দাও।শুনিল না শিকারী শুনিল না বকটির কথা। শিকারী বকটির পা দুটু বেঁধে নিয়ে গেল তাঁর বাড়ীতে।শিকারী তাঁর স্ত্রীকে বলল-দাও আমার হাতে চুরি দাও,আজ বকটিকে জবাই করিব। বকটি কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগিল-শিকারী তুমি আমাকে জবাই করবে,আমাকে তুমি খাবে ভাল কথা।তবে দেখিও আমার স্বাধীন বাংলাকে,ভালবাসিও বাংলার সবুজ আকাঁশকে। বকটির কান্না জড়িত কন্ঠ শুনে শিকারীর ছোট্ট বাচ্ছাটি ঘর হতে বেরিয়ে আসিল,আর বলিলেন তাঁর বাবাকে-আব্বু বকটিকে চেড়ে দাও!চেড়ে দাও বাবা চেড়ে দাও!!।এই মুক্ত স্বাধীন বাংলার আকাঁশে পাখিরা উড়বে,তাদেরও স্বাধীনতা আছে। শিকারী তাঁর ছোট্ট বাঁচ্চার কথা শুনে মুগ্ধ হয়ে বলতে লাগিল-পারলাম না বাবা,তোমার জন্য পারলাম না।শিকারী তাঁর ছোট্ট বাচ্চাকে জিঙ্গেস করিল-বাবা তোমাকে কে শিখালো পাখির স্বাধীনতার কথা?বাচ্চা বলিল-আব্বু পাঠশালায় আমার শিক্ষকরা শিখিয়েছেন। এবার শিকারী তাঁর হাত থেকে চুরি ফেলে দিল,এবং বকটিকে ছেড়েও দিল। বকটি বাংলার মুক্ত স্বাধীন আকাঁশে স্বাধীন ভাবে উড়তে লাগিল।উড়তে উড়তে বকটি তাঁর সেই ছোট্ট বাঁচ্চা চানাদের কাছে ফিরে গেল।