আমরা অনেক দেখেছি,অনেক শুনেছি।পাখিরা কথা বলতে জানে।কেউ পাখির সাথে কথা বলে।আবার অনেকেই বলার সুযোগ পায়নি।তবুও তারা বিশ্বাস করে,পাখিরা কথা বলতে জানে,ঠিক মানুষের ভাষায়।
আমি গ্রামের সেই দৃশ্যের থেকেই লিখতেছি।পাখিরা গাছের ডালে বাসা বাঁধে,আপন আপন পরিবারকে দিয়ে বসবাস করার জন্য।কেউ বা আবার এর ভিন্ন।যে সব পাখিরা কথা বলতে শিখতে পারে,সেই সব পাখিদের প্রতি অনেক ঞ্জানী লোকের নজর পড়ে।যদি চৈত্র মাসের ডিম হয়ে বাচ্চা হয় বৈশাখ মাসে,সে সব বাচ্চা পাখিরাই বিষেশ করে কথা বলতে শিখতে পারে সহজে।তাই তাদেরকে মায়া করে,আদর করে বন্দি খাঁচায় রাখা হয়।খাবার দেয় দুধ কলা সহ মুল্যবান খাদ্য ইত্যাদি।ওরা বেড়ে ওটার সাথে সাথে কথা বলতে শিখে।তাঁদের নাম দেওয়া হয় ময়না,ঠিয়া,রাজা ইত্যাদি।এই পাখি মানুষের মত কথা বলতে পারে।এমন পাখিকে কার না ভাল লাগতে পারে!ওরা মানুষের হৃদয়ে স্হান পায়।তাই তাদেরকে মানুষ ভালবাসে,আদর দেয়।.
.
আর যে সব পাখিরা পরের ঘরে বাসা বাঁধে তাদের বাচ্চা পাখিদের চরিত্র হয় ভিন্ন।কারণ তারা চার দেয়ালে মাঝে বেড়ে ওঠে ছিল।এ সব ছোট পাখিকে কিছু দুষ্ট ছেলেরা অতি সহজে ধরে পেলে।রাখে খাঁচার বেতর।তারা এটাও বুঝে না,যে তারা কি খাঁচায় আছে না পরের ঘরের চার দেয়ালের বেতর আছে।কিছু দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও মানুষের মত কথা বলতে পারে না।তখন তাদেরকে চেড়ে দেওয়া হয়,অনেক ছেলেরা আবার মেরেও পেলে,খেলা করতে গিয়ে।পাখিটি উড়তে উড়তে খুজে পায় না তার ঠিকানা।ছোট বেলার মত পরের ঘরে স্হানও পায় না।অবশেষে কঠিন ঝড়ের কবলে পড়ে মরে যায়,সে সব পাখিদের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায় রাস্তার পাশে।মরে দূর্গ্ধ চড়ায়।ফলে সমাজ দুষিত হয়।
.
.
বাস্তবের কথা।
.
.
.
অনেক সময় পাখির মত মানুষে জীবন এমন হয়।আরামে থেকে ভুলে যায় নিজেকে নিজে।
জামশেদ (বদরী).