গ্রামের কর্দম হইতে ওঠে আসা এক মৌলভীর পরিবার অল্প খাই,
পয়সা বাঁচাই.চিন্তা তাঁদের ভবিষ্যতের।
মৌলভীর বিবি কহিল প্রাণের স্বামীকে বাজার হইতে আনিবেন অল্প শুকনো চিংড়ি মাছ।
বিবির কথায় মৌলভী সাহেব বাজার হইতে কিছু শুকনো চিংড়ি মাছ ত্রূয় করে বাড়িতে আনিলেন।মৌলভীর স্ত্রী প্রতি বার রান্না করিবার সময় সুঁতায় কিছু শুকনো চিংড়ি মাছ বাঁধিয়া তরকারীর জলে ডুবাইয়া তুলিতেন,যাতে করে শুকনো চিংড়ি মাছের গন্ধ তরকারী খাইতে গেলে পাওয়া যায়।
রান্না বান্না শেষে শুকনো চিংড়ি মাছ গুলো রৌদ্রে শুকাইতে দিত,যেন পুনরায় সেই শুকনো চিংড়ি মাছ আবার একেই পদ্ধতিতে ব্যবহার করিতে পারে।
মাস শেষে ঐ ব্যবহারিত শুকনো চিংড়ি মাছ গুলো শুকনো মাছ ব্যবসায়ীকে ফেরত দিয়ে পাল্টিয়ে নতুন শুকনো চিংড়ি মাছ বাড়িতে নিয়ে আসিত।
মৌলভী সাহেবের বড়ই কপাল ভাল,কারণ উনি মাদ্রাসার ছাত্র/ছাত্রীদের পাঠ দান দিতেন।
ঐ শুকনো মাছ ব্যবসায়ী মৌলভী সাহেবের প্রাপ্তন ছাত্র ছিল।এরেই সুযোগে মৌলভী শুকনো মাছ ফেরত দিতে পারতেন।
"এমনই চলিত,
মৌলভীর স্বভাব চরিত্র"
উপরোক্ত,
উল্যেখিত সমাজে বাস্তব এক মৌলভীর প্রকৃত স্বভাব চরিত্রের নমুনার একটা দিক তুলে ধরিলাম মাত্র।
লিখনির প্রকৃত মৌলভীর কন্যা দ্বয় বিবাহের উপযোক্ত হয়িল বয়সের প্রমাণ,তাহা মৌলভী সমাজে বয়ান করেন।মৌলভীর মেজু মেয়ের বিবাহ দিতে হইলে সমাজের নিয়ম অনুযায়ী বড় মেয়ের বিবাহ দেওয়া আবশ্যক হইল।
তবে,বড় মেয়ের বিবাহ দিতে গেলে বিরাট এক সমস্যা দেখা দিল।কারণ-বড় মেয়ের যৌবন প্রাপ্তির পূবেই মৌলভীর কোন এক ছাত্রের সাথে মৌখিক বিবাহের কথা ছিল।সেই ছেলের কাছ থেকে মৌলভী প্রায় বিশ কম লক্ষ অর্থ খেয়ে ছিল।
মৌলভীর স্ব-পরিবার শহরে থাকেন।আর শহরের হাওয়া বাতাস পাল্টিয়ে দিল তাঁহাদের রূপ,আরো পরিবর্তন হইল মন মানুষীকতা।এতে মৌলভী তাঁহার বড় কন্যাকে জামাই বানাইতে দেখায়,গোবরে ফুঠা পদ্ম ফুল।
উল্টে যায়,
মৌলভীর হবু জামাই...শুনিলে অতিত কথা।
মৌলভীর স্বভাব,
পাত্র গণকে....কখনো যোজন,আবার কখনো বিয়োজন।
নাহি লাজ তাঁহার,কহিল মৌলভীর স্বজন।
পরিশেষ,
কাহিনীর মর্ম হইতে,
লইতে পারি উপদেশ।
"এই সব মৌলভী হইতে সাবধান,
সাবধানতাই সফলতার কানন".