কিছুক্ষণ পর থেমে যাবে রজনীর সমস্ত কোলাহল- প্রশান্ত চিত্তে ঘুমিয়ে পড়বে ধরণী; বিলাসী স্বপনে কেটে যাবে রাত, চন্দ্রের আলোকসজ্জা লীন হবে উষার লগনে প্রস্তুত হবে ঘন সবুজ নারঙ্গীবন; বরণীবে একটি নতুন ভোর। . বৈপরীত্য অয়নে জেগে রব একাকী সঙ্গে নাড়ীর টান; মায়ের ঘরে ফেরার দিব্যি, আমায় আর ডাকিস নে মা- তোর ছেড়া নাড়ীর অদৃশ্য টানে আর টানিস নে মা! . উচ্চাকাঙ্ক্ষার অতৃপ্ত বাসনার লেলিহান শিখায় আড়ষ্ট হয়ে পড়েছে আমার অন্তর আমার বাহির; তোরই নিপুণ স্নেহাশিসে গড়া আমার অস্তিত্ব আমার ব্যাক্তিত্ব, শহুরে সাইরেন আর নির্জীব কোলাহলের ফাঁকেও আমার একান্ত আপন কিছু শব্দগুচ্ছ তোর স্পর্শ পেতে অহর্নিশ হ্যাপিত্যেশ করে মা, শরীরী রুধীর নিঃসংগোপনে বয়ে চলার মাঝেও হঠাৎ পেয়ে যাই তোর উষ্ণ আলিঙ্গন। . জানিস মা? ভার্সিটি ছুটি হয়েছে- গল্পের ঝুলি নিয়ে এবার আমি বাড়ি ফিরব, জীবন নামক অধ্যায়ের অনিয়ত ছন্দপতনের গল্প সবুজ আঙিনা উষঢ় কংক্রিটে ঢেকে যাওয়ার গল্প মনুষ্যত্ব বিবর্জিত যান্ত্রিক সমাজ ব্যাবস্থার বিবর্তনের গল্প আছে মা! . প্লাটফর্ম হতে হুইসেল বাজিয়ে ঘরে ফেরা আনন্দবাহী ভোরের ট্রেনে বা স্রোতস্বিনীর বক্ষছেদী সিটি বাজানো লঞ্চের লোকারণ্য-পূর্ণ সস্তা ডেকে কিংবা হাফ টিকিটে ভর করে কোনো বাসযাত্রার মহারথীহীন সারথী সেজে- মা, আমি আসছি। . দেখো মা! ঐযে ধেয়ে আসছে অপেক্ষার শেষ প্রহর তোমার নাড়ি ছেড়া ধন আজ বাড়ি ফিরছে।