এই পৃষ্ঠা প্রিন্ট করুন
মঙ্গলবার, 10 অক্টোবর 2017 20:29

মনে রাখোনি আমায় নির্বাচিত

লিখেছেন
লেখায় ভোট দিন
(0 টি ভোট)
                ‘মনে রাখোনি আমায়’



অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী-
আমার হৃদপিন্ডে মাথা রেখে কান পেতে শোনো
আমার শিকড়ের শব্দ শুনতে পাচ্ছো ?
ধুক ধুক শব্দ? কি বললে কোনো শব্দ নেই!
তবে অপেক্ষা করো আমি মৃত্যুর স্বর্গ থেকে
জীবনের নরকে আমাকে টেনে নেই।
খুব কষ্ট হচ্ছে আমার পৃথিবীর নরক যন্ত্রণার,
তবু তুমি কান পেতে শুনবে বলে আত্মাটা হাত দিয়ে
ভিতরে ঢুকিয়ে ফিরে এসেছি আবার|
এখন কি আমার হৃদ-স্পন্দন তোমার হৃদ-স্পন্দনে
শিকড়ের গন্ধ পাচ্ছে?
অপেক্ষার করো হয়তো জেগে উঠবে আমার মৃতদেহ
তোমার ভালোবাসার প্রাণের জাগরণে,
একটু কান পেতে আঁচ করো কিছুক্ষন
শব্দ বাজছে আবার থেমে গিয়ে আবার বাজছে
না থেমে গেছে চিরকাল কাঁচা মাংসের তূলে  তুলে
লজ্জাবতীর আঁচলে কিংবা যাঁতাকলে ?
তুমি তো বেঁচে ছিলে তুমিও কি মরে গেলে ? আমার
মখমলের শরীর, বুকে জন্মের দাগ সব কি ভুলে গেলে ?
এমন তো কথা ছিলনা;
তোমার সেই রেশমি চুরির হাতের স্পর্শে
শরীরের কুঁচ কুঁচে কালো  লোমগুলো খাড়া হয়ে যেত যখন তখন
সব কি ভুলে গেলে নাকি বেনারসির জ্বল জ্বলে আবেগে ?
তোমার চোখে এখন কেবল নতুন সংসারের স্বপ্ন
কথা তো এমন ছিলনা,
তোমাকে না পেয়ে গলায় দড়ি দিলাম
তুমিতো বলেছিলে আমি না থাকলে
তুমিও চলে যাবে আমার সাথে
না ফেরার দেশে ছদ্মবেশির বেশে  |
মিথ্যে মিথ্যে সব মিথ্যে
তোমার সাজানো  প্রেমে ভেসে গেছে আমার যৌবন
হায় বিধাতা আমাকে আবার নিয়ে যাও মৃতদের মিছিলে
প্রেয়সী যে ভুলে গেছে তার  আগের
মহানায়ককে তার মহাপ্রস্থানে |
আজ আমি পচা লাশ,  পরে থাকবো চিরকাল হয়তো নির্জন গোরস্থানে
অথবা শবদেহ পুড়বে মনের আগুনের নিরুত্তাপ স্মশানে  |
সব ছিল তোমার খেলা,  মন গড়া  অভিনয় ?
আমি নেই তুমিও স্বার্থপরের মতো
ভুলে গেছো আমাকে,
যে মরেছিল শুধু তোমাকে না পাওয়ার বোবা কান্নায়
নিস্তব্ধ দুপুরে |
একদিন উঠোন ভরা প্রেম ছিল, মন ভরা যৌবন ছিল,
রং ছিল রস ছিল ঢং ছিল,
আজ কিছু নেই,  সব হয়ে গেলো দুঃসহ যন্ত্রনা কার পাপে
যাকে ধরা চায়না স্পর্শ করা যায়না
শুধু অনুভব করা যায় অধরার মতো
নিস্তব্ধ স্বর্গে কিংবা নরকে |
চলে যাচ্ছি আর আসবোনা কখনো ফিরে
তোমার পৃথিবীতে আর আমার মতো যারা আজও বেঁচে আছে
তাদের বলবো বলে যাবো নিরন্তর
তোমরা আমার মতো মরণা,  কারণ মানুষ
মরে গেলে তার কোনো দাম থাকেনা,
কেউ তাকে মনে রাখেনা,
সে শুধু হয়ে যায় ফ্রেমে বাধা ছবি  |            
            
544 বার পড়া হয়েছে সর্বশেষ হালনাগাদ বৃহষ্পতিবার, 10 সেপ্টেম্বর 2020 13:59
শেয়ার করুন
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর এ দীর্ঘদিন যাবত শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত আছেন। শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে তিনি যেমন অবদান রেখে চলেছেন তেমনি সৃষ্টিশীল লেখার ক্ষেত্রেও তাঁর পদচারণা। তিনি মনে করেন বিজ্ঞান চর্চা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি একে অন্যের পরিপূরক। তিনি একাধারে শিক্ষাবিদ, গবেষক, গল্পকার, প্রাবন্ধিক, কবি, গীতিকার, নাট্যকার, সমাজ সংস্কারক ও সাংস্কৃতিক কর্মী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শনে বিশ্বাসী এই মানুষটির ছোটবেলা থেকেই লেখায় হাতেখড়ি। কৈশোর ও তারুণ্যে তিনি বাংলা একাডেমি, খেলাঘর, কঁচিকাচার মেলা সহ বিভিন্ন সংগঠনে কাজ করেছেন। এই সময় তাঁর প্রবন্ধ, কবিতা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। প্রকৌশল বিদ্যা অধ্যায়নের সময় তিনি প্রগতিশীল কর্মী হিসেবে কাজ করে সহিত চর্চা করে গেছেন। এ সময় তাঁর লেখাগুলো বিশ্ববিদালয়ের ম্যাগাজিনে এখনও সংরক্ষিত আছে। এছাড়াও অনেকদিন ধরেই তিনি দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে লিখে চলেছেন। বাংলা ও ইংরেজি দুই সাহিত্যেই তাঁর সমান দক্ষতা রয়েছে। সমাজ, রাষ্ট্র, প্রকৃতি, বিজ্ঞান, শিক্ষা, পরিবর্তন, সম্ভাবনা ও মানুষ তাঁর লেখার মূল উপজীব্য বিষয়। তিনি একজন ভাল বক্তা। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের টক্ শো সহ বিভিন্ন সৃজনশীল অনুষ্ঠানে তাকে অতিথি হিসেবে দেখা যায়। ভারতরে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রী অজিত কুমার পাঁজা কলকাতা দূরদর্শনের একটি প্রতিযোগিতায় তাঁর প্রেরিত প্রবন্ধে মোহিত হয়ে নিজ হাতে পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সে সময় সম্প্রচারিত হয়। এই খবরটি আজকাল, সংবাদ, বাংলাবাজার সহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এছাড়া তিনি ফিলিপিন্স, চীন, বি-টিভি সহ দেশ বিদেশের বিভিন্ন পুরুস্কারে ভূষিত হন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের একজন কর্মী হিসেবে তিনি কাজ করে চলেছেন।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী এর সর্বশেষ লেখা

একই ধরনের লেখা

1 মন্তব্য