এই পৃষ্ঠা প্রিন্ট করুন
বৃহষ্পতিবার, 12 অক্টোবর 2017 22:36

বিদায় তোমাদের পৃথিবী থেকে নির্বাচিত

লিখেছেন
লেখায় ভোট দিন
(0 টি ভোট)
                বিদায় তোমাদের পৃথিবী থেকে

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী

হয়তো অভিমানে চলে যাবো একদিন
তারা হয়ে রাতের আকাশে 
অথবা ধুমকেতু হয়ে কোনো এক নির্জনে 
তারপরও 
মনে রেখো তোমাদের কথা ভেবেছিলো একটি 
রক্ত মাংসের মানুষ প্রতিদিন 
যার বিশ্বাস ছিল তোমাদের আগামীর জয় 
যার ভালোবাসা ছিল বিশ্বময় 
যে তোমাদের চোখে দেখেছিলো 
এক আলোকিত বিস্ময়
হয়তো ভুলে যাবে তাকে 
যে বুকে আগলে রেখেছিলো তোমাকে 
নেপথ্যে স্বার্থহীন সম্ভাবনায় 
কোন এক নিভৃত রাতে 
কিংবা শিশিরসিক্ত প্রভাতে |
যদি পারো ভুলে যাও তাকে 
তারপর কোনো এক স্মৃতির আবেগে 
যদি দুঃসহ বেদনায় 
মনে পড়ে থাকে 
তবে তার মাটির কবরে 
তোমার একফোঁটা জল 
হবে তার আত্মার 
একটুকরো প্রশান্তির অহংকার |
অভিমান 
বিদায় তোমায় জানাই 
এক প্রাণহীন সন্নাসীর বেশে 
চলে যাবো হঠাত 
বিদায় না ফেরার দেশে |
ভালো থেকো তোমরা 
তোমাদের যাত্রা পথে 
আর বিজয়ের রথে 
দেখা হবে মহাপ্রলয়ের পরে
কোনো এক ঠিকানাবিহীন ঘরে 
অথবা বিশ্ব চরাচরে | 
বিদায় তোমাদের পৃথিবী থেকে 
ঠিকানাবিহীন 
ভালো মানুষদের বেশিদিন থাকতে নেই 
বেশিদিন বাঁচতে নেই 
ওরা হয়ে যায় এক অজানা ঢেউ 
ওদের পবিত্র হাত দেখেনা কেউ |
বিদায় চির বিদায় 
হে নিষ্ঠুর পৃথিবী 
তোমাদের আশিস জানাই 
আবার দেখা হবে
অন্য ভুবনে লেখা হবে 
আরেক মানুষের জ্বলন্ত অধ্যায় |
             
            
675 বার পড়া হয়েছে
শেয়ার করুন
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর এ দীর্ঘদিন যাবত শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত আছেন। শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে তিনি যেমন অবদান রেখে চলেছেন তেমনি সৃষ্টিশীল লেখার ক্ষেত্রেও তাঁর পদচারণা। তিনি মনে করেন বিজ্ঞান চর্চা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি একে অন্যের পরিপূরক। তিনি একাধারে শিক্ষাবিদ, গবেষক, গল্পকার, প্রাবন্ধিক, কবি, গীতিকার, নাট্যকার, সমাজ সংস্কারক ও সাংস্কৃতিক কর্মী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শনে বিশ্বাসী এই মানুষটির ছোটবেলা থেকেই লেখায় হাতেখড়ি। কৈশোর ও তারুণ্যে তিনি বাংলা একাডেমি, খেলাঘর, কঁচিকাচার মেলা সহ বিভিন্ন সংগঠনে কাজ করেছেন। এই সময় তাঁর প্রবন্ধ, কবিতা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। প্রকৌশল বিদ্যা অধ্যায়নের সময় তিনি প্রগতিশীল কর্মী হিসেবে কাজ করে সহিত চর্চা করে গেছেন। এ সময় তাঁর লেখাগুলো বিশ্ববিদালয়ের ম্যাগাজিনে এখনও সংরক্ষিত আছে। এছাড়াও অনেকদিন ধরেই তিনি দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে লিখে চলেছেন। বাংলা ও ইংরেজি দুই সাহিত্যেই তাঁর সমান দক্ষতা রয়েছে। সমাজ, রাষ্ট্র, প্রকৃতি, বিজ্ঞান, শিক্ষা, পরিবর্তন, সম্ভাবনা ও মানুষ তাঁর লেখার মূল উপজীব্য বিষয়। তিনি একজন ভাল বক্তা। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের টক্ শো সহ বিভিন্ন সৃজনশীল অনুষ্ঠানে তাকে অতিথি হিসেবে দেখা যায়। ভারতরে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রী অজিত কুমার পাঁজা কলকাতা দূরদর্শনের একটি প্রতিযোগিতায় তাঁর প্রেরিত প্রবন্ধে মোহিত হয়ে নিজ হাতে পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সে সময় সম্প্রচারিত হয়। এই খবরটি আজকাল, সংবাদ, বাংলাবাজার সহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এছাড়া তিনি ফিলিপিন্স, চীন, বি-টিভি সহ দেশ বিদেশের বিভিন্ন পুরুস্কারে ভূষিত হন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের একজন কর্মী হিসেবে তিনি কাজ করে চলেছেন।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী এর সর্বশেষ লেখা

একই ধরনের লেখা

2 মন্তব্য