স্বাধীনতা পবিত্র এ কথাটি শুনতে
বড়োই তিতো লাগে আজ।
এ যেন এক কাপ নিম রস
যখনি স্বাধীনতা নিয়ে স্বাধীন ভাবে
মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখতে বসি
এলোমেলো হয়ে পড়ে বর্ণমালা,
মিছিল করে ওঠে প্রতিবাদী শব্দ।
ভাষারা হারিয়ে ফেলে তার স্বকীয়তা
ভেসে ওঠে চোখের সামনে
বিষাক্ত প্রট্রোল বোমার ছোবলে
হাজারো অগ্নি দগ্ধ লাশ আর
পিতৃ হারা অবুঝ শিশুর বিধুত কান্না,
তাইতো লিখতে চায়না মন
স্বাধীনতা নিয়ে কোনো কাব্য কবিতা।
তবুও আমি লিখতে যাই স্বাধীনতা
জোর করে কলম চালাই
কিন্তু কলমের কালির বিবর্তে পড়ে
বার্ন ইউনিটে জমে থাকা কোটি কোটি
গ্যালন পরাধীনতার ঘৃণিত পুঁজ।
স্বাধীন কথাটা বলতে বড়োই ভয় হয় আজ
কেন জানো?
যদি ওরা উঠে আসে
কবর,শশ্মান কিংবা কাফিন থেকে,
যদি ছুঁড়ে মারে নিরুত্তর প্রশ্ন!
অথাবা যদি ওরা বলে
হে কবি,
কেন এতো স্বাধীনতার গান গাও?
কেন লেখ এতো স্বাধীনতার কবিতা?
ফিরিয়ে দাও অামাদের সেই
স্বাধীন জীবন সংসার।
যদি ওরা বলে
হে বাংলার মানূষ
সত্যি কি তোমরা পেয়েছো
স্বাধীনতার নিদারুণ স্বাদ?
তোমরা কি পার?
বাংলার বুকে মুক্ত মনে
নির্ভেজাল শ্বাশ নিয়ে
চন্দ্রিমা রাতে নির্জন হাঁটতে।
নাকি স্বদেশি ভাইয়ের ছুঁড়ে দেওয়া
বোমার বিষাক্ত ধোঁয়ার মাঝে
বৃথা খুঁজে চলো সর্বাঙ্গ হারা নিজেস্ব
কিছু।
জানি তোমরা নিরুত্তর নির্বাক।
আর তোমারা যদি বলো হ্যাঁ
তবে সেটা হবে
সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ মিথ্যাচার।
কেন জানো?কারণ,
আজো বাংলার বুকে
২৫শে মার্চের মত রাত আসে।
আজো মানুষের লাশ নিয়ে টানাটানি করে
ক্ষুধার্ত কুকুর আর শকুনের দল।
ভেসে আসে বারে বারে
হাজারো মা বোনের
সতীত্ব রক্ষার করুন অার্তনাদ।
এবার বলো পরাধীনতার শিকেল
বাঁধা স্বাধীন মুকুট পরিহিত
হে বাংলার মানূষ,
সত্যি কি তোমরা স্বাধীন?