মেরাজ। দ্বীনের নবী, নিদ্রায় মগ্ন নাহি। জাগ্রত-ও নাহি, রজনীতে তন্দ্রে রয়। এমন ক্ষণে পবিত্র সত্তার বিশ্বাস্ত আত্মা, এল দাওয়াতি বার্তা লয়ে। রাত্রির স্বল্প অংশে, হাতিমে কা`বে অস্ত্র বিহীন। বক্ষ বিদীর্ণ ক্ষণে রক্ষাণাবেক্ষণ, ঈমাণ,হেকমত পরিপূর্ণ স্বর্ণ থালে। জমজমের জলে, কলব দৌতে বিশ্বাস্ত আত্মায়. দেখিলেন দ্বিতীয় চক্ষুদ্বয়-ও কান। সুবহান তাঁহার প্রিয়কে, আনন্দিত বোরাকে করালেন ভ্রমণ. ধরণীর প্রথম গৃহ হয়ে আকসে। প্রতিমধ্যে দ্বীনের নবী, আপন নজরে দেখিলেন. রবের ইবাদতে মগ্ন কবরে মুছা। বরকতময়ী ইবাদাত, দ্বীনের নবীর পেছনে পড়িতে. সর্ব পায়গাম্ভরের হৃদয়ের আশা। বাদে ইবাদত, বিশ্বাস্ত আত্মা নাস্তা স্বরূপ. আনলেন দুধওশরাব। প্রিয় নবীর প্রিয় তাতে, দুধ করিলেন পান। তাইতো দেখে যদি স্বপ্নে কেহ, দুধ করিতে পান! সক্ষম সে, খোদার হেকমত করিতে অর্জন. হাদিসে প্রমাণ। প্রিয় নবী উর্ধ গগনে গমণে সক্ষম। প্রথম আশমায় স্বাগতম, জানালেন আদম। দ্বিতীয়তে ইউসুপ, বেহেস্তী যোবক সৌন্দর্য্যে তাঁহার স্বরূপ। আশমায় সকল নবীর সাক্ষাত। এক নজর দেখিতে, আল্লাহর হাবীবকে। নুরের ফেরেস্তাগণ বসিল একে একে. ঝিক ঝাঁক মুনতাহায়।(সিদরাতুল মুনতাহা) উর্ধ হতে নিম্নে নিম্ন হতে উর্ধে গমণে অক্ষম সকল, এক জন ব্যতিত. তিনি আল্লাহর রাসুল(সাঃ)। চৌ`ঝর্ণা দেখিলেন নবী সেথায়, যাহার মুলে. বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। ছয়শত ডানা বিশিষ্ট, বিশ্বাস্ত আত্মা যেতে অক্ষম. মুনতাহার উর্ধে। মুহুর্তে এল খোদারই পক্ষ হতে রফরফ। রফরফ সেতো বিঝলীর তড়িৎ গতিতে, পৌঁছায় আরশে। খোদা সালাম জানাই, নবী মোস্তাফাকে। দেখালেন রব তাঁহার সৃষ্টি, করিলেন তাতে. দ্বীনের নবী করুণার দৃষ্টি। বন্ধু বন্ধুর সনে, নব্বই হাজার কতোপকথন পর. ফের দ্বীনের নবী ফিরলেন ধরণীতে, লয়ে পাঞ্জাগানা।