প্রেমের পাণ্ডুলিপি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী যেতে হবে বহুদূর, ভরা যৌবনের ডাক দিয়েছে সময় যে সময় ফিরে আসেনা আবার চলে যায় উড়ন্ত পাখির মতো ফেরারি আসামি হয়ে দূরে বহুদূরে পিরিতির মিছিল করে জীবনের সুতোয় কাটা কোন এক নিভৃত বন্দরে, যেখানে আগুনে জ্বলে একমুঠো কাঠের যৌবন একটুকরো কাদামাটি হয়ে নীলপদ্মের অন্দরে; মিলেমিশে হয়ে যায় এক কাব্য নয় কোন কবিতার পাণ্ডুলিপি অথবা কবির ভাবনা | কেউ প্রেমে সফল হয়, সময় চলে তার সাথে কেউ হয় বিরহী, প্রেম তার সাথে করে বিদ্রোহ সময় ছেড়ে চলে যায় তাকে, কোন এক বিক্ষুব্ধ নন্দিনীর বন্দি নদীর বাঁকে | কেউ পুড়ে, কেউ পোড়ায়, যৌবনের ডাক নূপুরের শব্দে হারিয়ে যায় কারও যৌবন, কেউ ফিরে পায় সময়ের নুপুর যেখানে যৌবন করে জীবনের গান মাটি ফেটে হয়ে যায় এক অদ্ভুত খরস্রোতা লবনাক্ত পুকুর | প্রেমে প্রত্যাখান তোমার আত্মঘাতী জীবনকে বলে কাপুরুষতা ওটা পরাজয় নয়, ওটা পিরিতির আত্মত্যাগ যা সময়কে ফেলে আবার উঠে দাঁড়ায় ভরা যৌবনের একফোঁটা জলে, পুড়ে হয় অংগার চিৎকার করে বলে হারাবার কিছু নেই সময় আর যৌবন যদি ধরে রাখা যায় ঘড়ির চাদরে, তবে আবার লেখা হয় এক নতুন প্রেম, ভরা যৌবনের অধিকার কোন এক সাদা কাগজের ছেঁড়া পাতায় | আর যারা পিরিতির পিরিত মিলায় তারা নদী থেকে সমুদ্রে ঢেউ খেলে, দোল খায় তারপর সময়ের স্রোতে ভেসে যায় দিগন্তে যৌবনের ভরা ডাক পথ হারায় কোন দুর্গম গিরিপথে, হাতে রেখে হাত হয়ে যায় জেগে উঠা স্বপ্নের বিস্ফোরণ কিংবা চিত্তহরণ প্রাণের সমর্পন | তারপর যৌবন ডাকে সময় গড়ায় কিন্তু সব কিছু ঝাপসা হয়ে যায় নিষিদ্ধ জীবনের কুয়াশায় একবিন্দু শিশির কোণায় নিস্তব্ধে।