মঙ্গলবার, 10 অক্টোবর 2017 20:31

প্রেমের পাণ্ডুলিপি নির্বাচিত

লিখেছেন
লেখায় ভোট দিন
(0 টি ভোট)
                প্রেমের পাণ্ডুলিপি

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী 

যেতে হবে বহুদূর, ভরা যৌবনের ডাক দিয়েছে সময় 

যে সময় ফিরে আসেনা আবার 

চলে যায় উড়ন্ত পাখির মতো ফেরারি আসামি হয়ে 

দূরে বহুদূরে পিরিতির মিছিল করে জীবনের 

সুতোয় কাটা কোন এক নিভৃত বন্দরে,

যেখানে আগুনে জ্বলে একমুঠো কাঠের যৌবন 

একটুকরো কাদামাটি  হয়ে  নীলপদ্মের অন্দরে; 

মিলেমিশে হয়ে যায় এক কাব্য 

নয় কোন কবিতার  পাণ্ডুলিপি 

অথবা কবির ভাবনা  |

কেউ প্রেমে সফল হয়, সময় চলে তার সাথে 

কেউ হয় বিরহী, প্রেম তার সাথে করে বিদ্রোহ 

সময় ছেড়ে চলে যায় তাকে,  

কোন এক বিক্ষুব্ধ নন্দিনীর বন্দি নদীর বাঁকে |

কেউ পুড়ে, কেউ পোড়ায়, যৌবনের ডাক 

নূপুরের শব্দে হারিয়ে যায় কারও যৌবন, 

কেউ ফিরে পায় সময়ের নুপুর 

যেখানে যৌবন করে জীবনের গান 

মাটি ফেটে হয়ে যায় এক অদ্ভুত 

খরস্রোতা লবনাক্ত পুকুর |

প্রেমে প্রত্যাখান তোমার আত্মঘাতী জীবনকে বলে কাপুরুষতা 

ওটা পরাজয় নয়,  ওটা পিরিতির আত্মত্যাগ 

যা সময়কে ফেলে আবার উঠে দাঁড়ায় ভরা যৌবনের 

একফোঁটা জলে, পুড়ে হয় অংগার  

চিৎকার করে বলে হারাবার কিছু নেই 

সময় আর যৌবন যদি ধরে রাখা যায় 

ঘড়ির চাদরে,  

তবে আবার লেখা হয় এক নতুন প্রেম,  ভরা যৌবনের অধিকার 

কোন এক সাদা কাগজের ছেঁড়া পাতায় |

আর যারা পিরিতির পিরিত মিলায়

তারা নদী থেকে সমুদ্রে ঢেউ খেলে,  দোল খায়

তারপর সময়ের স্রোতে ভেসে যায় দিগন্তে 

যৌবনের ভরা ডাক পথ হারায় কোন দুর্গম

গিরিপথে,  হাতে  রেখে হাত 

হয়ে যায় জেগে উঠা স্বপ্নের বিস্ফোরণ 

কিংবা চিত্তহরণ প্রাণের সমর্পন |

তারপর  যৌবন ডাকে সময় গড়ায়

কিন্তু সব কিছু ঝাপসা হয়ে যায় 

নিষিদ্ধ জীবনের কুয়াশায়

একবিন্দু শিশির কোণায়

নিস্তব্ধে।            
            
515 বার পড়া হয়েছে
শেয়ার করুন
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর এ দীর্ঘদিন যাবত শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত আছেন। শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে তিনি যেমন অবদান রেখে চলেছেন তেমনি সৃষ্টিশীল লেখার ক্ষেত্রেও তাঁর পদচারণা। তিনি মনে করেন বিজ্ঞান চর্চা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি একে অন্যের পরিপূরক। তিনি একাধারে শিক্ষাবিদ, গবেষক, গল্পকার, প্রাবন্ধিক, কবি, গীতিকার, নাট্যকার, সমাজ সংস্কারক ও সাংস্কৃতিক কর্মী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শনে বিশ্বাসী এই মানুষটির ছোটবেলা থেকেই লেখায় হাতেখড়ি। কৈশোর ও তারুণ্যে তিনি বাংলা একাডেমি, খেলাঘর, কঁচিকাচার মেলা সহ বিভিন্ন সংগঠনে কাজ করেছেন। এই সময় তাঁর প্রবন্ধ, কবিতা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। প্রকৌশল বিদ্যা অধ্যায়নের সময় তিনি প্রগতিশীল কর্মী হিসেবে কাজ করে সহিত চর্চা করে গেছেন। এ সময় তাঁর লেখাগুলো বিশ্ববিদালয়ের ম্যাগাজিনে এখনও সংরক্ষিত আছে। এছাড়াও অনেকদিন ধরেই তিনি দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে লিখে চলেছেন। বাংলা ও ইংরেজি দুই সাহিত্যেই তাঁর সমান দক্ষতা রয়েছে। সমাজ, রাষ্ট্র, প্রকৃতি, বিজ্ঞান, শিক্ষা, পরিবর্তন, সম্ভাবনা ও মানুষ তাঁর লেখার মূল উপজীব্য বিষয়। তিনি একজন ভাল বক্তা। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের টক্ শো সহ বিভিন্ন সৃজনশীল অনুষ্ঠানে তাকে অতিথি হিসেবে দেখা যায়। ভারতরে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রী অজিত কুমার পাঁজা কলকাতা দূরদর্শনের একটি প্রতিযোগিতায় তাঁর প্রেরিত প্রবন্ধে মোহিত হয়ে নিজ হাতে পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সে সময় সম্প্রচারিত হয়। এই খবরটি আজকাল, সংবাদ, বাংলাবাজার সহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এছাড়া তিনি ফিলিপিন্স, চীন, বি-টিভি সহ দেশ বিদেশের বিভিন্ন পুরুস্কারে ভূষিত হন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের একজন কর্মী হিসেবে তিনি কাজ করে চলেছেন।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী এর সর্বশেষ লেখা

মন্তব্য করুন

Make sure you enter all the required information, indicated by an asterisk (*). HTML code is not allowed.