এই পৃষ্ঠা প্রিন্ট করুন
শুক্রবার, 13 অক্টোবর 2017 14:10

স্বাগতম সুস্বাগতম নির্বাচিত

লিখেছেন
লেখায় ভোট দিন
(0 টি ভোট)
                মহামান্য রাষ্ট্রপতির সচিব জনাব সম্পদ বড়ুয়ার  ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুরে শুভাগমন উপলক্ষে  স্বাগতম জানিয়ে : 

স্বাগতম সুস্বাগতম 

অধ্যাপক ড, মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী 

হে প্রানপ্রিয় অথিতি তোমাকে ধন্যবাদ
তোমাকে ধন্যবাদ তোমাকেই ধন্যবাদ 
সুস্বাগতম তোমাকে আমাদের অসম্ভবকে সম্ভব করার কাব্য গ্রন্থে, 
কিংবদন্তি কালজয়ী জননীর স্বপ্নের জয়যাত্রার রথে, 
স্বাগতম সুস্বাগতম স্বাগতম তোমাকেই 
যেখানে, 
ডুয়েটের ছন্দময় তরঙ্গে আলোকিত রাত
লক্ষের পথে দেখেছে যেন সূর্যের সুপ্রভাত 
তুমি হিমাদ্রির মতো অন্তরে তুলেছো আনন্দের ঝড়; 
অত :পর, 
হে মহান অতিথি তোমাকে ধন্যবাদ 
তোমার আগমনে জীবনের জয়গান 
জ্ঞানের সাগর পাড়ি দিয়ে
দেশপ্রেমিকের ভাবনার চোখে দেখেছে এক ব্যাকুল আকুতির 
প্রাণ কিংবা আত্মদান 
  
জীবনের গল্প লিখে তুমি আজ 
জীবন্ত প্রতিবাদ, মানুষের আর প্রকৃতির কাছাকাছি একজন, 
যে জীবন বানায় জীবন গড়ে 
প্রতিদিন |
লেখক তুমি জাদুর বেলুন উড়াও 
তোমার লেখনীর  রেশমি চুড়ির
ঝংকারে বাংলাদেশ এক নতুন সভ্যতার আর সম্ভাবনার 
পথ খুঁজে পাই মুহূর্তেই |
পদাতিক আর আলবার্তো  মোরাভিয়ার গল্প 
সুমুদ্র পাড়ি দেয় অজানায় নীল স্রোতের বেনারসি পরে,  
তোমার গল্প বিন্দু থেকে বৃত্ত  হয়ে 
বিচ্ছুরিত হয় দেশে দেশে. 
আফ্রিকার প্রাণীদের কথাগুলো হয়ে উঠে জীবন্ত রূপকথা 
বার্নাড রাসেলের আত্মকথা 
শেকড়ের টানে চলে যায়  মানস কবি আর চন্দ্রগোমীর 
সন্ধানে |
আজ জাগছে ডুয়েট, জাগছে মানুষ, জাগছে সৃষ্টির উৎসব 
তোমায় ঘিরে হে মহান অতিথি স্বপ্ন দেখি আমরা সবাই এক মহা আবর্তনের 
কানে পেতে কে যেন বলে গেলো তোমার জাদুর ছায়ায় আপনজনের টানে 
এক দুর্লভ মহাঅর্জনের. 
"তোমাদের আমি উপহার দেব তোমাদের এক তোমাদেরই একজন 
যার হাত ধরে আসছে সামনে ডুয়েটের সমাবর্তন" 
উল্লসিত প্রাণ সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় 
তোমার কণ্ঠে আজ হোক, হে মহান অথিতি আনন্দের আলোড়ন 
স্বাগতম সুস্বাগতম স্বাগতম তোমাকেই |            
            
1170 বার পড়া হয়েছে
শেয়ার করুন
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর এ দীর্ঘদিন যাবত শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত আছেন। শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে তিনি যেমন অবদান রেখে চলেছেন তেমনি সৃষ্টিশীল লেখার ক্ষেত্রেও তাঁর পদচারণা। তিনি মনে করেন বিজ্ঞান চর্চা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি একে অন্যের পরিপূরক। তিনি একাধারে শিক্ষাবিদ, গবেষক, গল্পকার, প্রাবন্ধিক, কবি, গীতিকার, নাট্যকার, সমাজ সংস্কারক ও সাংস্কৃতিক কর্মী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শনে বিশ্বাসী এই মানুষটির ছোটবেলা থেকেই লেখায় হাতেখড়ি। কৈশোর ও তারুণ্যে তিনি বাংলা একাডেমি, খেলাঘর, কঁচিকাচার মেলা সহ বিভিন্ন সংগঠনে কাজ করেছেন। এই সময় তাঁর প্রবন্ধ, কবিতা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। প্রকৌশল বিদ্যা অধ্যায়নের সময় তিনি প্রগতিশীল কর্মী হিসেবে কাজ করে সহিত চর্চা করে গেছেন। এ সময় তাঁর লেখাগুলো বিশ্ববিদালয়ের ম্যাগাজিনে এখনও সংরক্ষিত আছে। এছাড়াও অনেকদিন ধরেই তিনি দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে লিখে চলেছেন। বাংলা ও ইংরেজি দুই সাহিত্যেই তাঁর সমান দক্ষতা রয়েছে। সমাজ, রাষ্ট্র, প্রকৃতি, বিজ্ঞান, শিক্ষা, পরিবর্তন, সম্ভাবনা ও মানুষ তাঁর লেখার মূল উপজীব্য বিষয়। তিনি একজন ভাল বক্তা। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের টক্ শো সহ বিভিন্ন সৃজনশীল অনুষ্ঠানে তাকে অতিথি হিসেবে দেখা যায়। ভারতরে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রী অজিত কুমার পাঁজা কলকাতা দূরদর্শনের একটি প্রতিযোগিতায় তাঁর প্রেরিত প্রবন্ধে মোহিত হয়ে নিজ হাতে পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সে সময় সম্প্রচারিত হয়। এই খবরটি আজকাল, সংবাদ, বাংলাবাজার সহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এছাড়া তিনি ফিলিপিন্স, চীন, বি-টিভি সহ দেশ বিদেশের বিভিন্ন পুরুস্কারে ভূষিত হন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের একজন কর্মী হিসেবে তিনি কাজ করে চলেছেন।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী এর সর্বশেষ লেখা

একই ধরনের লেখা