যখন কোন গানের অন্তরা চোখের কোণ সিক্ত করে তোলে
মনে ভাবি এই তো বাঁচতে পারছি।
আমার গোপন নতমুখ স্মৃতি আমাকে আর
দগ্ধ করে করুক
আমি আশাবাদের চাষাবাদে স্বপ্নরঙিন রঙধনু
ক্রমশ ছড়িয়ে দেব সচেতন সব চেতনে সব
অথর্বসম নিউরন সেল আমার শাণিত হবে
প্রখর রৌদ্রে ঝলকানো তিক্ষ্ণ চূড়ার
আব্রু ফেলে তৃণ হতে তমাল সকল ভালবাসার কোমল হৃদয়ের শোনিত সকল
শীর্ষে নেবে প্রণয়ীরে আবারও
সবুজ পৃথিবী যেমন মেঘে ধোয়া নীলে মিশে হলুদাভ হয়
তোমার ব্রহ্মান্ড তোমার যত্নে গড়া মহল, মূর্ত অবয়বে সৃষ্ট শব্দে করে দেব লীন
অহমিকা দ্বিধায় প্রত্যাখ্যাত প্রণয় বুভুক্ষ বেহিসেবী মুখ
ভুলে যাবে বিগত প্রিয় মুখের সাথে অসম আপোষ
শুধু এজন্য এরপরে গানের অন্তরায় দ্রবীভূত প্রতীক্ষা ব্যাকুল চোখ
ঘুম আর আবছা আধা আলোয় জাগবে জানি রাত অবধি
আর বাহুমূলে জেগে রবে অমোঘ আকর্ষণ
স্বপনে, ব্যথায়, কষ্টে, ভালবাসায় ,
আশিবিষ সম আশায় ও আশার ছলনায় ।
শহর থেকে শহরে আসমানে জমিনে তারায় তারায়
আর শরীর হতে শরীর প্রবাহিত সুখে সুপরিবাহী
চুমু চাহনীতে চঞ্চলতা চিনে নেবে আবাস, আনাবাসিকের সব- ঠিকঠাক
অনুভূতিশীল আছে এখন হৃদয়
এই সুখে শক্তিতে থেমে যাবে শত সহস্র প্রবল আশ্বিণা
তখন তো রবে না ফুসফুস তোমার উষ্ণতা বিনা
আগুনে গেলে মোম আঁধার কি থাকবে আর।
নিজেকে বলি বারংবার
এখনই সময় বেঁচে থাকার পাখা মেলা স্বপ্ন ডানার
পারস্পরিক প্রণয় জানাবার।