আমার পরিচয় আমার জন্ম প্রতিবাদী এক সাহসী জননীর কোলে, আমার কন্ঠ গান গায়, রক্তমাখা এক বোলে!! শত সন্তান হারিয়ে গেলেও কাঁদে না যে মোর মাতা!! মায়ের ইচ্ছে পূরণ করতে পিছু হটে না ভ্রাতা। মায়ের কথায় অস্ত্র ধরি সকল ভাতা-ভগ্নি! তার কথাতেই শান্ত থাকি, তার ইশারায় রুগ্নী। হরিণ কাজল অশ্রু রুখতে হই মোরা হিংস্র! রক্ত দিয়ে করি বিনিময়, নদী সম শত-সহস্র!! রক্ত দিয়ে ধৌত করি আমার মায়ের কেশ! রাখিনা শত্রু বিন্দুসম,রাখিনা কোন রেশ। মোর মাতা যে সর্বজয়া! মোরা তার দশভুজা! মোর মাতা রুষ্ট হলে রুখা নয়তো সোজা! মোর পিতার জীবনী শুনলে জাগবে শিহরণ! সর্ব জাতির বুকের মাঝে তিনি শয়ন সর্বক্ষণ। মোর পিতা যে দেবদূত তুল্য, এক বিশ্বনায়ক! বজ্রসম কন্ঠ তার! স্বাধীনতার এক গায়ক। ভু- মেদিনী কম্পিত হয়! শুনে তার বজ্রকন্ঠ বানী। কার সম বলব তাকে নির্ণয় না জানি। যাতনা সহেছেন তিনি, লাঞ্ছনা শত শত। দাসত্বকে করেনি স্বীকার, হয়নিকো কভু নতো। বেদ সম বাক্য তার, " হয়েছি দীন, হবোনাকো হীন! রক্ত দিয়েছি আরো দেব! তবু থাকব না পরাধীন "! শত্রু মোদের দিলে হানা চাইবোনা ফিরে পাছে! তাই নিয়ে লড়ব মোরা যা কিছু মোদের আছে!! লড়ে যাব ততক্ষণ, যতক্ষণ আছে হৃৎস্পন্দন! স্বাধীনতার জন্য পীড়িত হলেও করবো না ক্রন্দন"! এক বিন্দু রক্ত থাকতে ছাড়িব না রণক্ষেত্র! মৃত্যু শয্যা দেখে কভু গলিব না দুই নেত্র! মায়ের অশ্রু স্মরণ করে প্রতিহিংসা জ্বালো! শত্রুপক্ষ ধ্বংস করে আধার করো আলো! তার ঐ দেশপ্রেমের অমর বানীর শিক্ষা। শত যাতনা সইব তবু চাইবোনা প্রাণ ভিক্ষা! যুদ্ধক্ষেত্রে এইরূপভাবে নেতৃত্ব দেয় মোর পিতা। সজল নয়ন রুগ্ন করে বন্দী মাতা সীতা। আমি সেই রুগ্ন নয়না বন্দি মাতার সন্তান! শত্রুপক্ষের রক্ত দিয়ে যে করে স্নান! সংগ্রামীর পুত্র আমি, মোর পিতা বজ্রবেণু! আমারই জন্য সহেছেন শুধু হাজারো -শত শানু। প্রতিবাদের সহসা অগ্নি আমিও জ্বালতে পারি, মাতা পিতার স্বপ্ন পূরণে হতে পারি অস্ত্র ধারী! যদিও এখন পিতৃ-মাতৃহীন, ভেবনা আমি নিঃস। আমার শরীরে বইছে কিন্তু তাদেরই রক্ত মাংস! পিতৃ-মাতৃর পরিচয়ে মোর ফোটে গর্বের হাসি, মোর পরিচয়ে শঙ্কিত সমস্ত বিশ্ববাসী!!