সমাজ, সংস্কৃতি, ধর্ম, রাজনীতি ও অর্থনীতির অধিকারের প্রশ্নে সবচেয়ে প্রান্তিক ও আক্রান্ত গোষ্ঠী হলো নারী সমাজ। যেকোনো ঘটনায় বা ইস্যুতে নারীকে আক্রমণ ও অভিযুক্ত করার প্রবণতা সুপ্রাচীন। অথচ পৃথিবীর সভ্যতা, মানব জীবন ও সমাজ-সংসারের সর্বক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে নারীর অবদান, ভূমিকা ও অংশগ্রহণ কোনো অংশেই কম নয়। মূলত একজন নারীই ব্যক্তির জীবনের প্রণোদনা, পরিবারের দিশা এবং সমাজের ইতিবাচকতা ও সৌন্দর্যের প্রতীক।

ইসলাম ধর্মের প্রকৃত ব্যাখ্যায় নারীর সম্মানজনক স্বীকৃতি সুস্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ রয়েছে। পারিবারিক জীবনে একজন পুরুষের জন্য সৎ ও চরিত্রবান স্ত্রীকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ বা 'পুণ্যবতী' বলা হয়েছে। প্রখ্যাত আরব পণ্ডিত আবু মারইয়াম মাজদি ইসলামে নারীর অপরিসীম গুরুত্ব ও মর্যাদাকে উপস্থাপনের জন্য সারা বিশ্বে সমাদৃত। আরবি থেকে তার গ্রন্থ বাংলায় প্রাঞ্জল অনুবাদে প্রকাশ করেছে আল-হাদী প্রকাশন। বইটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো সমকালীনতা। যাতে একবিংশ শতকের দ্রুতলয় পরিস্থিতিতে একজন আধুনিক পুণ্যবতী-স্ত্রী'র ১২টি উত্তম গুণাবলি ও যোগ্যতা সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। পবিত্র কুরআন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নত এবং পূর্বসূরী বুজুর্গ ও মনীষীদের বচন থেকে উপস্থাপিত পুণ্যবতী স্ত্রী'র পরিচয় ও গুণাবলিগুলো বিদ্যমান সঙ্কুল সমাজজীবনে খুবই প্রাসঙ্গিক ও অনুসরণযোগ্য। বিশুদ্ধ ব্যক্তি জীবন, আদর্শ পারিবারিক জীবন ও আলোকিত সমাজ জীবনের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত এই গ্রন্থ একটি বিশ্বস্ত গাইডবুক সমতুল্য। কোনো নারী তার ব্যক্তিত্বে বইয়ে বিবৃত গুণাবলি ও যোগ্যতার সমাবেশ ঘটিয়ে আধুনিক পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম হতে পারবেন। একজন আদর্শ ও কল্যাণকামী স্ত্রী তথা মর্যাদাবান মানবিক অস্তিত্বে স্বামী, সন্তান, পরিজন নিয়ে সম্মান ও সাফল্যের দিকনির্দেশনাও পেতে পারবেন।

Pin It