সোমবার, 07 ডিসেম্বর 2015 09:17

পাথর অন্ধকার নির্বাচিত

লিখেছেন
লেখায় ভোট দিন
(1 ভোট)
                জ্যোৎস্না-ভেজা কুড়েঘরে লক্ষ্য তারার চোখ
মৃদু আলোতে পেন্ডুলামের মত দুলছে
উদ্বেগহীন,  কালের নিরব সাক্ষী হয়ে
আকাশ সাজাবার ছলে নিজেকেই
হারিয়ে ফেলছে নিজেরই
অজ্ঞাতে, অবহেলায়...

ওরা পথ খুঁজতে খুঁজতে ভুল পথে গিয়ে
নির্মম পাষন্ডের ন্যায় ধ্বংসলীলায় অভ্যস্ত
অশুভ ছায়ার কৃষ্ণ গহ্বরে 
হারিয়ে যেতে যেতে অহংকারী
হাপরের দাপটে দাপটে আক্রোশে
গিলে খাচ্ছে সবুজ পাতার নির্জাস
যা ছিল এক কালে রুগ্ন মানুষের জন্য
কল্যাণকর ঔষধী বৃক্ষ
প্রজন্মের আশ্বাস।

মানুষের শব্দহীন নগ্ন পদধ্বনিতে
মুখোরিত হয়ে ওঠলো বাতাসের কানাকানি।
এক অদ্ভুত হাসির আকর্ষণে এমন 
প্রেমজ খেলা মাংসাশী প্রাণীর ন্যায়
এভাবে নিজের সন্তানকে
খুবলে-ছিড়ে- চিবিয়ে খাবে
পূর্বে আর কখনো দেখা যায়নি...

অবিশ্বাস্য
অন্ধকার ঘরের ভেতর থেকে কারা যেন
এগিয়ে আসছে, এগিয়ে আসছে 
আলোক রশ্মি, রশ্মিজাল।
পাথর-অন্ধকার টুকরো টুকরো হয়ে
ছিটকে ছড়িয়ে পড়ছে
না, কোন আলফা-বিটা-গামা রশ্মি নয়
অজ্ঞাত,  অজানা এক ভিন্ন আলোর কণা...

সম্মোহিত আমি, তাকিয়ে দেখছি
কারা যেন আর এক পৃথিবীর জন্য
এখানে, এই মাত্র কতগুলো লাশ পুতে
উল্কার বেগে ধাবমান....

বরিশাল, ২৯/১১/১৫            
            
758 বার পড়া হয়েছে সর্বশেষ হালনাগাদ শনিবার, 22 আগষ্ট 2020 18:06
শেয়ার করুন
কে এম আলাউদ্দীন

কে এম আলাউদ্দিন বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার অম্বিকাপুর গ্রামে পহেলা মে ১৯৫৩ ইং সনে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম আব্দুল হামিদ মিয়া, মাতা মরহুমা রাবেয়া খাতুন। ৩ ভাই ও ৪ বোনের মধ্যে তিনি সকলের বড় । শৈশবকাল হইতেই তিনি লেখা প্রতি ঝোঁক ছিল। তিনি বরিশাল এপেক্স হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হতে ডি.এইস.এম.এস. ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি ৫০ সহস্রতমিক পদ্ধতিতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করে আসছেন। সদা হাস্যোজ্জল ব্যক্তি তিনি। আলোর মুখোমুখি নামে তার একটি কবিতার বই ১৯৮৫ সনে প্রকাশিত হয়েছিল। বর্তমানেও তিনি নিয়মিত ভাবে লিখে চলেছেন, সাহিত্যের একজন সেবক হিসেবে এখনও তিনি সক্রিয়। তিনি বর্তমানে ৭৭৫, সদর রোড, শাকুর ম্যানসন (ক্যাপ্টেন নজিব উদ্দিন ক্লিনিক সংলগ্ন) বরিশাল শহরে বসবাস করছেন।

2 মন্তব্য

মন্তব্য করুন

Make sure you enter all the required information, indicated by an asterisk (*). HTML code is not allowed.